আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাকাইত ইলিয়াস আর কালা বিলাই সমগ্র! সব দোষ পাশের বাড়ির কুদ্দুসের!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! কেস স্টাডি ১: টিভির দোকানে কাসেম মিয়া তার ভাঙ্গা টিভি নিয়া আসছেন। ম্যাকানিক: কাসেম ভাই, টিভি নিয়া কি যুদ্ধে নামছিলেন? কাসেম ভাই: টিভি ভাইঙ্গা গেছে, অখন টিক করো। কথা কম কাজ বেশী! ম্যাকানিক: মানুষের টিভি ভাঙ্গা দেখছি, কিন্তু কারো টিভি যদি দাতের মাজনের মতো গুড়া হইয়া যায় তখন সন্দেহ জাগে! কাসেম ভাই: সব দোষ মুরলীধরনের! ম্যাকানিক: কুন মুরলী? ঐ শ্রীলন্কান? সে কি ফরিদপুর আইছে নাকি? কাসেম: ব্যাটা যখনই বল করে আশরাফুল আউট হয়। আর আশরাফুল যখনই আউট হয় বাংলাদেশ ১০-২০ রানে হারে।

ব্যাটস ম্যান আউট হইলে পুলাপান খেলে কেমনে? বোলাররা তো আর ব্যাটসম্যান না! ঐ ব্যাটা যদি বোল একটু কম ঘুরাইতো তাইলেই তো আশরাফুল একটু পিটাইতে পারে আর বাংলাদেশ জিতবার পারে। এই প্রশ্নের জবাব না পাইয়া রাগের মাথায় টিভি গুড়া হইয়া গেছে। অবশ্য অখন আর কাসেম ভাইয়ের টিভি ভাঙ্গে না, কারন আশরাফুল খেলে না! কেস স্টাডী ২: সাজ্জাদ ভাই দ্বিতীয় বিয়া করতেছেন। কাজী সাহেব তার প্রথম বিবাহটাও করাইছেন। একই কাজীকে ডেকে আনা হইছে দ্বিতীয় বিয়া করানোর জন্য।

কিন্তু কাজী সাহেব তেড়িবেড়ি করতেছেন। সাজ্জাদ: আপনের সমস্যা কি? কাজী: বুঝলাম না। আগের বৌমা তো ভালোই ছিলো। সে কি ডিভোর্স পেপারে সাইন করছে? সাজ্জাদ: হ। এই দেখেন! কাজী: তার কি দোষ ছিলো? তারে যতবার দেখছিলাম..... সাজ্জাদ: (দাত খিচা) তার কুনো দোষ ছিলো না।

সব দোষ ফার্মগেটের ঐ চা ওয়ালার! কাজী: কি কও এইটা? বৌমা শেষে চা ওয়ালার সাথে ভাগছে? সাজ্জাদ: আরে ধূর! কাহিনী হইলো তিনমাস আগে অফিস থিকা ফিরতে ছিলাম, ফার্মগেটে এমুন জ্যাম লাগলো যে কওনের মতো না। তো জ্যামে আটকাই আছিলাম ফার্মগেটে। একে তো বৃষ্টি তার উপর অফিস ছুটি। দুই ঘন্টা পর গাড়ির ড্রাইভার চা খাইলো। আমিও চা খাইলাম।

তিন ঘন্টা পর বাসায় আসতেই পেট ব্যাথা। আপনার বৌমা বলে কি হইছে? আমি কইলাম পেট ব্যাথা। বলে আমি নাকি বাসায় গেলেই একটা না একটা ছুতা। পেট ব্যাথা মাথা পাও ব্যাথা। এইটা নাকি ওরে ইগনোর।

এর আগের সপ্তাহে আমার মাথা একটু ধরছিলো। সেইটা হইয়া গেলো প্রতিদিন। এইটা নিয়া শুরু হইলো চিল্লাচিল্লি। সে দাড়ায় আছিলো টয়লেটের দরজা আগলাইয়া! কাজী: তারপর? সাজ্জাদ: আমি আটকায় রাখতে পারছিলাম না। তারে ঝগড়ার মাঝখানে একটু হাত দিয়া টাইনা সরাইয়া টয়লেটে গেলাম।

টয়লেট থিকা আইসা দেখি বৌ নাই, তার জামা কাপড়ও নাই। ১৫ মিনিটে সে হাওয়া। তার ১৫ দিন পর ডিভোর্স পেপার, অখন বিয়ার কাবিন আর খোরপোষের টাকার জন্য গাড়ি বেচলাম, অখন শর্ত সাপেক্ষে এক খান সিগন্যাচার নিয়া যৌতুক নিয়া বিয়া করতেছি! কাজী সাহেব দ্রুত বলে উঠলেন,"বাবা, আসো আমরা দ্রূত বিয়ের কাজটা সেরে ফেলি। অনেক দেরী হয়ে গেলো!" কেস স্টাডী ৩: এক কালে এক ছাত্র ছিলেন। ঢাকা ইউনিতে চান্স পাওনের পর সে আর ছাত্র থাকলো না।

ছোটখাটো চান্দা উঠানো শুরু করলো। বড় বড় নেতাদের সাথে ভালো উঠা বসা। হাতে অস্ত্র নিয়ে সামাল দিতে পারতো যেকোনো সিচুয়েশন। যখন হল দখল অথবা চাদার টাকা নিয়া বাগড়া, তখনই তার ডাক। একবার ঢাকা ইউনির প্রশাসক তাকে বহিঃস্কার করলেন।

তার কিছুদিন পর ছাত্রদলের নেতা ঘোষনা করে তাকে ফিরিয়ে আনা হলো ক্যাম্পাসে। কামে ছাত্র না হইলেও নামে ছাত্র ছিলেন। ফিরে গেলেন সিলেটে। উনি ওখানেও ছোটখাটো চাদাবাজী, টেন্ডারবাজী শুরু করলেন। একসময় চিন্তা করলেন অনেক তো হলো এখন নিজেই টেন্ডারের কাজ করবেন।

অবশ্য উনি লোক ভালো ছিলেন। গরীব দুঃখী মানুষদের অনেক সাহায্য করতেন। ৩ দিন ধরে না খেয়ে আছে, এমন লোক তার কাছে আসলে ন গদ টাকা দিতেন। ভালো কাজও দিতেন। বলতেন,"এই বাস স্ট্যান্ডে চাদা উঠানোর লোক দরকার।

আবার আমার মালে একটু নজরদারী করা দরকার। তো সেইজন্য একজন লোক দরকার!" এরকম অনেক লোক তার নিয়মিত চাদা উত্তোলন থেকে শুরু করে, বিভিন্ন রকমের অপকর্মে ঢুকিয়ে দিতেন। মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা শনৈ শনৈ গতিতে এগিয়ে গেলো। জনপ্রিয়তা এতোই বেশী হলো যে আরেক জনপ্রিয় নেতা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করলেন। সাইফুল ইসলামের দুর্বলতা ছিলো তার বড় ছেলে সেও ভালো মানুষ খালি মাঝে মধ্যে চান্দাবাজী আর গালাগালির স্বভাব ছিলো বৈকি, তবে মাঝে মাঝে জমি দখলও করতো কিন্তু সেইটা বড় কোনো দোষ না।

যাই হোউক, সাইফুর রহমান মারা গেলেন, সিলেটের বিএনপির কেন্দ্রীয় পোস্ট খানা তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। উনি যেদিন উনার পুরোনো শত্রুদের দ্বারা গুম হলেন সেদিনও উনি উনার অবৈধ টাকায় গড়ে তোলা অভিজাত এলাকার এপার্টম্যান্ট থেকে ফিরছিলেন। কি দারুন তাই না? ইন্জ্ঞিনিয়ারিং পড়ে বা ব্যাবসা করে মানুষ এতো বড় লোক হয় না কিন্তু উনি কেমনে বড় লোক হলেন? কারন এর পিছনে ছিলো ঢাকা ইউনির যেই হলে থাকতো সেই হলের খাওন। এই খাওন স হ্য করতে না পাইরাই পোলা বাইরে বাইরে ঘুরছে আর এইসব শুরু করছে! তাই ভাই, যারা এরম বড় মানুষ হইতে চাই তারা হলের খাওন আর না খাই! কেস স্টাডী ৪: কালা বিড়াল ইদানিং আর দেখা যায় না। আগে মিউ মিউ করতো এখন আর করে না।

কারন সব দোষ মোবাইল কোম্পানীর। এই মোবাইল কোম্পানী আগেই দেশের থিকা সব টাকা নিয়া যাইতেছে এখন তারা কালা বিলাইয়ের পিছে লাগছে! আগে আমাদের কালা বিলাই জাতীর বিবেক ছিলো। লোকে বলতো উনি নাকি নীতির বেলায় উনার বাপকেও ছাড়তেন না, আমরা তো নস্যি। তার কথার জ্বালায় ব হু নেতাকর্মীর মনে জঙ্গলের দাবানলের মতো আগুন ধইরা যাইতো। এখন আপনেই কন ড্রাইভার সাহেব তার হিস্যায় ১০ লাখ টাকা চাইছিলো এইটা কি খুব বেশী ছিলো না? আসলেই বেশী ছিলো।

কালা বিলাই মন্ত্রী মানুষ তার ভাগে ৪ কোটি ৭০ লাখ আসলেই কম। অখন তারে এপিএস আর মহাপরিচালক ৫০০০০ টাকা দিয়া রফা করতে চাইছিলো সেইখানে ১০ হাজার টাকার বান্ডিলতো দিছে, নাকি? তো সেইজন্য কি সবাইরে নিয়া গালাগালি করতে করতে বিজিবির সদর দপ্তরে ঢুইকা যাবি? ব্যাটা তুই একটা ড্রাইভার! আচ্ছা নিলিই না হয়! কারন আমাগো সেনাবাহিনীও যে আরও বড় ডাকাত এইটা সবাই জানে। তাই বইলা তুই সাংবাদিক গো মোবাইলে কল দিবি কেন? আর আমার কথা হইলো মোবাইল কোম্পানীগুলানের কি খাইয়া দাইয়া কাম ছিলো না যে দৈনিক এত কল কাইটা দিতে পারে, এইটাও কি কাইটা দিতে পারলো না? অখন বুঝো মজা, আমাগো জাতীর বিবেক কালা বিলাই অখন কানতেছে। ভাগের ৪ কোটি খাইলো বিজিবির পোলাপান, আর ৭০ লাখের মতো অল্পটাকার লিগা পচা শামুকে পা কাটলো! ইজ্জত খান কই গেলো। এখন এই দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হইয়া চলবো কেমনে? পেটের মধ্যে তো সব কথা ভূট ভাট করতাছে! কারে কেমনে কই? মোবাইল কোম্পানী গুলানের ব্যান চাই! কেস স্টাডী ৫: অভি নামের এক সুদর্শন এমপি ছিলেন যদিও আমি দেখি নাই কোনো দিন।

এমপি হওনের পর উনার কোনো টাকা মাইরা খাওনের ঘটনা শুনি নাই। অনেক সৎ ছিলেন, জন দরদী ছিলেন। তো একটু আধটু আলুর দোষ ছিলো। এইটা থাকতেই পারে। তো উনি কি করলেন, একখান বিবাহিত মডেলরে লাইক মারলেন।

লাইক মারতে মারতে মনের ভুলে মাইরাই ফেললেন। মানুষের ভুল হইতেই পারে। এইটাও একখান ভুল ছিলো। উনি জাতীর পার্টির এমপি ছিলেন! চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসনের পর জন গন শান্তিতেই ছিলো। আসলেই অনেক সুখে ছিলো।

কিন্তু ঐ যে সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। নিজামী গাড়ীতে পতাকা লাগায়া ঘুরে, মুজাহিদ শহীদ মিনারে ফুল দিতে চায়। জন গনের স হ্য হয় না! আমি তখন জনে জনে জাইগা জিগাইতাম,"আব্বে, তোরে কি কেউ হাইজ্যাক করছে? পরীক্ষা হলে নকল হয়? চাকরীর লিগা তদ্বীর করতে হয়? মাসে কয়বার বিদ্যূতের দাম আর চালের দাম বাড়ে?" সবকিছুর উত্তর না সত্বেও কথা কারো কানে যায় নাই। খালি কানে যাইতো তারেক জিয়া কয়টা টাকা নিজের ভবিষ্যতের জন্য আলাদা কইরা সিঙ্গাপুরে রাইখা আসছে, তো দোষের কি হইছে? অথবা তার পেয়ারের দোস্ত গিয়াস কয়টা টেন্ডার না হয় পাইছেই, তাতে কি হইছে? আর ফালু কয়টা টিন চুরী কইরা নিজের গোডাউনে শ্রমিকের থাকনের ব্যাবস্হা করছে কিন্তু সে তো খালেদা জিয়ার নামে একখান বৃদ্ধা আশ্রম তো করছে, নাকি? মাগার জন গনের ভালা স হ্য হয় না! নাইলে দেখেন, অখন সপ্তাহ সপ্তাহে বিদ্যূতের দাম বাড়ে, মাগার ঘরে ফ্যান ঘুরে না। চাউলের দাম ১০ টাকা করনের নাম কইরা অখন মনে হয় হাফ সেন্ঞ্চুরী মারছে।

আশরাফুলের ব্যাটে রান নাই, মাগার কাচা বাজারে সবাই হাফ আর ফুল সেন্ঞ্চুরী পিটাইতেছে। হাইজ্যাক বাদ দেন, র‌্যাব যার গায়ে হাত দেয়, তার গা পাওয়া যায় না। তাই অখন সবাই দোয়া করে, হে আল্লাহ, আমারে যেনো পুলিশে ধরে, তাও র‌্যাবের হাতে ধরাইও না। তাইলে আমি নিজেও জানুম না যে আমি মইরা আছি না বাইচা আছি! টাকা তো টাকা, জমিন ভিটা সব যাইবো! আর তখন তো দুয়েকটা মাইয়া মরছে, তাও আবার কোথাকার কোন মাইয়া। আর অখন তো মাইয়াগো ভিড্যু ঘরে ঘরে।

বাপ মায়েরে বাইন্দা রাইখা সেই ভিড্যু করা হয়। আবার আপনে আমি সেই ভিড্যু খান দেখনের লিগা নিজের ইমেইল লিংক দেই। এক নিকে ধর্মীয় পোস্ট দেই আর আরেক নিকে এই পর্ন ভিড্যু লিংক চাই! আমরাই যখন এরম, তখন এগুলান তো কোনোই ব্যাপারস না! কেস স্টাডী ৬: যেদিকে তাকাই সেদিকেই ব্যাংক। সবার কাছে ৪০০ কোটি টাকা। দেশে বলে টাকা নাই, মাগার ৬ টা না ১৬ টা ব্যাংক খুললো।

হিসাবে তো ২-৩ হাজার কোটি টাকা এগো হাতে। কেমনে কি? কে কইলো দেশে টাকা নাই? ২-৩ হাজার কোটি টাকা তো মোবাইল কোম্পানী বাদ দেন বড় বড় কোম্পানীও কামাইতে পারে নাই, এরা পারলো কেমনে? হাসিনা আপা অনেক জ্ঞানী মানুষ। উনার লীগের ছেলেরা সব সোনার সন্তান। উনার সময় দেশ আসলেই সোনায় ভইরা গেছে। কিন্তু আমরা ভাই পিতলের মানুষ।

সোনা হজম হয় না। সামনে আমরা খালেদাকে ভোট দিবো। উনার ডায়মন্ডের ছেলেদের কার্যক্রম দেখার জন্য। সমস্যা হইলো আমাগো ডায়মন্ডও হজম হয় না! তাইলে দোষটা কার? দোষটা তো দেখি আমাগো এলাকার মুদীর দোকানদারের! কারন তাগো চাল খাইয়াই তো আমরা আরামে বইসা এই ডিসিশন নেই, তাই না? অখন বলেন আপনে কোনটা চান : গোল্ড না ডায়মন্ড? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।