আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে পদ্মা সেতু নিয়ে সমঝোতা চুক্তিঃআমরা কোন পথে হাঁটছি?

দেশের সবকিছু বাদ দিয়ে এই পদ্মা সেতুটি যেন হয়ে গিয়েছে বড় কাজ। মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন যেন এই পদ্মা সেতুর মাধ্যমে পরিপূর্ণ হবে। পদ্মা সেতুর দরকার যে কত এটা কাউকে বলে বুঝাতে হবে না। কিন্তু এই সেতু নিয়ে শুরু থেকেই চলছে লুকোচুরি। ২৯০ কোটি ডলার ব্যয় ধরা হয়েছিল পদ্মা সেতু নির্মাণে।

এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়। সাথে সাথে এই প্রকল্পে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এডিবি ৬১ কোটি, জাপানের জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার দেবে বলে পৃথক ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু প্রকল্পে কাজ শুরুর আগেই দুর্নীতি হয়েছে বিধায় বিশ্ব ব্যাংক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিশ্ব ব্যাংকের দেখা দেখি অন্যরাও একই পথে হাটে। সরকার দুর্নীতি হয়নি এমন ঘোষণা দিয়ে নানান চড়াই উতরাই পার করে মালয়শিয়ার সাথে আজ সমঝোতা চুক্তি করল।

কিন্তু প্রশ্ন হল বিশ্ব ব্যাংকের সাথে ঝামেলা না মিটিয়ে মালায়শিয়ার সাথে চুক্তি কি আত্মঘাতী নয়? বাংলাদেশ এখনও বৈদেশিক মুদ্রার প্রভাব ধরে রাখতে অনেকটা নির্ভর করে বিদেশি সাহায্যের অর্থের উপর। রেমিটেন্সের সাথে সাথে এই সাহায্যের অর্থ দিয়েই বলতে গেলে মিটানো হয় আমদানি খরচের সিংহভাগ। কিন্তু এই সাহায্যের অর্থ এ যখন ভাটা পড়বে তখন কি হবে?? কিছুদিন আগেই দেখা গেল এর প্রভাব। ডলারের অভাবেব বাংলাদেশ ব্যাংককে ভাঙতে হল তার রিজার্ভ। বুঝেশুনে অল্প অল্প করে ডলার ছাড়তে শুরু করল।

আমদানি খরচে পড়ল টানাটানি। মুহূর্তের মধ্যে বেরে গেল ডলারের দাম। বেরে গেলো আমদানি খরচ। প্রভাব পরল দেশীয় বাজারে। মূল্যস্ফীতি লাফ দিল।

এসবই হল একটি কারনেই। বিদেশী ব্যাংকের কাছে আমরা জিম্মি থাকতে পারি না একথা যেমন বাস্তব ঠিক তেমনি নিজেদের কথাও আমাদের ভাবার দরকার রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক সহ অন্যান্য দাতাদের কাছে নিজেদের অবস্থা পরিস্কার না করে এই চুক্তিতে যাওয়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য কতটা ভাল এটা ভেবে দেখার এখনই সময়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।