আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরাবর: সোহেল তাজ।

কবঠ আপনার লেখা খোলা চিঠি পড়ে যার পর নাই আর্শ্চায্য হয়েছি। ভবতে কষ্ট হয়েছে আপনি বঙ্গতাজ তাজুদ্দিন আহমদের যোগ্য সন্তান। ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ সমুদ্রে তরঙ্গ দেখে যে নাবিক জাহাজে থাকতে ভয় পায় তাকে আপনি কি বলবেন, কাপুরুষ। আমরা জানি আপনি কাপুরুষ নন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একমাত্র বৃহত রাজনৈতিক দল।

যার ভেতরেও আছে মত পথের আলাদা আলাদা লবিং। বর্তমানে যে লবিটি বেশী সক্রিয় সেটা আওয়ামী লীগের মুল আদর্শ হত্যা করে শহীদ জিয়ার ধর্ম রাষ্ট্রের উপর ধর্মনিরপেক্ষতার লেবাস পড়িয়ে ধর্ম রাষ্ট্রের অবয়বে সৃষ্টি করেছে এক অদ্ভুত শরীর। যার মাথায় টুপি, মুখে চাপ দাড়ি এক হাতে দোতারা ও অন্যহাতে কুড়াল, শরীরে মুজিব কোট, পরনে ধুতি। সংবিধান সংশোধন করে এই অদ্ভুত ছবিই বাংলাদেশ আওয়ামি লীগ প্রসব করেছে। যার সাথে বঙ্গবন্ধু বা বঙ্গতাজের অর্দশের কোন মিল নেই।

তবুও গায়ের জোরে সংসদে তা পাশ হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটা আবার পরিবর্তিত হবে। আপনি এই পর্যন্ত যা যা করেছেন, তা কি দেশ, জাতী বা দল কারো জন্য ভালো হয়েছে। এগুলি করে আপনি বার বার নিজের অযোগ্যই প্রমান করেছেন। রাজনীতি শব্দের অর্থ খুব সহজ কোন নিয়ম নীতি নয়।

শতধা বিভক্ত মানুষের মনোভাব পড়ে তাদের সবার আস্থায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। একরোখা জেদি হয়ে হয়তো হিমালয় বিজয় সম্ভব হয়, রাজনীতি করা কি সম্ভব হয়, হয় না। র্দুনীতি পরায়ন নেতা কোন দলে নেই। তারপরও তো দেশ এগুচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হিসাবে ২০০১ থেকে অদ্যাবধি এই হার প্রতিটি ক্ষেত্রে ডাবল হয়েছে।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিপুল হাত সাফাই এর পরও অর্থনীতি একটি মজবুত ভিত্তি পেয়েছে। আপনি ভালোমানুষ আপনি মানুষের ভাল করতে চান, ভাল কথা। তার জন্যতো আপনাকে মাঠে থাকতে হবে। মাঠ ছেড়ে পালিয়ে গেলেই কিন্তু মহান তগমাটি আপনার জন্য জুটবে না। আপনি কি ভাবছেন আপনাকে নিয়ে যা সব ঘটছে এই গুলি সব আপনার অর্জন, তা কিন্তু একদম না।

আপনার বাবার অর্জনকে অস্বীকার করার উপায় নাই দেখে আপনাকে সবাই করুনা করছে। রাগ, অভিমান, জেদ, সুপিউরিটি কম্পেলেক্স, রাজনীতিতে এগুলোর কোন মুল্য নেই। আপনি কৌশুলি হয়ে মাঠে থাকুন তবেই না মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন। মাঠে থেকে মাঝে মাঝে আপোষ, মাঝে মাঝে প্রতিবাদ করে করেই তো আপনার একটি নিজস্ব ভাবমুর্তি গড়ে উঠবে। ভালোরা যদি সব পালিয়ে য়ায়, তাহলে মানুষের ভাল করবে কারা।

আপনার বাবার ভাবমুর্তি আপনাকে দিয়েছিল কাজ করবার জন্য বিশাল একটি প্রান্তর। তা আপনি অবহেলা ভরে তা প্রত্যাখান করে বসলেন। এটাকে যদি কেউ অহংকার ভাবে তবে কি খুব বেশী ভুল হবে। স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে দিয়ে পক্ষান্তরে আপনি বঙ্গতাজ তাজুদ্দিনকেই অপমান অপদস্ত করছেন। মুখে বলছেন আওয়ামী লীগই আপনার একমাত্র ঠিকানা আবার আকারে ইঙ্গিতে যা বলছেন তা থেকে পরিস্কার বোঝা যায় যে অআপনার সহকর্মিরা কেউ ভাল মানুষ নন।

ধরে নিলাম তারা সত্য সত্যই খারাপ। তাই বলে আপনি চলে গেলেই কি তারা ভাল হয়ে যাবে। ভাল চলে গেলে খারাপ ডাবল ডিজিটে বাড়ে। আপনি আওয়ামী লীগে থাকবেন অথচ আওয়ামী লীগের বাজে ইলিমেন্টস গুলোর জানান দিয়ে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করবেন এটা কোন ধরনের মানসিকতা। ভাল খারাপ এই দুইটি পরস্পর বিরোধী শক্তির মধ্যে থেকেই ভালোটাকে ধরন করতে পারার নামই তো জীবনের সার্থকতা।

বঙ্গতাজ তাজুদ্দিন আহমেদও আওয়ামী লীগের ঐ অংশটির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। কই তিনি তো কখনো বলেননি ওদের জন্য আমাকে দুরে সরে যেতে হল। বরং তিনি দলে থেকে নিভৃতে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ইচ্ছা করলেই তিনি পুনরায় প্রধান মন্ত্রী হতে পারতেন। তিনি মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন তবুও বিন্দুমাত্র অন্যায়কে তিনি প্রশ্রয় দেননি।

আপনি যদি সত্যকার অর্থেই বাংলাদেশের মানুষকে ভালবাসতেন তাহলে ওভাবে সব ছেড়েছুড়ে চলে যেতে পারতেন না। যে থালে খাবেন সে থালাই ছিদ্র করবেন, এটা কতটুকু বৈধ। আপনি এত কিছু বোঝেন এই সহজ সত্য টুকু বোঝেন না কেন, তা আমার মাথায় ঢোকে না। কর্মক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গেলেই বুঝি সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শুধু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই আপনি যখন তখন মন্ত্রীত্ব গ্রহন ও বর্জন করতে সক্ষম।

এত সুবিধা থাকতেও কেন আপনি এমন অহংকারী হয়ে উঠলেন। আর আপনার কাছে আওয়ামী লীগ যদি এতটাই অসহ্য হয়ে যায়, তার কারনটা কেন আপনি সবাইকে বলছেন না। আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়ে নিজে একটি দল করলেই তো পারেন। ভবিষ্যতের মাঠও অক্ষত থাক এবং আপনার জেদও অক্ষত থাক। দুই নৌকায় পা রেখে চলার দৈত নীতিটাই আপনাকে ছাড়তে বলছি।

ড. কামাল, কাদের সিদ্দিকী তাদের মতোই ভবিতব্য আপনার জন্যেও অপেক্ষা করে আছে। এটাই নিয়ম। রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। ধীরে দীরে সবার মন থেকেও মুছে যাবেন। ভবিষ্যতে কেউ কেউ হয়তো বলবে সোহেল তাজ ভাল মানুষ ছিল।

এটুকুই আপনার জন্য তোলা রইল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।