আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলার পথে(পর্ব ১৭) -- বান্দরবান টু জাদিপাই, খ

চক্ষু মেলিয়া তাকানোর পর থেকে খালি বাঁদরামি করি যাহা দেখি সবই নয়া লাগে , , পাখির মতো মন হলেও,কলিজা বাঘের মতো , মানুষের মতো খালি দেখতে তে তে তে ১৮ মার্চ , ২০১২ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম । আজকের দিন টায় বেশ প্যারা আছে । কারণ আজ ৬ টি স্পট ঘুরে কাইক্ষ্যঝিরি যেতে হবে বিকালের আগে সম্ভবত ৪:০০বা ৫:০০ টায় নৌকার শেষ ট্রিপ। ঘুম থেকে উঠতে সবাই নারজ , একজন আরেকজনকে ঠেলাঠেলি । গালাগালি মারামারির পর আমরা সবাই রেডি , হোটেল চেক আউট করে বেরিয়ে পরলাম নাস্তা করতে ।

১৫০ - ১৬০ মধ্যে নাস্তা সেরে , পানি ও বিস্কুট কিনে ৭:৩০ জীপ এ যাত্রা শুরু করলাম , , হালকা রোদ , ভালই লাগছে । জিপের হেল্পার টা আংশিক বদ । ভাব নিয়ে থাকে । আধা ঘণ্টার ভিতর পৌঁছে গেলাম স্বর্ণমন্দির আর খেলাম মারা । কারণ গেট ঘুলবে ৮:৩০।

আসে পাশে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম । পাশেই আরেকটা পাহাড় । ড্রাইভার বলল ওইখানে দেবতার পুকুর আছে । পাহাড় বেয়ে সমতলে একটু হাঁটলেই পুকুর । ডিজিটাল পুকুর ।

ছবি দেখলেই বুজবেন দেবতার পুকুর আমি আর মন্দির সমানে সমানে কোন মতে ৮:৩০ বাজার সাথে সাথে , হাজির । এবার হল আরেক কাজ , থ্রি কোয়াটার পরে ভিতরে ঢুকা যাবে না । তাই গাড়িতে গিয়ে ফুল প্যান্ট পরে নিলাম । প্রবেশ পথ , প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা , এই টাকা মন্দিরে থাকা অনাথ দের জন্য ব্যয় করা হয় । নিয়ম কানুন গুলো পড়িয়া লন , এটি উপাসনালয় , তাই কোন রকম বাঁদরামি না করাই ভালো , , কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা উচিত না ।

টিপ টিপ পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম , ,চকচক করলেই সোনা মনে করিবেন না মন্দিরের রঙ সোনার মত , আর উপরে চূড়ায় নাকি স্বর্ণ আছে , যদিও উপরে উঠে দেখতে পারি নাই জাদি ছবি তুলা নিষেধ , , কিন্তু হায় মানে কে এখন কিছু ফটু দেখেন বিভিন্ন রাশির নামে ঘণ্টা খানা দেখসেন , , বাজাইতে মুন চায়সিসো , কিন্তু এটা তো আর নিজের এলাকা না এই তিনটা কে চেনেন , , আমার সাথের তিন বাদর , আমরা এক হালি বাঁদর মন্দিরের চারপাশে বুদ্ধের অনেক মূর্তি , সবগুলতেই বিভিন্ন ভাবে পরা পোশাক , তিনি কোন কোন দেশে কিভাবে বস্ত্র পরিধান করিতেন বাংলাদেশ ( এক মাত্র এইখানে পুরো শরীর ঢাকা ) শ্রীলঙ্কা কোরিয়া খুবই সুন্দর জায়গা , আরও ভালো লাগছিল কিছু সুন্দর ললনার আগমনে কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও থাকতে পারলাম , সময় স্বল্পতা । আবার মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের দিকে । এখানে বিশাল একটি লেক আছে , ২ টি জুলন্ত সেতু ,ক্যাবল কার চিড়িয়াখানা ও মিনি সাফারি পার্ক । বিশাল এলাকা , ঘুরতে বেশ ভালই লাগে । ৪ রুমের একটি বিশ্রামাগার আছে , ভাড়া ২০০০+ , বুকিং ০৩৬১-৬২৫০৬ প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা , ক্যাবল কার ৩০ টাকা জনপ্রতি ।

২ টা টিকেট গেট থেকেই কিনতে হয় । সদর গেট ঝুলন্ত সেতু ১ খোঁজ খোঁজ খোঁজ , হরিণ খোঁজ এবার ক্যাবল কার , অবস্থা শোচনীয় , লড়বরে অবস্থা । আল্লাহ মালিক বলিয়া উঠিয়া পরিলাম । ( মনে মনে জয় বাংলা) ক্যাবল কার থেকে সেতু টা দেখেন তো কত বড় পাহাড়ের উপরে ফলের দোকান , শুধুই ফল , দামও ভালই অবশেষে পাইলাম হরিণ , খাঁচায় । ভাবসিলাম হরিণের সাথে কানামাছি খেলব ওস্তাদ অস্থির দূর গন্ধ ২য় সেতু বাঁদরামির বিস্তর সুযোগ এবার নীলাচলের পথে ।

বান্দরবান শহরের কাছে এইটাই উছু পাহাড় , উচ্চতা ১০০০ ফুট । এখানে যাওয়ার সময় টোল ৫০ টাকা এবং প্রবেশ ১০ টাকা জনপ্রতি । পাহাড়ের উপর খুব সুন্দর জায়গা। আমরা যাওয়ার খানিক বাদেই বৃষ্টি আসার পাঁয়তারা । চারিদিক কালো হয়ে ভয়াল অবস্থা , ঝড় উঠেছে , প্রচণ্ড বাতাস ।

বেশ উপভোগ্য , কিন্তু বৃষ্টি যে আসল তার কোন মা বাপ নেই , মুষল ধারে । এখানে একটি রেস্তোরা ও একটি বিশ্রামাগার আছে । বুকিং ০৩৬১-৬২৬০৫ বৃষ্টির পর , , ( চলবে ) কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ , বানান ভুল ক্ষমা করবেন । বাংলার পথে(পর্ব ১৬) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, ক বাংলার পথে(পর্ব ১৮) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, গ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.