আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্রুত এমএলএম আইন চাই সাক্ষাৎকারে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক

আমি ফিফা চেয়ারম্যান হতে চাই। চেয়ারম্যান হলে আমার নাম হবে জন ফু সোহেল ডিরেক্ট সেলিং আইন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিস্তর আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে আমরা দৈনিক ডেসটিনির পক্ষ থেকে কথা বলেছি দেশের বৃহত্তম এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনি-২০০০ লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারের বিবরণ নিচে তুলে ধরা হল : প্রশ্ন : আপনারা কেন এমএলএম আইন চাইছেন? উত্তর : ছোটবড় অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে এমএলএম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু মানুষ এর সঙ্গে কাজ করছেন।

আইন থাকলে সব প্রতিষ্ঠান আইন মেনে কাজ করতে বাধ্য থাকবে। ফাঁকফোকর দিয়ে বস্ন্যাকমেইল করার সুযোগ থাকবে না। এই ব্যবস্থার আওতায় যারা প্রতারণার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। আইনের অভাবে অনেকে অনেক প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন। এছাড়া যারা এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবেন তারা বুঝেশুনে যুক্ত হবেন এবং তাদের আইনগত অধিকারও নিশ্চিত হবে।

প্রশ্ন : পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই কি আপনারা এখন এই আইন চাইছেন? উত্তর : না। পরিস্থিতির কারণে নয়, আমারা বহু আগে থেকেই এই আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। ডিরেক্ট সেলিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরাও আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি খসড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। তবে এটা ঠিক, মিডিয়ার লেখালেখির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টা সামনে চলে এসেছে।

প্রশ্ন : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিরেক্ট সেলিং আইনের একটি খসড়া তৈরি করেছে। আপনারাও একটি খসড়া প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এই দুটোর মধ্যে সাংঘর্ষিক কিছু কি আছে? উত্তর : না। সাংঘর্ষিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছি যা ওই খসড়াকে পরিপূর্ণ করতে সহায়তা করবে।

প্রশ্ন : আপনাদের প্রস্তাবনায় ক্রেতা-পরিবেশকদের আইনগত অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে আপনারা কী বলেছেন? উত্তর : আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি তাতে সুপারিশ করেছি, যে এমএলএম কোম্পানি তার ক্রেতা-পরিবেশককে ৯০ দিনের মধ্যে নগদে যে কোনো ধরনের কমিশন দিতে ব্যর্থ হবে, তার লাইসেন্স যেন বাতিল করা হয়। এর ফলে এমএলএম কোম্পানিগুলো ক্রেতা-পরিবেশকদের কমিশন দিতে বাধ্য থাকবে। এতে তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। প্রশ্ন : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান বা অফিস স্পেস, গাছ প্রভৃতি নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। আপনারা আপত্তি করেছেন।

কেন? উত্তর : আমরা মনে করি এগুলো আর দশটা পণ্যের মতোই বিক্রয়যোগ্য পণ্য। এমএলএম কোম্পানি এসব পণ্য বিক্রি করতে পারবে না কেন? বরং এমএলএম আইনের আওতায় এসব পণ্য বিক্রি হলে উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়েরই স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। এর ফলে এমএলএম ব্যবসা কাঠামোগত প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকে স্ফীতিলাভ করবে, যা অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। প্রশ্ন : অনেক এমএলএম কোম্পানির বিরুদ্ধে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে পণ্য বিপণনের অভিযোগ রয়েছে। এটা বন্ধে আপনাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা কী? উত্তর : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা বন্ধের কথা বলা হয়েছে।

আমরা বলেছি, মিথ্যা আশ্বাস দিয়েও প্রতারণা করা যাবে না। প্রশ্ন : নীতিমালা বা আইন করার কাজ তো সরকারের। আপনারা এ ব্যাপারে অংশ নিতে চাচ্ছেন কেন? উত্তর : আইন প্রণয়নের দায়িত্ব সরকারের এটা সত্য। তবে এর বাইরেও একটা বাস্তবতা রয়েছে। কার জন্য এই আইন করা হবে, কারা এর দ্বারা সুফল পাবে এবং কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সে বিষয়টিও আইন প্রণয়নের সময় দেখতে হবে।

আমরাই দেশের বৃহত্তম এমএলএম কোম্পানি। বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে আমরা কাজ করি। ফলে দেশে এমএলএম নীতিমালা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে নীতিমালার নামে এমন কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না যা অন্যান্য দেশের নীতিমালায় নেই। আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আইনটিকে পরিপূর্ণতা দেবে বলে আমরা মনে করি।

প্রশ্ন : কতদিনের মধ্যে এই আইন করা সম্ভব বলে আপনি মনে করেন? উত্তর : এ সম্পর্কে আমি যতদূর জানি, এমএলএম আইন করতে দুই সপ্তাহের বেশি লাগার কথা নয়। সরকার আন্তরিক হলে এই সময়ের মধ্যেই আইন করা সম্ভব। এই সেক্টরের সবচেয়ে বড় কোম্পানি হিসেবে আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলব, আসুন সামনাসামনি বসি। কোনটা রাখা যাবে কোনটা রাখা যাবে না, এ নিয়ে আলোচনা করে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করি। এই প্রক্রিয়ায় কাজ শেষ করতে দুই সপ্তাহের বেশি লাগবে না।

দ্রুত এই আইন করা হলে এই সেক্টরে যেমন শৃঙ্খলা ফিরে আসবে তেমনি লাখ লাখ লোক উপকৃত হবেন। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষেও ব্যবসা পর্যবেক্ষণ ও তদারকি সহজ হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.