আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খবরটা পড়ে তো আঁতকে উঠলাম

ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস

এডিট: এই পোস্ট দেবার পর যে বিষয়গুলো নিয়ে খটকা লেগেছিল, তা দূর হয়েছে। পোস্টের শেষে যে কোয়েশ্চেনগুলা করছিলাম, সেগুলোর উত্তর জীবনান্দদাশের ছায়া, নতুন - ইনারা খুব ভালোভাবে দিয়েছেন। ধন্যবাদ তাদের সবাইকে। যারা ফান করেছেন, যারা ব্যঙ্গ করেছেন, যারা খোচা দিয়েছেন, যারা প্লাস বা মাইনাস দিয়েছেন তাদের সবাইকেই ধন্যবাদ। এই পোস্টে আর কমেন্ট করার দরকার নাই।

নিতান্তই কিছু জানার থাকলে কমেন্ট গুলো পড়লেই উত্তর পেয়ে যাবেন। মূল পোস্টঃ আজকে ফেসবুকে বেনজির আহমেদ নামে একজন আমাকে মেসেজ করে একটি খবর জানালেন (গ্রুপ মেসেজ এ)। খবর টা পড়ে ভয়ই পেলাম। প্রথমে ভাবছিলাম। এটা হয়ত ফুড পয়জনিং এর কোনো ব্যপার।

কিন্তু ভেতরে পড়তে গিয়ে যা জানলাম তা হল - ঘটনাস্থল রাজশাহী উপশহর। একটি দশ বছরের বাচ্চা প্রায় ১৫ দিন আগে উপশহরের একটি চটপটির দোকান থেকে চটপটি কিনে খায়। এরপর সে ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দেন ছেলেটির এইডস হয়েছে। বাপ মার মাথায় তো আকাশ ভেঙে পড়ার যোগাড়, যে এটা কিভাবে সম্ভব।

তারপর সম্পূর্ণ ফ্যামিলি চেক্আপ করালো। নাহ কারো শরীরে এই রোগের ভাইরাস নেই। তারপর ডাক্তার, ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করল যে সে বাইরের কোনোকিছু খেয়েছে কিনা। ছেলেটি বলে যে কিছুদিন আগে সে এক সন্ধ্যায় চটপটি খেয়েছে। তারপর হাসপাতাল থেকে একটি টিম ওই চটপটির দোকানে যায়।

তারা দেখতে পায়, চটপটিওয়ালার হাতের একটি আঙ্গুল কেটে গিয়ে ক্ষত হয়েছে। পেয়াজ কাটার সময় ওখান থেকে রক্ত গিয়ে পিয়াজের সাথে মিশে গিয়েছিল । এভাবে পুরো খাবারের সাথে রক্ত মিশে যায় (পরিমাণ টা যদিও অবশ্যই খুব কম)। তারপর মেডিক্যাল টিম ওই চটপটিওয়ালার রক্ত পরীক্ষা করে দেখে। তারা নিশ্চিত করে যে চটপটিওয়ালা এইডস এ আক্রান্ত।

কিন্তু সে নিজেও তা জানত না । সম্ভবত সে ছিল বাহক। ঘটনাটি এই পর্যন্তই শেষ। ব্লগে যারা ডাক্তার আছেন, বা বিষয়টি ভালোভাবে জানেন, তারা কি আমাকে নিশ্চিত করে একটু জানাবেন, যে উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় এইডস ছড়ায় কিনা। আর বিষয়টি কি এভাবে ঘটতে পারে???? কারণ আমরা তো মাঝে মাঝেই বাইরে থেকে চটপটি, ফুচকা এইসব খাই।

আর চাইলেও সবসময় ঘরে খাওয়া সম্ভব না । সেক্ষেত্রে কি এইসব খাওয়া ছেড়ে দেবো, বাইরে গেলে???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.