আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোলাপী বেগুম এবং ভারতমাতা নাচিনা কেন দুইটাকে দোররা মারা যাবে না? : কারন দর্শাও!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! পবিত্র হরতাল উদযাপন কমিটি একত্রে বসিয়াছেন আকাশে হরতালের চান্দু দেখা গিয়াছে কিনা সেটা নিয়া আলোচনা করতে। কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০ জন, আসিয়াছেন ৫ জন আর বাকী ২০ জন আসিয়াছেন নানা ছল ছুতায় চামচামী করতে! গোলাপী বেগম চেয়ারে বসনের আগেই বলিয়া উঠিলেন,"আইজকা মাসের ২৮ তারিখ, আমার বাড়ি ভাড়া দেয়া হয় নাই কেন? আর আমার নয়নের দুই মনির একাউন্ট নাকি খালি? হুইস্কি কিননের টাকা নাকি নাই?" এক জন চাচা চৌধুরী উঠিয়া কহিলেন," আমাদের ইলিশ মাছ তো প্রতিমাসে এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন, এখন তাহার সব দায়িত্ব আমাদের কাধে আসিয়া পড়িয়াছে। এমনেই সব বুড়া মানুষ তারপর এত বড় দায়িত্ব পাইয়া ধন্য হওয়ার সাথে সাথে একটু মাজা ব্যাথা শুরু হইয় গেছে! তয় চিন্তা কইরেন না, কমিটির বাকী ৫ জন আজকে রাতেই সব পাঠিয়ে দেবে! তো ম্যাডাম, আজকের হরতালের চাদ নিয়া কিছু বলবেন না?" গোলাপী বেগম চ্যায়ারে বইসা বিরক্ত হইয়া আয়না খুজিতে লাগিলেন,"কেন? এটা তো গত সপ্তাহেই ডিসিশন হইয়া গেছে। এবং পরশু দিন রাতের বেলাও কি ঘোষনা দেয়া হবে এটা কি বলা হয় নাই?" চাচা চৌধুরী মুখে হাসি দিয়া ক হিলেন,"তা তো অবশ্যই।

আগামী কালকে তাহলে আমাদের গার্মেন্টস আর ফ্যাক্টরীর সামনে কিছু লোক নিয়ে নিবো। আর আমাদের সব ছাগু গেলমানরা আমাদের ব্যানারে রাস্তায় নামবে! আর আপনি যেখানে যেখানে আগুন আর গ্যান্জ্ঞাম লাগানোর জন্য যে জামাত গুলো অনুষ্ঠিত হওনের কথা, সেগুলাও মোটামোটি রেডি!" গোলাপী বেগম হঠাৎ আয়না থিকা মুখ সরাইয়া," ইলিশ মাছের বৌ এর দিকে কড়া নজর আছে তো?" কমিটির সবাই মুখ চাপিয়া হাসিলো! এদিকে ভারতনেত্রী নাচিনা তার সকল কাজের মাতারী আর কামলাদের নিয়া বসিলেন হাতিল থিকা মাগনা উঠায় আনা টেবিলে,"কি খবর সবাই? ভালো আচেন? আমার পোলার ফেসবুক দেখচেন? গত মাসে পোলার একাউন্টে যেই ডলার গুলা পাঠাইছিলাম, আমার পোলায় নয়া একখান গাড়ি কিনছে। দারুন হইছে না?" কমলা সুন্দরী তাহুরা বেগুন হাসিয়া বলিলেন,"আমার ছুটো ভাই গতকাইল ফুন দিছিলো তারে, মনে হয় বিজি আছিলো। তারে কইতে চাইছিলো নেক্সট টাইম আসনের সময় জানাইতে, তার জন্য নাকি সব ব্যাবস্হা করা আছে!" নাচিনা আরও পুলকিত হইয়া ক হিলো," আচ্ছা যাই হোউক, শুনেন, আপনেরে যেইসব লিস্টি দিছি ঐসব প্রতিষ্ঠানের সামনে পুলিশের টহল বসাইবেন। আর বাকী যা থাকবো তা সব ঐ মেইন পয়েন্টে।

কালকা গুলাপীর জামাতে ওরা ডিউটি দিবো!" তাহুরা বেগুম ঘুমটার মধ্যে আঙ্গুল ঢুকাইয়া চিন্তায় পইড়া গেলেন,"কিন্তু আমাগো তো জনবল কম!" নাচিনার মুখের হাসি দুই সেকেন্ডে উধাও হইয়া ক হিলো," আব্বে, আমাগো সোনার ছেলেরা আছে না? ওগো হাতে ঠোলাগো অস্ত্রাগার থিকা মাল সাপ্লাই দিয়া দিবেন। এই মালের ব্যাপারে কুনো হিসাব থাকবো না। বুঝছো? আর কারো কিছু কওনের আছে?" টাকলা আবুল পুতিন সাহেব এতক্ষন ঘুমাচ্ছিলেন, কাল রাতে ওয়াইন একটু বেশী পড়ছিলো। হঠাৎ কানে এই কথা আসা মাত্রই,"ম্যাডাম, আমাদের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিচার করলে, আগামী মাসে যেই বাজেট সেটার জন্য যে হৈ চৈ লাগছে তাকে ধামাচাপা দেবার জন্য ইলিশ ব্যাটার ইস্যুটা কি যথেষ্ট!" হাচিনা মুখে খিস্তি তুলে বলেন,"বুড়া বেশী কথা কয়!" এই বইলা হাটা দিলেন তার এক তালাতো ভাইয়ের ছুটো মাইয়ার বার্থ ডে পার্টিতে। তারে গিফট হিসাবে একখান গাড়ি দেয়া হইবো যদিও পুচকার বয়স মোটে ৭! এখন আমি বুঝতেছি না আমাদের দেশের এই দুই বোঝা যাগো ওজন আমাগো দেশের চেয়েও বেশী এগো নিয়া আমরা নাচি কেমনে? আমাগো কোমড়ের জোড় দেখি বিশাল ওজন! এখন বুঝতেছি না জাতীর বয়স বাড়তেছে, আর কতদিন এই দুই ভুটকীদের কাধে তুইলা আমরা নাচবো? আসেন দেশটারে দুইভাগ করি, তারপর দুই ভাগ দুই জনরে দিয়া কই ভাই তোরা শান্ত হ! আর নাইলে আসেন, কালকে আমাদের এই পবিত্র হরতালে এই দুই ভুটকীকে দোররা মাইরা হত্যা করি! আর যদি দুইটার একটাও না করি, তাইলে আসেন আমরা ঘরে বইসা খালি পেটে পবিত্র হরতাল ঈদের মতো পালন করি! কি মজা! **ঠ্যাংলিখা: এই লেখার প্রত্যেকটা চরিত্র কল্পনায় দেখায়।

বাস্তবে কেউ যদি মিলাইতে চায় মিলায় লন, আমার কওনের কিছু নাই। কারন দেশে বাকস্বাধীনতার মতো মিলায় লওনের স্বাধীনতাও বিদ্যমান! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।