আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে দ্রুত বিচার আইন বাসা থেকে ধরে এনেও দ্রুত আইনে গাড়ি ভাঙচুর মামলা



রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে দ্রুত বিচার আইন। বর্তমান সরকার দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পরপরই সারা দেশে দুই শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এ আইনের আওতায়। আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত বিচার আইনে মামলার কয়েকজন আসামির আইনজীবী এবং পরিবারের সদস্যরা জানান, আইনে যেসব অপরাধের কথা উল্লেখ আছে তার সাথে আসামিদের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। অনেককে এমনকি বাসা বা অফিস থেকে ধরে এনে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা ঠুকে দেয়া হয়েছে।

মামলার অনেক আসামি রাজপথে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় পুলিশ গণহারে গ্রেফতার করে সবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। যেমন­ খুলনার সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরোয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ জুন তিনি খুলনার ডাকবাংলো থেকে তার অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করতে উদ্যত হন। এ সময় ওসি মুনিরুল গোলাম পরোয়ারকে অনুরোধ করেন মিছিল না করার জন্য। তখন তিনি ওসি’র হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। পরে তার অনুসারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হয়।

এতে ওসি ছাড়াও একজন এএসআই এবং অন্য একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। অথচ ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনার সময় উপস্খিত বিভিন্ন জাতীয় ও স্খানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা জানান, ওসি’র নেতৃত্বে বরং মিয়া গোলাম পরোয়ারের ওপর লাঠিচার্জ চালানো হয় এবং অনেকে আহত হন। মিয়া গোলাম পরোয়ারের ওপর পুলিশের আক্রমণের চিত্র খুলনার বিভিন্ন স্খানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ আক্রমণের পর মিয়া গোলাম পরোয়ারসহ ২০ জনকে স্পট থেকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে বলে জানান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। খুলনায় মোট ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।

তাদের সবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। অনেককে বাসা থেকে বা মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় ধরে নিয়ে পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেমন­ ডুমুরিয়ায় পুলিশ মোসলেম নামে একজন রাজনীতিক কর্মীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে তার নামে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যা মামলা করেছে বলে জানিয়েছে আমাদের খুলনা অফিস। ঢাকা মহানগরীতে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে মোট ৯৬ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরও কারোর সাথে দ্রুত বিচার আইনে যেসব অপরাধের কথা উল্লেখ আছে তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ৩১ জুলাই জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে আদালতে নেয়ার দিন আদালতপাড়া থেকে ৫৭ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ওই এলাকায় জড়ো হয়ে ত্রাস বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা লঞ্চযোগে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় এসেছেন। কোর্ট এলাকা অতিক্রম করার সময় তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই দিন ঢাকা বারের সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া কোর্ট এলাকায় কোতোয়ালি থানার ওসি’র সাথে দেখা করে আটকদের ছেড়ে দিতে বলেন।

ওসি তখন ওয়াদাও দিয়েছিলেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার পর ওই লোকদের ছেড়ে দেবেন। কিন্তু পরে তাদের থানায় নিয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দেয়া হয় বলে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন। ওই দিনই বংশাল থানায় আরো একটি মামলা হয় ওই একই অভিযোগে। সেখানে আসামি করা হয় তিনজনকে। পুলিশ এই দু’টি ঘটনায়ই আদালতে চার্জশিট প্রদান করেছে।

অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক জানান, যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে তাদের অনেকেই নিরীহ মানুষ। এ দিকে গত ২৭ জুন হরতাল চলাকালে কোতোয়ালি থানায় গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হলেও গ্রেফতারকৃত গোলাম মাওলা মবিন, মির্জা ইমরান, আব্দুল কাইউম, এস এম আলামিন ও মো: রুহুল আমিনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা নিরীহ। তারা হরতালের পক্ষে কোনো মিছিল বা ভাঙচুর করেননি। সিলেটে ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে, বরিশালে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্প্রতি সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি যেমন হরতাল, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববìধনে অংশগ্রহণের সময় এসব রাজনীতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। খুলনায় যে ৪৭ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের মধ্যে মিয়া গোলাম পরোয়ার ছাড়া উল্লেখযোগ্য অন্যরা হলেন জামায়াতের মহানগর নায়েবে আমীর আব্দুল মতিন, মাস্টার শফিকুল আলম ও মহানগর সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ। রাজশাহীতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত মহানগর সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে সারা দেশে গ্রেফতারকৃত ছয় হাজারেরও বেশি রাজনীতিক-নেতাকর্মীর অনেকের বিরুদ্ধে এ আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং দমনের প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই এবং স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হলেও এখন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনটির ব্যবহারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংস্খা, আইনবিদসহ বিভিন্ন মহল থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, যানবাহন ভাঙচুর প্রভৃতি অপরাধবিষয়ক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দ্রুত বিচার আইন প্রণয়ন করা হয়। তখন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ একে একটি কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। তারা হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে এ আইন বাতিলের দাবিতে। অথচ সেই আওয়ামী লীগই এখন ক্ষমতায় এসে আইনটির মেয়াদ বৃদ্ধি করায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গত ৯ এপ্রিল এ আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

বর্তমানে এর অধীনে দুই হাজার ৫৯৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আইনের মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এর অধীনে যেসব মামলা বিচারাধীন এবং তদন্তাধীন রয়েছে সেগুলো নিয়ে জটিলতা দেখা দেবে। এ জন্য এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আইনটির মূল নাম আইনশৃংখলা বিঘíকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন। গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

এরপর সংসদে আইনটি পাসের পরপরই সারা দেশে এ আইনের অধীনে বিরোধী রাজনীতিক-নেতাকর্মীদের নামে মামলা শুরু হয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময় যখন দ্রুত বিচার আইনটি প্রণয়ন করা হয় তখন আইনমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সে সময় আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য এবং বর্তমান সরকার কর্র্তৃক আইনটির মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা যখন এ আইনটি প্রণয়ন করি তখন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। সত্যিকারের সন্ত্রাসী, অপরাধীদের ধরে দ্রুত শাস্তি বিধান এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই এটি করা হয়েছে। কারণ আদালতে অধিকসংখ্যক মামলা থাকার কারণে অনেক সময় কোনো কোনো মামলার রায় পেতে অনেক বিলম্ব হয়।

আর বিচার বিলম্ব হলে ন্যায়বিচার অনেক সময় নিশ্চিত হয় না। মামলার খরচ বাড়ে এবং মানুষকে অনেক হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়। সে জন্য চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর মামলাগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করা যায় সে লক্ষ্যে এ আইন করা হয়। বর্তমান সরকারি দল তখন বিরোধী দলে থাকা অবস্খায় এর বিরোধিতা করলেও এখন এর মেয়াদ বাড়িয়েছে। তারা একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্যই এটা করেছে।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকার র‌্যাবকে যেমন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে তেমনি এ আইনকেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের জন্য ব্যবহার করছে। আমরা ক্ষমতায় থাকা অবস্খায় কোনো রাজনীতিক-নেতাকর্মীকে এ আইনের মাধ্যমে হয়রানি করা হয়নি। দ্রুত বিচার আইন কার্যকর হয় ২০০২ সালের ১৯ এপ্রিল। একই বছর ২৪ অক্টোবর আরেকটি আইন করা হয়। সেটি হলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০২।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, দ্রুত বিচার আইন করা হয় ছোট অপরাধ যেমন­ ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির বিচারের জন্য। এর আওতায় শাস্তির মেয়াদ দুই থেকে পাঁচ বছর। আর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করা হয় হত্যা, ধর্ষণের মতো বড় অপরাধের বিচারের জন্য। দ্রুত বিচার আইন আইনের ২ ধারায় বলা হয়েছে­ স্খলপথ, রেলপথ, জলপথ বা আকাশপথে কোনো যানবাহন চলাচলে প্রতিবìধকতা বা বিঘí সৃষ্টি করা, বা কোনো যান চালকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যানবাহনের গতি ভিন্ন দিকে পরিবাহিত করা হলে এই আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে। এ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো যানবাহনের ক্ষতিসাধন করা, সরকার বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্খা বা প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির স্খাবর ও অস্খাবর সম্পত্তি বিনষ্ট বা ভাঙচুর করলে এ আইনের অধীনে বিচার করা হবে।

২ ধারার একটি উপধারায় বলা হয়েছে কোনো স্খানে, বাড়িঘরে, রাস্তাঘাটে, দোকানপাট, হাটবাজার, যানবাহন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিত বা আকস্মিকভাবে একক বা দলগতভাবে শক্তির মহড়া বা ভয়ভীতি প্রদর্শন বা ত্রাস সৃষ্টি, অরাজকতা সৃষ্টি করা হলে বা কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে বা তার কাজ ও দায়িত্বে বাধা সৃষ্টি করলে এ আইনের আওতায় শাস্তি দেয়া হবে। এমনকি কেউ আইনশৃঙ্খলা বিঘí সৃষ্টিতে কাউকে সহযোগিতা করলে তাকেও এ আইনে সাজা দেয়া হবে। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ, অলঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করলে দ্রুত বিচার আইনে বিচার করা হবে। আইন অনুযায়ী সরকার গেজেটের মাধ্যমে প্রত্যেক জেলায় এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় এক বা একাধিক আদালত গঠন করে বিচারকাজ পরিচালনা করবে। এ আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব সাব ইন্সপেক্টরের (এসআই)। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে চার্জশিট প্রদান এবং ৪৫ দিনের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। শাস্তির বিধান ন্যূনতম দুই বছর, সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড; তদুপরি অর্থদণ্ড। সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) পদমর্যাদার নিচে নন এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা এ উদ্দেশ্যে সরকারের তরফ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত রিপোর্ট বা অভিযোগের ভিত্তিতে বা অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে অবহিত আছেন এমন কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগে আদালত কোনো অপরাধের বিচার করতে পারবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০২ হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, মাদকসংক্রন্ত চাঞ্চল্যকর অপরাধের বিচার করার জন্য এ আইন করা হয়।

বিচারকাজ শেষ করার মেয়াদ ৯০ দিন। বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তা। একটি আদালতে একজন বিচারক থাকবেন এবং এটি একটি দায়রা আদালত হিসেবে গণ্য হবে। সূত্র : (মেহেদী হাসান , দৈনিক নয়াদিগন্ত) ২৫.০৭.২০১০

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.