আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূধর্ষ ব্লগার আবার আসলো : ইতিহাসের দায় মিটানোর একটা ব্যাপার আছে না

আমি কিছুই না..... আবার অনেক কিছু । হ্যাডম, তারও ইচ্ছা করে ইতিহাসের দায় মিটাতে । ইতিহাস কারো একার না। তার লেখার চৌম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো- প্রেসিডেন্টের মন খুবই খিইচা আছে । সকালে মানিব্যাগ চেক কইরা দেখে ১০০ টাকা হাওয়া।

চতুর প্রেসিডেন্ট নিমিষেই ধরে ফেললেন কার কাজ এটা। ডাক দিলেন বড় পুত্র কে। রাষ্ট্রপতি: তারেক, তুমি কি আমার মানিব্যাগের ১০০ টাকা মাইরা দিছো ? তারেক: না আব্বা। আই সুইয়্যার । কানপট্টির নীচে কষাইয়া একখানা থাবড়া দিলেন তিনি বড় পুত্র কে ।

এই ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়া তিনি খু্বই চিন্তায় আছেন । সব কিছু হাওয়া করে দেয়। গত পরশু গেটের গার্ড রে আরেক জায়গায় ডিউটি করতে বলছে। চিন্তা করা যায়? একজন সৈন্য কে মুখের কথায় ট্রান্সফার ? এই ছেলে বড় হয়ে তো বিগ্রেডিয়ার কর্নেল দের চরকার মত নাচাবে । রাষ্ট্রপতি: কি করছো টাকা দিয়া ? তারেক: মামুন রে দিছি রাষ্ট্রপতি: মামুন কি করলো ? তারেক: খাম্বা কিনছে, ওর বাসায় ইলেকট্রিকের খাম্বা বাই ।

তিনি বুঝতে পারলেন ব্যাপার পুরাই মিথ্যা । কোন খাম্বা টাম্বা না, সে এই টাকা তার ভার্সিটি পড়ুয়া মালয়শিয়ান ফ্রেন্ড রে দিছে । তার ঘরে এমন বাটপার কেমনে পয়দা হইলো সে তা ভাইবা পায় না। আরেক পোলার নাম রাখছিলেন আরাফাত সাহেবের নামে, পরে তার বেগম কেন কোকো রাখলেন, এ নিয়া তার বিরক্তির সীমা নাই । ছেলের নাম নেশা জাতীয় পদার্থের নাম কেন হবে তিনি বুঝলেন না ।

ছেলে টা দেখতেও হইছে হিরুইঞ্চির মত। চেহারায় চোর চোর একটা ভাব । দেখলেই মনে হয় চুরি কইরা মাত্র আইলো। আরাফাত সাহেবের নামের পুরা ড্যাশ মেরে দিছে ছেলে। আর বেগমের কথা কি বলবেন, সারা দিন আয়না দেখেন ।

বেগম কে দেখলে যে কারো মনে হইতে পারে , মানুষ মাত্রই ভ্রু বিহীন । সারা দিন আয়না কেন দেখবে, এটা জিজ্ঞাসাও করা যায় না। কেদে কেটে অস্থির করে ফেলেন । কুসংস্কারে তার কখনই বিশ্বাস ছিল না তার । কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তার বেগম কে জ্বীনে ধরেছে ।

তিনি খবর পাঠিয়েছেন সৌদি তে, বিশিষ্ট পীর গোয়াজম কে ঢাকা আনবেন । এই জ্বীন ভূতের ব্যাপারে তিনি পারদর্শী । আর বছরে বছরে সৌদি বাদশার সাথে একবার দেখা করানোর ব্যাবস্থা টা ও পাকাপাকি করা দরকার, সৌদির বাদশা, বহুৎ কামেল লোক। নাহ, অস্থির প্রেসিডেন্ট রুম থেকে বের হয়ে গেলেন । খাল কাটার কাজ অনেক বাকি।

আজ আবার তার কোদাল দিয়ে মাটি কাটতে হবে । ঘটনার প্রায় দুই যুগ পরে তার বড় পুত্র কয়েশ কোটি টাকা এবং তাদের বাড়ি "হাওয়া" করে দেন। ছোল পুত্রের ছেলের চেহারায় চোর চোর ভাব আরও প্রকট হইছে। আর পীর সাহেব এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গ রা তার দলের বৃহৎ একটা জোট। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।