আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাথকোর: এক্সট্রিম মেটালের সাব জেনরার আদ্যপান্ত!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! মেটাল আর এক্সট্রিম মেটালের মৌলিক হাতেখড়ি! এক্সট্রিম মেটালের খুব বেশী ভক্ত দেখি না ব্লগে। অনেকে আবার গতানুগতিক মেটালের সাথে রক গুলায় ফেলায় আবার মেটাল ভক্ত এমুনও দেখছি থ্রাশ আর ন্যু ছাড়া অন্য কিছুই শুনে না! কারন একটাই সেইটা হইলো আমরা ছোটকাল থিকাই মিউজিক বলতেই বুঝি মেলোডি, হারমোনি সাথে কন্ঠের কারুকার্য। যদিও মেলোডি ব্যাপারটা সার্বজনীন, তাই দেখা যায় হাউজ বা ট্রেন্সের জনপ্রিয়তা ইদানিং শুধু দেশে না বিশ্বের সবজায়গায় চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। এখন পপ বলতেই বোঝা যায় হাউজ অথবা ট্রেন্স ফিউশন! একখান কথা কইতেই হয় কান নষ্ট করার জন্য এক্সট্রিম মেটাল বেস্ট।

তাই কান যদি বাচাইতে চান, চোখের সামনে লিরিক্স খুইলা আস্তে সাউন্ডে শুনেন। মাঝে ইকুয়ালাইজার ব্যাব হার করেন। ইন্ট্রো আর আউট্রো শুনেন। কোর পার্ট পরে শুনেন বেজ বাড়ায় দেন। ট্রিপল দেন কমায়া।

দুইবার শুনার পর আস্তে আস্তে ট্রিপল বানান, ভোকাল পার্ট শুনা যায় ইকুয়ালাইজারের মাঝখানের ফ্রিকোয়েন্সিতে। ওটা তখনই বাড়াবেন যখন আপনার গীটারের কাজ মাঠায় ঢুকছে। এভাবে টানা ২-৩ সপ্তাহ ট্রাই মারেন। এক্সট্রিম মেটাল ভালো লাগবে আর যখন ভালো লাগবে তখন রক আপনার কাছে শিশুতোষ আর মেটাল হবে টিনএজ। তখন এক্সট্রিম মেটাল হবে গুরু আপনার! প্রথম কথা হইলো এক্সট্রিম মেটাল শুনবেন কেন? আমার কাছে মনে হয় না এক্সট্রিম মেটাল সবার শুনা উচিত।

এইটা অনেকটা এমন যে সবার সবকিছুতে একেবারে এক্সট্রিম লেভেলে যাওয়া উচিত না। বাঙ্গালী অবশ্য জাতী হিসেবে এক্সট্রিম না, আমরা কখনোই ছিলাম না। তাই দেখেন প্রকৌশল বিদ্যায় এক্সট্রিম ইন্জ্ঞিনিয়ারিং হিসাবে ডিজাইন বা রিভার্স ইন্জ্ঞিনিয়ারিং নিয়ে এখনো কোনো পড়া লেখা হয় না অথবা আপনি দেখবেন আমাদের খেলাধূলা গুলোতেও এক্সট্রিম কোনো খেলা নেই! এটা আমরা জেনেটিক্যালি পেয়েছি। তাই মনে হয় না এক্সট্রিম মেটাল বাংলাদেশ কখনো জনপ্রিয়তা লাভ করবে! তবুও ভাবছি এক্সট্রিম মেটাল নিয়ে আমি বেশ কিছু লেখা লিখে রাখি যাতে কারে ভবিষ্যতে যখন এটা নিয়ে কেউ জানা শুরু করবে বা যদি কেউ কাজ করতে চাইবে তাহলে এই সময়কার ইতিহাস আর তার প্যাটার্ন গুলো জানা থাকুক যাতে করে সে আরো উন্নত ফিউশন ধারার কোনো সাবজেনরা উপহার দিতে পারে! প্রথমে এই গানটা শুনেন পরে আমার পোস্টের সাথে মিলান। ম্যাথকোর হইলো মেটালকোরের আরও একটু পরের ধাপ।

মেটাল রকের মেটাল রুপ হিসেবেও বলা যায়। একটা মেটালকোরকে প্রগ্রেসিভ ধাচে নিয়ে এর সাথে পলিরিদমিক টিউন আর জটিল টাইম সিগন্যাচার। বেশীর ভাগ ব্যান্ড ড্রামের তালে জ্যাজ লাগাতে পছন্দ করেন যেটা ম্যাথকোর চেনার একটা ভালো দিক! এই গানের দুটো পার্ট। একটা হলো ম্যাথ পার্ট আরেকটা হলো কোর পার্ট! ম্যাথ পার্ট: *ম্যাথ পার্টে প্রোগ্রেসিভ টিউন থাকবে। গানের স্ট্রাকচার হবে মেটাল কোরের স্ট্রাকচার।

কিন্তু বাদকতায় ভিন্নতা আসবে! *পলিরিদমিক টাইম সিগন্যচার এখানে লক্ষনীয়। টাইম সিগন্যাচার হলো আপনি যখন ওয়েস্টারন মিউজিক্যাল নোট হাতে নিবেন তখন ওখানে কিছু আপনি সংখ্যা দেখতে পাবেন একটার উপর আরেকটা। যেমন ৩/৪ এর মানে হলো ৩টি কোয়ার্টার বিট। এরকম ২/৪, ৪/৪, ৬/৮ ইত্যাদি। ম্যাথকোরে যেরকম পলিরিদনমিক স্কেল আপনি দেখবেন এখানে দু দুটো টাইম সিগন্যাচার যেটা একটার থেকে আরেকটা আলাদা কিন্তু সামন্জ্ঞস্যহীন হবে না।

মানে একটা রিদম যদি চলে ৩/৪ তার সাথে আরেকটা ৪/৪ চলবে। এর ফলে গানের শ্রুতিমধুরতা নষ্ট হবে না, কিন্তু দুটো স্বত্ন্ত্র টাইম সিগন্যাচার। ড্রামের তালে এটা বেশী ব্যাব হার করা হয় এবং জ্যাজ এর একটা ছোয়া পাওয়া যাবে! *গানটি যত এগুতে থাকবে তাতে কর্ড প্রোগ্রেশন একটু জটিলতর এবং ঐক্যহীন ভাবে বাজবে। অনেক মেটাল গীটারিস্ট রিদম গীটারের বয়াকআপ নেয়ার সাথে তার মেইন লীড টিউনে সামন্জ্ঞস্যপূর্ন টাইম স্কেলের একটা টিউন রাখে যাতে ডিসটরশন সাউন্ডের ডেপথ আর তীব্রতা বাড়ানো যায় এবং গীটার সোলো শর্টে রেখে এর মধয়ে জটিলতম টিউন রাখা যায় সেজন্য। কিন্তু এখানে ঐক্যহীন কর্ডের কাজ থাকবে।

এই ঐক্যহীন টিউন শ্রোতার সামনে বিশাল একটা মহাযজ্ঞের ভয়াব হতার মধ্যে একটা প্রলয়ের আকাঙ্খার সৃষ্টি করবে, মনে হবে বিশাল বাদ্যবাহিনী তাদের বাদ্যযন্ত্রগুলোকে অস্ত্রে পরিনত করেছে! এরপর আসে কোর পার্ট এখানে মূলত ভোকালের ভারী চিৎকার সাথে তীব্র হুংকার আর মিউজিকের ভারী পার্ট। একটা সময় ছিলো যখন এই মেটালকোরের মধ্যে ভোকাল মূলট অনুপস্হিত থাকতো। কিন্তু আশির দশকের শেষের দিকে এবং ৯০ এর প্রথম দিকে ভোকালের উপস্হিতি দেখা যায়! এখন আসি ম্যাথকোরের নামকরন আর ইতিহাস নিয়ে। *আসলে ৮০ এর প্রথমদিকে ম্যাথরকের প্রচলন ছিলো যেখানে মূলত টাইম সিগন্যাচার আর পলিরদমিক ব্যাব হার হতো। ৮০ এর শেষের দিকে এখানে কর্ড প্রোগ্রেশন সাথে মেটাল কোরের স্ট্রাকচার আর হার্ডকোরের পান্ক ভার্শনের সাথে প্রোগ্রেসিভ স্টাইলটা মেশাতে থাকে সাথে যুক্ত হয় পলিরিদমিক স্টাইল।

৯০ এর শেষের দিকে ভোকালের সাথে স্বতন্ত্র টাইম সিগন্যাচার দেখা যেতে লাগলো আর পরে এর জনপ্রিয়তার জন্য ড্রাম আর রিদম সাইডে জ্যাজের সংমিশ্রন ঢুকতে থাকতে। *ম্যাথ রকে যেহেতু টাইম সিগন্যচারের একটা সুনির্দিষ্ট ব্যাব হার লক্ষ্য করা যায় সেহেতু এটার নামটা এরকম হয়েছে। আসলে এই মিউজিকের আসল উদ্দেশ্যই হলো শ্রোতার সামনে এমন আব হের সৃষ্টি করা যেখানে মহাপ্রলয়ের সামনে তাকে বসিয়ে রেখে বিশাল যন্ত্রীদল তাদের বাদ্যযন্ত্রগুলোকে অস্ত্রে পরিনত করেছে যেখানে একটা একক মিউজিক না শুনে সে শুনতে থাকবে অনেক যুগপৎ ঐক্যহীন কিন্তু সামন্জ্ঞস্যপূর্ন মেটাল সঙ্গীত! কিছু এলবাম: ১) দ্য ডিলিঙ্গার এসকেপ প্লান এর টরেন্ট লিংক এছাড়া এর অপশন প্যারালাইসিস এলবামের ডাইরেক্ট লিংক! ২) সাইকোপাসের তিনটি এলবামের টরেন্ট লিংক এছাড়া এর তিনটি এলবামের ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক! ৩) সী ইউ নেক্সট টুয়েসডের টরেন্ট লিংক! এর ডাইরেক্ট লিংক ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.