আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার সরদারের কপাল!!

গোলাম আযমের অভিযোগ গঠন ফের পেছাল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার তীব্র বিরোধিতাকারী গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫২ দফা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন বিভাগ। সাবেক এ জামায়াত নেতা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে নানা জায়গায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পাইওনিয়ার ফোর্স, মুজাহিদ বাহিনী নামে পাকিস্তানপন্থি সংগঠন গঠন করা হয়। এসব সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহ করা এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে সুপারিশ করার দায়িত্বও ছিল তার। যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, তা জানাতে ১৩ মে নতুন দিন রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ বিষয়ে আদেশের জন্য গতকাল বুধবার দিন নির্ধারিত থাকলেও প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল নতুন এ দিন ঠিক করে দেন। এর আগে গত ১৭ এপ্রিলও আদেশের সময় এক দফা পেছানো হয়। গোলাম আযমকে বাসার খাবার সরবরাহ করার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল গত ৬ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে যে আদেশ দিয়েছিলেন তার সংশোধন চেয়ে জামায়াতের সাবেক আমিরের আইনজীবীদের একটি আবেদনও গতকাল বুধবার খারিজ করে দেন আদালত। গোলাম আযমকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে তার আইনজীবীদের আবেদনের শুনানি গত ২৯ মার্চ শেষ হয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

ওইদিনই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়; তার পর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার তীব্র বিরোধিতাকারী গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫২ দফা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন বিভাগ। একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা শুরুর পর খাজা খায়রুদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ১৪০ সদস্যের যে শান্তি কমিটি হয়, তার তদারকিতে গঠিত কমিটির ছয়জনের একজন ছিল গোলাম আযম। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও প্রকাশ্যে তদবির চালান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম। ১৯৭১ থেকে ৭ বছর লন্ডনে অবস্থান করার পর ১৯৭৮ এ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি আবার বাংলাদেশে আসেন।

১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে গোলাম আযম লাহোরে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি নামে রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। ১৯৭২ সালের নভেম্বরে গোলাম আযম পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গমন করে এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য প্রচার চালায়। ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে সে লন্ডনে গমন করে সেখানে পাকিস্তানীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো শুরু করে। ১৯৭৭ সালে সে বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন উপদেষ্টা আলতাফ গওহর এর নিকট হতে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে। ১৯৭৭ সালে সে ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন মোমেনিন সালেহীন নামে সংগঠন গড়ে তোলে যারা মধ্যপ্রাচ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।

১৯৭৮ সালের ২১ জুলাই পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসে। ১৯৯২ সাল গোলাম আযম জামায়াতের আমীর হিসেবে মনোনীত হয়। ১৯৯২ পরবর্তী সময়ে বিএনপি’র শাসনামলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.