আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাদাদের প্রণয়ের হিন্দুস্থানের প্রতারণাঃ গুজরাটের দাঙ্গায় মোদির অপরাধ পায়নি সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত দল!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২০০২ সালে সংঘটিত দাঙ্গায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত বিশেষ তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার আদালত এ কথা জানান। গুজরাটে মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে ওই দাঙ্গায় অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, ওই দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির মদদ ছিল। এ ছাড়া এত বড় দাঙ্গায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও তোলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

ভারতের একটি ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল কোর্ট বলেন, সুপ্রিম কোর্টের গঠিত বিশেষ তদন্ত দল নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি। শুধু মোদিই নন, আরও ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দাঙ্গায় জড়িত থাকার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি ওই তদন্ত দল। ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি মুখ্যমন্ত্রী মোদি, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। সুপ্রিম কোর্ট ওই অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দল নিয়োগ দেন। দাঙ্গার সময় গুজরাটের একটি হাউজিং কলোনিতে অবস্থান করছিলেন এহসান জাফরি।

হিন্দুরা ওই কলোনিতে আগুন দিলে তিনিসহ ৬৮ জন আগুনে পুড়ে মারা যান। মোদির আইনজীবীরা শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তোলা এ অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করে আসছেন। বিশ্লেষকদের মতে, আদালতের এ ঘোষণা মোদিকে রাজনৈতিক দিক থেকে আরও শক্তিশালী করবে। ২০০১ সাল থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন মোদি। ২০১৪ সালের ভারতের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেশটির বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী তিনি।

এএফপি। Click This Link Click This Link ************************** প্রকৃতপক্ষে যে ঘটনাকে ভিত্তি করে গুজরাটে মুসলিমদের গণহত্যা করা হয়েছিল তা ছিল নিছকই একটি র্দূঘটনা। বলা হয়েছিল গুজরাটের ঐ রেল ষ্টেশনে হিন্দু কর সেবকরা যে ট্রেনে করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল তখন প্লাটফর্মে মুসলিম ফেরিওয়ালাদের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে নাকি মুসলিম ফেরিওয়ালারা দাহ্য জাতীয় বোমা একটি বগির ভিতর ছুড়ে মারলে তাতে ৫৯ জন হিন্দু কর সেবক সদস্য নিহত হয়। কিন্তু পরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায় যে আসলে ঐ অগ্নিকান্ড বগির ভেতর হতেই হয়েছিল।

এই আগুন বাইরের নয়; India train fire 'not mob attack' Click This Link এই তদন্তের বহু পরে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ঘটনার সাথে সাথে গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি সহ উগ্র হিন্দু সংগঠন গুলো মুসলমানদের দায়ী করে নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটপাট, বাড়ী ঘরে আগুন দেয়। ঐ ঘটনায় কমপক্ষে ২ হাজারেরও বেশী মুসলমান নিহত হয়। অনেককে টুকরো টুকরো করে এবং জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করা হয়।

কংগ্রেসের সাবেক এমএলএ এহসান জাফরী ঘটনার সময় শতাধিক বার পুলিশ এবং নিজ দলের কাউকে ফোন করে রক্ষা পাননি। উনি সহ ঐ জায়গার ৬৯ জন মুসলমানকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে উগ্র হিন্দুরা। তখন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমই জানায় দাঙ্গায় ও গণহত্যায় উগ্র হিন্দুরা বলে; ইয়ে আন্দার কি বাত হ্যায়, পুলিশ হামারা সাথ হ্যায়! যেখানে সাবেক লোকসভার মুসলিম সদস্যকেই পুলিশ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাচাতে পারল না তখন তারা কোন দুঃখে সাধারণ মুসলমান জনতাকে নিরাপত্তা দিবে। তাই হাজার হাজার মুসলমান খই মুড়ির মত ঝড়ে পড়ল। এই ঘটনায় পরে জানা যায় যে ঐ সময়ের পুলিশকে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইচ্ছাকৃত ভাবে নিস্ক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছিল।

এই ঘটনায় একজন পুলিশ অফিসার সাঞ্জীব ভাট যিনি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেন তিনি ফেসে গেছেন। এখন তিনি একটি রহস্যজনক ভাবে একটি অভিযোগে বরখাস্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন; Cop, who blamed Modi for riots, arrested Click This Link দেখা যাচ্ছে যারা চাক্ষুস স্বাক্ষী তারা কোন না কোন ভাবে চক্রান্তের শিকার হয়ে জেল খাটছেন। ফলে নরেন্দ্র মোদী সহ উগ্র হিন্দু নেতা যারা মুসলিম, খ্রীষ্টান সহ অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ করে তারা বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। ঘটনা এখানেই শেষ নয়! সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং গুজরাটের মালাগওয়ে উগ্র হিন্দুরা মুসলিম সেজে যে বোমা হামলা করে তাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্ণেল শ্রীকান্ত পুরোহিত নামক এক উগ্র হিন্দু দলের সদস্য ধরা পরে। তাকে যে পুলিশ অফিসার হেমন্ত কারকারে গ্রেফতার করে সেও ২০০৮ সালের তথাকথিত মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় রহস্যজনক ভাবে নিহত হয়।

খোদ হেমন্তের পরিবারও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে; Who sent Hemant Karkare to his death? Published: Monday, Nov 23, 2009, 3:08 IST By Nikhil S Dixit | Agency: DNA Click This Link তাহলে দেখা যাচ্ছে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ দল কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেতো কথাই নেই এমনকি থাকলেও তার ভাগ্য নিয়ন্তা উগ্র হিন্দু আদর্শের ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীরা। এরা ১৯৯২ তে বোম্বে ও ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম নিধন এবং ২০০৮ সালে উড়িষ্যায় খ্রীষ্টানদের গণহত্যা করলেও তাদেরকে বিচার করে শাস্তি দেওয়া যায় না। বছরের পর বছর নাটক চলে শেষমেশ সবাই বেকুসুর খালাস। ভারতের প্রশাসনতো বটেই সর্বোচ্চ আদালাত সুপ্রীম কোর্টও এদের কিছু করতে পারে না। কারণ সেই বেশীর ভাগ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে উগ্র হিন্দু আদর্শের বিচারকরাই বসে আছে।

বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ও ভারত প্রেমিকরা ভারত বলতে প্রাণ যায়। যে ভারত পৃথিবীর বৃহৎ গণতান্ত্রিক ও ন্যায় বিচারের দেশ। অথচ বাস্তবতা বলে ভিন্ন। এদেরই একটা দল ১৯৪৭ সালের বিভাজনকে ভুল বলে। সেই দেশে মুসলমান, খ্রীষ্টান, শিখ এমনকি নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা যে পরিমাণ অত্যাচারিত তার চেয়ে আমাদের বাংলাদেশ কোটি কোটি গুণ ভাল।

কিন্তু দালালী বলে কথা এত হাজার অন্যায় অত্যাচারের পরেও বলবে প্রভু ভারত মহান!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.