আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তির উপায়

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই ছোটবেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম। এক গাঁয়ে ফোঁড়া বা পাঁচড়া হলে কেউ ডাক্তারের কাছে যায় না। সবাই যায় এক নাপিতের কাছে। নাপিতের যেহুতু চিকিৎসা বিজ্ঞান সমন্ধে কোন জ্ঞান নেই, তার কাছে গেলেই সে লোকের ফোঁড়া/ পাঁচড়া খুর আর কাঁচি দিয়ে কেটে দিতো। অন্যদিকে গাঁয়ের ডাক্তারদের কাছে কেউ যেতোই না।

কারন, ডাক্তাররা জানতেন, এই ফোড়াটা কেটে দিলে, যেকোন শরীরের যে কোন ক্ষতি হতে পারে, যেকোন শিরা,উপসিরা কেটে মরেও যেতে পারে রোগী। তাই, তারা খুব সহজে এই চিকিৎসা করতেন না। করলেও নানারকম ওষুধপত্র দিতেন। কতরকম খরচা। তাই রোগীরা নাপিতকেই মহা রোগের চিকিৎক ভাবা শুরু করলেন।

ডাক্তাররা পড়লেন মহাবিপদে। একবার, পাঁচ গাঁয়ের বড় ডাক্তার সব ডাক্তারকে জড়ো করে এই সমস্যা থেকে নিরসনের উপায় বের করতে বললেন। তখন এক বুড়ো ডাক্তার বললেন, নাপিতকে ডেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জ্ঞান দেয়া হোক। যে বিদ্যার কারনে আমরা মানুষের ফোঁড়া আর পাঁচড়ার চিকিৎসা করতে পারিনে সেই বিদ্যা দেয়া হোক নাপিতকে। যেই কথা সেই কাজ।

ডাকা হলো নাপিতকে। বড় বড় বিদ্যানেরা বসে নাপিতকে দিতে শুরু করলেন চিকিৎসা শাস্ত্রের জ্ঞান। নাপিতও বেশ পড়তে শুরু করলো, মনে মনে ভাবলো নিজের পায়ে কুড়োল মারা বুঝি একেই বলে। শেখাও বিদ্যা, এখনতো শুধু ফোঁড়া কাটি; ভবিষ্যতে সব রোগের চিকিৎসা আমিই করবো। এভাবে একদিন শেষ হলো নাপিতের বিদ্যা শিক্ষাগ্রহণ।

সময় এলো, নাপিতের জ্ঞানকে কার্যে প্রয়োগ করার দিন। ডাকা হলো ফোঁড়ার যন্ত্রণায় কাতর এক রোগীকে। নাপিতকে বলা হলো, কাটো এই ফোঁড়া। নাপিতও ছুরি,চাকু যন্ত্রপাতি সব নিয়ে হাজির। বেশ একখান ফোঁড়া, এই ধর আর কাট।

কিন্তু একি কেঁপে উঠলো নাপিতের হাত। নাপিত ফোঁড়া কাটতে গিয়ে দেখতে পেল ধমনী শিরা, যা কেটে গেলে মরে যেতে পারে সামনের এই রোগীটি। নাপিতের ফোড়া কাটা বন্ধ হলো। কেন এতক্ষণ ধরে এই গল্প বললাম, এখন তার ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। পত্রিকায় দেখলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে ১০০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন।

দিয়েছেন, খুবই ভালো কথা। কিন্তু আমাদের দাবী হলো, এসব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করতে হবে, কোরানকে বাংলায় পাঠ করতে। আর সেই সঙ্গে তাদের জন্য ইংরেজী ভাষা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক পড়ালেখা বাধ্যতামূলক করা হোক। তাদেরকে শেখানো হোক, বিবর্তন বাদ। তাদেরকে জানানো হোক পৃথিবী গালিচার মতো চারকোনা নয় বরং গোল।

তাদেরকে শিখানো হোক চাঁদ কি আর কেন চাঁদে সাঈদীকে দেখা যাবেনা। তাদেরকে দেখানো হোক, এই যে প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করছে তা কাফেরদের তৈরী। কাফেরদের তৈরী ওষুধ খেয়েই তারা অসুখে পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠে; এই ওষুধ হুজুরের পড়া পানির চেয়ে অনেক অনেক বেশি কার্যকর। তাদের কো এডুকেশনের ব্যবস্থা করুন, দেখবেন নারীর প্রতি লোভ আর ক্ষোভ দুটোই কমে গেছে। তারাও তখন বুঝতে পারবে সামনের নারীটিও কারো বোন অথবা কারও জননী।

দেখবেন, একদিন এই মাদ্রাসার ছাত্ররা আর ব্লগারদের ফাঁসি দাবী করবেনা। বরং তারা ধর্মের যৌক্তিক সমালোচনা করবে, সঙ্গে বাংলাদেশকে মুক্তি দেবে ধর্মান্ধতার অভিশাপ থেকে। ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.