আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খবরটা শুনে খুব দুঃখ পেলাম

একদিন জন্মের চিৎকারে পৃথিবীতে এসেছিলাম। আবার একদিন কিছু চিৎকারের মাঝ দিয়েই চলে যাব। একটু আগে খবর পেলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের একজন শিক্ষকের মাথা ফাটিয়েছেন আরেক শিক্ষক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদিন ধরেই গরম হয়ে আছে। বরং বলা যায়, কবে ঠান্ডা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়! এতদিন জানতাম ছাত্রদের মাঝে মারামারিতে কাটাকাটি হয়।

এবার শিক্ষকেরাও! গুরুদেরই যদি এই অবস্থা হয়, শিষ্যরা আর কি করবে। এ জন্যই বোধ হয়, ছাত্রদের মাঝেও আজকাল বেশ উগ্রতা দেখা যাচ্ছে। কেউ কাউকে পরোয়া করছে না। এসবের কারণ কি! কেন একজন শিক্ষক তার হিংস্র ভাবটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না! কেন একজন ছাত্র তার স্বত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সবকিছুই কি তবে দেশের দোষ! এখানকার আবহাওয়ার দোষ! জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দুই/তিন বছরে প্রায় দুইশত জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এদের অধিকাংশের যে শিক্ষক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতাও নেই, একথা হলফ করে বলা যায় (সত্যিকারের শিক্ষকদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি)। যাদের সারাদিন কাটে অলসতায়, তাদের আর কিইবা করার আছে! পড়াশুনা করতে অনেক কষ্ট হয়। শুধু শুধ কষ্ট করে লাভ কি। শিক্ষক তো একবার হয়েই গেছি। কেউ ইচ্ছে করলেই বাদ দিতে পারছে না।

লজ্জা আর রাখব কোথায়! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কখনোই আজীবনের জন্য নিয়োগপত্র দেয়া ঠিক নয়। তাহলে তার জবাবদিহিতার বিষয়টি হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে যা ঘটে, তার উত্তম উদাহরণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আজকের ঘটনা শুনে আমি কেবল স্তব্ধ হয়ে রইলাম। তবে কেন জানি মনে হচ্ছে, একটি পরিবর্তন আসবেই।

এভাবে তো চলতে পারে না! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.