আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"দাঁড়ি মুন্ডন করা, মদ্যপান করা হারাম।-বললেন বাইবেলের সদাপ্রভূ ঈশ্বর"

পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! বাইবেলে যারা বিশ্বাসী বা যারা বাইবেলের উত্তসূরী বলে নিজেরদের পরিচিত প্রদান করে থাকেন; তারা যদি অন্তত একবার পুরো বাইবেলটা কষ্ট করে পড়ে নিতেন তবে 'টেররিস্ট' শব্দটির উদ্ভব করতে পারতেন না। কারণ, এই শব্দাটির পশ্চাত্যে যে দৃশ্য বা চরিত্র ভেসে উঠে; তা হল লম্বা পোকাশের দাঁড়িওয়ালা । বাইবেল অনুসারীরা যদি লেবীয় পুস্ককের ১৯:২৭ নং গদটির অনুসরণ করত তবে নিজেদের জন্য উক্ত শব্দটি কখনোই ব্যবহার করতেন না। কেননা উক্ত গদে বলা রয়েছে: “তোমরা মাথার চারপাশে চুল মন্ডাকার করবে না,দাঁড়ির কোণ মুন্ডন করবে না। ’’ উক্ত গদ মেনে দাঁড়ির কোণ মন্ডুন না করলে ‘টেররিস্ট’ শব্দটি নিজেদের জন্যই বরাদ্ধ থেকে যেত।

বস্তুত এরা না বাইবেলের অনুসারী,না তালমুদের; এরা তো তাদের আপন নফসের অনুসারী। বিকৃতীসাধনই এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। লেবীয় পুস্তক ১৯:২৭ তোমরা মাথার চারপাশে চুল মন্ডাকার করবে না, দাঁড়ির কোণ মুন্ডন করবে না। 19:[27] Ye shall not round the corners of your heads, neither shalt thou mar the corners of thy beard. শশ্রুধারী লম্বা পোশাক পরিহিতদের একটা উদাহরণ দেওয়া যাকঃ একজন পিতা তার দুই সন্তানকে ডেকে কাজের আদেশ দিলেন যে, আমাদের উমুক তাবুটা অস্ট্রেলিয়ার ইয়ারি ঝড়ে নুয়ে পড়ে গেছে; আর আমেরিকার তুসার পাতে বাড়ির বাহিরে বেড় হওয়া আমার জন্য দূরহ হয়ে পড়েছে সুতরাং তোমরা দুই ভাই গিয়ে তাবুটা মেরামত করে এসো। তাদের হাতে কিছু দড়ি আর একটা ছুরি দিয়ে বললেন- এই দুটিই তোমাদের কাজে লাগবে তাবু মেরামতের সময়।

তবে এর অপব্যবহার থেকে দূরে থাকবে। আমার জীবনে আমি তোমাদের যে মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়েছি তার বিপরীতটা কখনোই করবে না। পিতার সামনে মৌখিক স্বীকারোক্তি দিয়ে পুত্রদ্বয় তাবু মেরামতের কাজে চলল। সেখানে গিয়ে পরস্পরের মধ্য এই নিয়ে বিবাদ হল যে, আমি বেশী কাজ করেছি আর তুমি বসে বসে আমার উপর হুকুমদারী করেছ। বিবাদের এক পর্যায়ে তাদের একজন অপরজনকে হত্যা করে বসলো।

ছুরির ব্যবহার করে। হত্যার পর তাকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে- পিতাকে গিয়ে বলল, পিতা তার হাতে কেন দড়ি দিয়েছেন; সে তো দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে আর এটা ঘটেছে আপনারই জন্য। এখন বলুন তো এ দোষ কি ঐ পিতার? কেউ যদি মুখে ইসলাম বা নিজেকে মুসলিম দাবি করে অপরাধ করে বা ইসলাম না বুঝে ইসলামকে ব্যবহার করে সে দায়-দায়িত্ব কি ইসলাম বা মুহাম্মদের (সাঃ)? মৌখিক স্বীকৃতি দিয়ে ইসলাম নামের লাগাম মুখে লাগিয়ে মুসলিম নামের ছীল মারা চাদর গাঁয়ে জরিয়ে কেউ যদি অপরাধ করে তবে কি সেই অপরাধের দায়-দায়িত্ব ইসলামের হয়ে যাবে? (যেখানে সে ইসলামের হুকুম-আহকাম এবং মূল শিক্ষা থেকে অনেক দূরে আর অন্তরের দিক থেকে এতটাই পিছয়ে যে, পরমেশ্বরের সামান্যতমও ঠাঁই নেই সেখানে; আপন ইচ্ছা আর নফসই যেখানে ঈশ্বরের চেয়ে বড় হয়ে যায় সেখানে অদৃশ্য পরম স্রষ্টার কি দরকার? উপর উপর যতটুকু দেখা যায় সেটাও তো দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের অতি-অভিনয়; সামাজিক ক্যামেরাগুলোর সামনাসামনি)। যদি এভাবেই দোষ-গুণ নির্ণয় করা হয়ে থাকে তবে, অপরের দোষে আপন গর্দানটাই সঁপে দেওয়া উপযুক্ত বিচার বলে গণ্য হবে। তাছাড়া, কেউ কি আপনার থেকে আপন দোষগুলি বর্ণনা করে শাস্তি মাথা পেতে নিতে ব্যস্ত হয়ে উঠবে? সবাই তো অপরের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে আপনকে পুত-পবিত্র প্রমাণ করাতে পারদর্শী।

(সরকারী আর বে-সরকারী দলগুলোর পালাক্রম আর্বতন-প্রত্যাবর্তনের দিকে তাকালেই এর নমূনা পাওয়া যায়) তবে বিলেতে এই চিত্রটা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। হিজবা পড়া, লম্বা-চম্বা বোরকার মত পোশাক পড়া মহিলাগুলোর দিকে তাকিয়ে যে কেউ নির্মিষেই বলে দিবে এরা যাদরেল মুসলিম। তবে এরা বিলেতের রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছে কেন- তাও আবার সালাম প্রদর্শন পূর্বক? বিলেতের মুসলিমদের অবস্থা কি এতটাই শোচনীয়? আবার তাদের কতক কে দেখা যায় অবৈধ কাজেও লিপ্ত- তবে কি ইসলাম এদের অসভ্য হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে? না, ঠিক তা নয়। মুসলিমের মত পোশাক পড়া্‌ এই মহিলাগুলো মুসলিম নয়; এরা রোমেনীয়ান- এদের পোশাক পড়ার ক্যালচারটাই এধরনের। লম্বা লম্বা জামা আর হিজাব পড়া এদের সমাজিক ক্যালচারেরই অংশ।

এর পাশাপাশি তাদের আরো কিছু চিত্রাকর্ষ কাজ রয়েছে- রাস্তার পার্শ্বস্থ দোকানীদের কে বাড়তি ঝামালা দেওয়া, চুরি করা আর পরিবার গুলোকে ফুলবল টীমের আকার দেওয়া- গন্ডায় গন্ডায় সন্তানের জন্ম দেওয়া। এমনো দেখা যায় যে,তাদের সন্তানদেরও হয়ত গোটা কতক সন্তান রয়েছে। এটাকে অস্বীকার করার জো নেই, কারণ, অল্প বয়সে বিয়ে এবং সন্তান গ্রহণ করাটা তাদের সমাজের প্রচলিত একটা ঘটনা। পৃথিবীর কনিষ্ঠতমদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ১০ বছর বয়সী মেয়ের মাটীকা-৪ হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছিল রোমানীয়ায় আর এর প্রসঙ্গে মেয়ের মা বিবৃতি দিয়ে বলেছিল- এটা আমাদের সমাজের অতি মামুলি ঘটনা, অস্বাভাবিক বা অতি রহস্যের কোন কিছু নয়। এতে বিশ্ববাসীর কৌতুলী হওয়ারও দরকার নেই।

সুতরাং,পোশাক পড়ার ধরণের উপর লক্ষ্য করে রোমানীয়দেরকেই নবীর সুন্নতের অনুসারী বলতে হবে আর গীর্জার নানদেরকেই হিজাবের উত্তরাধিকারী উপাধি দিতে হবে,ভগবত ধর্মের সন্যাস এবং শিখরাও কিন্তু বাদ যাবেন না- দাঁড়ি সুন্নতের দিক থেকে বিচার করলে। দাঁড়ি থাকাতেই যদি মানুষকে মুসলিম এবং জঙ্গি বলা চলে তবে হলুদ হিমু (নয় হিন্দু নয় মুসলিম ['হি' তে হিন্দু আর 'মু' তে মুসলিম]), সন্ন্যাসী আর শিখদেরকেই আগে বলতে হবে। আর টুপি দিয়েই যদি ইসলামকে বিচার করতে হয় তবে পোপদেরকে কে্ন এই ধারায় অভিযুক্ত করা হয় না? নানদের হিজাব পড়ে যত্র তত্র চলাফেরা বা স্কূলে অধ্যয়ন করাতে কেউ বাঁধা দেয় না আবার রোমেনীয়দের বোরকার মত পোশাক পড়ে কৃত অপকর্মের জন্য কারো মানবাধিকারও লঙ্গন হয় না- বরং তাদের উক্ত পোশাক পড়ে করা অপরাধের কলঙ্ক যেন শুধুই ইসলামের-মুসলিমের? মদ বা উগ্র পানীয় নিশ্চিতভাবেই মানুষের জন্য ক্ষতিকর এবং বুদ্ধিনাশক, এমনকি এটি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে আর যার ফলে মানুষের স্বাভাবিক বংশবিস্তারসহ পরবর্তী বংশধরদের জন্য মারাত্মক বলে লেবীয় পুস্তকের ১০:৮ নং গদে সদাপ্রভু ঈশ্বর মদ্যপান চিরতরে জন্য হারাম করে দিলেন। হোসেয়া ৪:১১ এ সদাপ্রভূ মদ্যপেয়ীকে তুলনা করলেন বেশ্যাগিরির সাথে, মাতালরা অত্যাচারী আর তাদের দর্শন ভ্রান্ত এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত বিচারকার্যও ভ্রান্ত। লুক-রচিত সুসমাচার ১:১৫ এ মানুষকে হুশিয়ারী দিয়ে দেওয়া হল যে, হে মানবসকল, তোমাদের মোশীহ আঙুররস/মদ্য পেয়ী হবেন না এবং তিনি মাতৃগর্ভ থেকেই পবিত্র হবেন।

লেবীয় পুস্তক: ১০:৮ প্রভু আরোনকে বললেন,৯'তুমি বা তোমার সন্তানেরা সাক্ষাত-তাঁবুতে প্রবেশ করার সময়ে আঙুররস/মদ্য বা উগ্র পানীয় খেয়ো না,পাছে তোমাদের মৃত্যু ঘটে: এ চিরন্তন বিধি, যা পুরুষানুক্রমে তোমাদের পক্ষে পালনীয়। And the LORD spake unto Aaron, saying, Do not drink wine nor strong drink, thou, nor thy sons with thee, when ye go into the tabernacle of the congregation, lest ye die: it shall be a statute for ever throughout your generations: (Leviticus 10:9) প্রবচনমালা ৪:১৭ হ্যাঁ, তারা অপকর্মের রুটি খায়,অত্যাচারের আঙুররস/মদ্য পান করে। For they eat the bread of wickedness, and drink the wine of violence. (Proverbs 4: 17) ইসাইয়া ২৮:৭ এরাও আঙুররসে/মদ্যে ভ্রান্ত ও মদ্যপানে টলটলায়মান হচ্ছে। যাজক কি নবী সকলেই মদ্যপানে ভ্রান্ত,আঙুররসে/মদ্যে নিমজ্জিত;তারা মধ্যপানে টলটলায়মান,দর্শনে ভ্রান্ত ও বিচার-সম্পাদনে টলটলায়মান। But they also have erred through wine, and through strong drink are out of the way; the priest and the prophet have erred through strong drink, they are swallowed up of wine, they are out of the way through strong drink; they err in vision, they stumble in judgment. (Isaiah 28:7) যোয়েল ১:৫ হে মাতাল সকল,জেগে ওঠ,চোখের জল ফেল;হে আঙুররস/মদ্য পান কর যারা,তোমরা সকলে চিৎকার কর সেই নতুন আঙুররসের জন্য,যা তোমাদের মুখ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

Awake, ye drunkards, and weep; and howl, all ye drinkers of wine, because of the new wine; for it is cut off from your mouth. (Joel 1:5) হোসেয়া ৪:১১ বেশ্যাগিরি, আঙুররস/মদ্য ও মাতলামি বুদ্ধি হরণ করে। Whoredom and wine and new wine take away the heart. ( Hosea 4:11) লুক-রচিত সুসমাচার ১:১৫ কারণ সে প্রভুর সম্মুখে মহান হবে। সে আঙুররস/মদ্য বা উগ্রপানীয় পান করবে না, মাতৃগর্ভে থেকেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হবে। For he shall be great in the sight of the Lord, and shall drink neither wine nor strong drink; and he shall be filled with the Holy Ghost, even from his mother's womb. (Luke 1:15) [-] কিন্তু যোহন তার রচিত সু-সমাচারে (যোহন ২:১-১০) ঈশ্বরের নিষেধ কে উড়িয়ে দিয়ে মোশীহের মুখ দিয়ে নিজেই বললেন মদ্যপানের বৈধতার কথা। যেখানে সদাপ্রভূ মোশীহের মুখ দিয়ে বাইবেলের বিভিন্ন অ্যধায়ে মদ্যপানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন, যার প্রমাণ পাওয়া যায় বাইবেলের আদি এবং নতুন লেবীয় পুস্তক: ১০:৮ ,প্রবচনমালা ৪:১৭, ইসাইয়া ২৮:৭,যোয়েল ১:৫, হোসেয়া ৪:১১,লুক-রচিত সুসমাচার ১:১৫ তে।

যেখানে সদাপ্রভূ মোশীহকে মদ থেকেই পবিত্র করেছেন, সেখানে তিনি নাকি জলকে মদ্যে পরিণত করে দিলনে অন্য সবার জন্য? এখন আপনারাই বলুন সদাপ্রভু ঈশ্বর মিথ্যাবাদী না যোহন? যোহন ২:১-১০ তিনদিন পর গালিলেয়ার কানায় এক বিবাহউৎসব হল। যীশুর মা সেখানে ছিলেন। ২ যীশু ও তাঁর শিষ্যেরাও উৎসবে নিমন্ত্রিত হলেন। ৩আঙুররস ফুরিয়ে যাওয়ায় যীশুর মা তাঁকে বললেন, 'ওদের আঙুররস নেই। ' ৪যীশু তাঁকে বললেন, 'নারী, তুমি আমার কাছে কী চাও? আমার ক্ষণ এখনো আসেনি।

'৫তাঁর মা চাকরদের বললেন, 'উনি তোমাদের যা কিছু বলেন, তোমরা তা-ই কর। ' ৬ইহুদীদের প্রথা অনুসারে শুদ্দীক্রিয়ার জন্য সেখানে পাথরের ছ'টা জালা রাখা ছিল, প্রত্যেকটিতে দু'তিন মণ জল ধরত। ৭ যীশু চাকরদের বললেন, 'জালাগুলো জলে ভর্তি কর। ' তারা সেগুলোকে কানায় কানায় ভর্তি করে দিল। ৮ পরে তিনি তাদের বললেন, 'এখন তোমরা কিছুটা তুলে ভোজকর্থার কাছে নিয়ে যাও।

' তারা তাই করল। ৯ কিন্তু যখন ভোজকর্থা আঙুররসে পরিণত সেই জল আস্বাদ করল- সে তো জানত না, তা কোথা থেকে এসেছে, কিন্তু যে চাকররা জল তুলেছিল তারাই জানত-তখন বরকে ডেকে ১০ বলল, 'সবাই প্রথমে ভাল আঙুররস পরিবেশন করে, আর অতিথিরা বেশ কিছু খাওয়ার পরে কম ভালটা দেয়; আপনি কিন্তু ভাল আঙুররস এখন পর্যন্তই রেখেছেন। ' যোহন মধ্যপান সম্পর্কে অপর লেখদের বিপক্ষে অবস্থান করলেও শূকর এবং এর মাংসজাত হাম,বেকন,পোর্ক সম্পর্কে নতুন কোন সু-সমাচার লিপিবদ্ধ করেনি বা এর বৈধতার ব্যাপারে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি। তবে এই পশুটি ভক্ষণের উপযুক্ত কিনা সে সম্পর্কে লেবীয় পুস্তকের গদগুলোই তুলে ধরা হলঃ এই লিঙ্কে -http://www.somewhereinblog.net/blog/gurudevgi/29580184 সূত্রঃ ‘কেন এই মিথ্যাচার?’ লেখকঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান http://www.oneallah.org ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।