আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি আশ্চর্য, হতবাক: সোহেল তাজ!!!!

......... পদত্যাগপত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে স্পিকার আবদুল হামিদ তা গ্রহণ না করায় বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে অবস্থানরত তানজিম বার্তা সংস্থা বিডিইউজকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, আমি আশ্চর্য, হতবাক। পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর অন্তত দুই দফা কথা বলেছি মাননীয় স্পিকারের সাথে। আমি তাকে নিশ্চিত করেছি যে, স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে পদত্যাগ করছি। কেউ আমাকে চাপ দেয়নি।

মন্ত্রিত্ব ছাড়ার তিন বছরের মাথায় গত ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্যপদ ছাড়ার জন্য স্পিকারের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান তানজিম। সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্পিকার গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের জানান, যথাযথ নিয়ম না মানায় ইস্তফাপত্রটি গ্রহণ করা হয়নি। ইস্তফাপত্রে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক কথাগুলো লেখা না থাকা, নিজ হাতে না লিখে টাইপ করা পত্র পাঠানো, স্বাক্ষর ও তারিখে দুই ধরনের কালি ব্যবহারসহ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যকে নির্ভয়ে ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। কাউকে জোর করে, তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেও এ পত্র পাঠাতে বাধ্য করা হতে পারে। তিনি স্বেচ্ছায় করেছেন কি না, তা জানারও কোনো রাস্তা নেই।

অবশ্য স্পিকারও বলেছেন যে, পদত্যাগপত্র দেয়ার পর তানজিমের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তানজিম বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমাকে নিশ্চিত করেছিলেন যে আমার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আমাকে তিনি জানাবেন। অথচ সেটি না করে তিনি মিডিয়াকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ’ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম ২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

তবে সে সময় রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেননি বলে সরকারের প থেকে জানানো হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে তানজিম বলেন, মন্ত্রীর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারায় আমি স্বজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে পদত্যাগপত্রও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়নি। সংসদ সদস্য পদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করার েেত্র স্পিকারের দেয়া যুক্তিগুলোর সাথেও দ্বিমত পোষণ করেন তানজিম। তিনি বলেন, এটা হাস্যকর ব্যাপার।

একবিংশ শতাব্দিতে সবকিছু হাতে লিখতে হবে- এমন বাধ্যকতা কোথায় আছে? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কী তাহলে সবকিছু হাতে লিখতে হবে? স্পিকার আব্দুল হামিদ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, এ পদত্যাগপত্রে অনেক জটিলতা রয়ে গেছে। তা নিয়ে আমার সন্দেহ হয়েছে। তার নিজেকে আসতে হবে। তার ইচ্ছা হলে শুদ্ধ আকারে পত্র লিখতে হবে- পদত্যাগ করতে চাই। বাংলাদেশে এসে আমার সামনে তা দিতে হবে।

তানজিম জানান, পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর ২৬ ও ৩০ এপ্রিল দুই দফায় স্পিকারের সাথে তার টেলিফোনে কথা হয়। সে সময় ১৯৯৫ সালের হাই কোর্টের একটি রুলিংয়ের বিষয়ও তিনি স্পিকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্র জমা দিতে হলে সশরীরে হাজির হওয়া জরুরি নয়। মাননীয় স্পিকারের সাথে আলোচনার পরও কেন সন্দেহ পোষণ করা হচ্ছে আমার পদত্যাগ নিয়ে, প্রশ্ন রাখেন তানজিম। তিনি জানান, মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার পর সরকার তার ‘সবুজ’ পাসপোর্ট নিয়ে তাকে একটি ‘লাল’ পাসপোর্ট দেয়। কিন্তু তিনি যেহেতু এখন আর মন্ত্রী বা সাংসদ নন, সেহেতু ‘নীতিগত কারণে’ ওই পাসপোর্ট তিনি ব্যবহার করতে চান না।

অথচ অসুস্থ মাকে দেখতে তার দেশে আসা জরুরি। আমি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই যে, সম্পূর্ণ স্বেছায়, স্বজ্ঞানে আমি জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকে পদতাগের আবেদন করেছি। আশা করছি, মানবিক বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সংশ্লিষ্ট সবাই আমার পদত্যাগের বিষয়টিকে অতি দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন এবং আমার সবুজ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে স্পিকারের সাথে আবারো কথা বলবেন বলে এই আওয়ামী লীগ নেতা জানান। সুত্র  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.