আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"সন্তানের প্রতি পিতামাতার অধিকার!"- বাইবেলী অধিকার

পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! প্রথমতঃ ইসলামের বার্তা বাহক জনাবে মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর জীবনদশায় তিনার সন্তানদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছিলেন?- এই প্রশ্নটি যদি উৎথাপিত করা হয়, তবে এমন একটি হাদীসের প্রমাণ দাঁড় করানো সম্ভব হবে না যে তিনি সন্তানদেরকে শাসনের তাগিদে হস্তঘাত করেছিলেন? এই দৃষ্টান্ত থেকেই বলা চলে- শাসনের নামান্তরে সন্তানকে মারপিঠ করা সুন্নতের অন্তরভূক্ত নয়। হ্যাঁ, শাসন করার অধিকার পিতামার রয়েছে; তবে শাসনের নামে অবিচার করার অধিকার নেই। অবাধ্য সন্তাদের প্রতি কিরুপ আচরণ করতে হবে; ইসলাম তার একটা সীমা রেখা বেঁধে দিয়েছে। অবাধ্য সন্তানদের বেদমভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার আদেশ দেয় না বরং গর্ভঃপাত ঘটানোকে বা কন্ডোসেপশনের মাধ্যমে বন্ধকরাকেও জঘন্য অপরাধ বলে (হযরত আব্দুল্লাহ বিন মা্সউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, 'আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সব থেকে বড় পাপ (গোনাহ) কি?' তিনি বললেন, "যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তার সঙ্গে অন্যকে সমকক্ষ করা। আমি বললাম, 'অতঃপর কোন পাপ?' তিনি বললেন, "সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করা যে, সে তোমার সাথে খাবে।

" আমি বললাম, 'তারপর কোন পাপ?' তিনি বললেন, "প্রতিবেশীর স্ত্রীর সহিত ব্যভিচার করা। " (বুখারী ও মুসলিম)) । যেখানে একটি অ-পরিপক্ক শুক্রানু-ডিম্বানুর সুরক্ষার কথা বলেছে ইসলাম, সেখানে কথা না শুনার অপরাধে জনসম্মুখে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার কথা বলা হয়েছে বাইবেলের দ্বিতীয় বিবরণের ২১ নং পরিচ্ছদের ১৮ থেকে ২১ নম্বর গদে। দ্বিতয় বিবরণঃ ২১:১৮-২১ যদি কারও ছেলে জেদি ও বিদ্রোহী হয়, পিতামাতার কথা না শোনে ও শাসন করলেও তাদের অমান্য করে, ১৯ তবে তার পিতামাতা তাকে ধরে শহরের প্রবীণবর্গের কাছে, ছেলেটি যেখানে বাস করে, সেই নগরদ্বারেই নিয়ে যাবে; ২০ তারা শহরের প্রবীণদের বলবে: আমাদের এই ছেলে জেদি ও বিদ্রোহী, আমাদের কথা শোনে না, সে অপব্যয়ী ও মাতলামি-প্রিয়। ২১ সেই শহরের সমস্ত পুরুষলোক তাকে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলবে; এইভাবে তুমি তোমার মধ্য থেকে অপকর্ম উচ্ছেদ করবে, আর গোটা ইস্রায়েল শুনে ভয় পাবে।

' [18] If a man have a stubborn and rebellious son, which will not obey the voice of his father, or the voice of his mother, and that, when they have chastened him, will not hearken unto them: [19] Then shall his father and his mother lay hold on him, and bring him out unto the elders of his city, and unto the gate of his place; [20] And they shall say unto the elders of his city, This our son is stubborn and rebellious, he will not obey our voice; he is a glutton, and a drunkard. [21] And all the men of his city shall stone him with stones, that he die: so shalt thou put evil away from among you; and all Israel shall hear, and fear. এরা সেই জনগোষ্ঠী যারা নিজেদেরকে বাইবেলের যোগ্য ধারক এবং বাহক মনে করেন এবং যারা বাইবেরের আদলে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে নিঃপাপ শিশু হত্যার তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে আর বিগত কতক শতাব্দী ধরে এই তান্ডব কেবলমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত দেখগুলোতেই ঘটিয়ে আসছে! যদি প্রশ্ন করা হয়, কেন মুসলিম দেশ? উত্তরটা বিকৃত বাইবেলেই রয়েছে, আপন সন্তানকে হত্যা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে- কথা না শুনার জন্য, অবাধ্যতার জন্য; তবে মুসলিমরা তো তাদের আপন সন্তান নয়, যারা জাতিগতভাবেই তাদের অবাধ্য (তাদের মতানুসারে)। তারা (মুসলিমরা) তো তাদের স্বহস্তে বিকৃত করা বাইবেলের অনুগত নয় আবার তাদের মত করে নিজেদেরটাও বিকৃত করতে রাজি নয়। সুতরাং এদেরকে হত্যা করাটা তাদের জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা না হলে বাইবেলের উক্ত নিয়মের অমান্য করা হবে এবং ততসঙ্গে ম্যসন (freemasons) ইউনিভার্সালিজমদের নতুন (৬৬৬) নিয়মের ব্যতিক্রম করা হবে। অনেকেই বলে থাকেন, শুধুমাত্র ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নয় বরং একের পর এক ইসলামী রাষ্ট্রের উপর আক্রমনের অপর একটি উদ্দেশ্য- যা উক্ত দেশগুলোর খনিজ সম্পদ।

কিন্তু freemasons দের মিশনারী পর্যবেক্ষণ করলে– ধর্মীয় ইস্যু্টিই প্রবল হয়ে উঠে। এটি এমন একটি গোপনীয় সংস্থা যা এক-চোখা একটি সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে নতুন বিশ্বের যাবতীয় নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করে আসছে নেপত্যে। আর এই চিহ্নটি সচরাচর দেখা যায় তাদের ধর্মীয় ধর্মশালাগুলোতে। যার সদস্য পদ লাভ করতে পারে কেবলমাত্র পুরুষ এবং আঠারো উর্দ্ধ। এ কেমন ধর্মভিত্তিক প্রোপাগান্ডা যাতে নারীদের সরাসরি সদস্য করা হয় না? (freemasons সম্পর্কে জানতে ‘এক-চোখা ‘লুসিফার’ শয়তানের ৬৬৬ আইনের বাস্তবায়নকারী দর্জ্জালবাহিনী’ নামক শিরোনামটি পড়ুন) (অসম্পূর্ণ..... মন্তব্য করার পূর্বে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অনুরোধ করা হল, ধন্যবাদ) পোষ্টটির ধারাবাহিকতায় আসছেঃ ক. freemasons সম্পর্কে জানতে ‘এক-চোখা ‘লুসিফার’ শয়তানের ৬৬৬ আইনের বাস্তবায়নকারী দর্জ্জালবাহিনী’ খ. পুরুষের সঙ্গে যে মেয়েদের কখনো মিলন হয়নি, তাদের তোমাদের নিজেদের জন্য বাঁচিয়ে রাখ।

(গণনাপুস্তক ৩১:১৭-১৮) গ. অপরুপা সুন্দরী, উচ্চবংশের ধনাট্য মেয়েকে (তার মতের বিপরীতে) বিয়ে করতে হলে, বাইবেলের দ্বিতীয় বিবরণের নিয়ম মেনে চলুন। সূত্রঃ ‘কেন এই মিথ্যাচার?’ লেখকঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান http://www.oneallah.org ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।