আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলেরা যেমন হয়- ৩

"প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে,/ কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে । / গরব সব হায় কখন টুটে যায়,/ সলিল বহে যায় নয়নে । " রাগ: মিশ্র দেশ, তাল: তেওরা, রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): অগ্রহায়ণ, ১২৯৫, রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1888, রচনাস্থান: কলকাতা, দার্জিলিং, স্বরলিপিকার: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা দেবী, এই গানটি "মায়ার খেলা" গ্রন্থে আছে । মেয়েরা অতি প্রাচীনকাল থেকে যে কাজটা করে আসছে সেটা হল ঘর সামলানো । মেয়েদের ভালোবাসার ক্ষেত্রে কিছু বড় সমস্যা সৃষ্টি করে অনুদারতা, ঈর্ষা, সন্দেহ এবং সংশয় ।

প্রতিটি মেয়েই কিন্তু এক একজন অভিনেত্রী । প্রথম দর্শনেই প্রেম—কথাটি বেশ জনপ্রিয় । তবে প্রথম দেখাতেই প্রেমে বিশ্বাস করেন বেশির ভাগ পুরুষ, নারীরা নন । ডেইলি মেইলকে গর্ডন বলেন, সামাজিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নারীরা অধিকতর দক্ষ । কোনো পুরুষের সঙ্গে দেখা করার পর একজন নারী নিজেকে নানা প্রশ্ন করেন ।

এই পুরুষ তাঁর জন্য নিরাপদ হবেন কি না, সন্তানের ভালো বাবা হতে পারবেন কি না—এসব নিয়ে ভাবেন। জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি চতুর । একটা ছোট গল্প বলি- প্রেমিক ও প্রেমিকার কথোপকথন- প্রেমিকা: আচ্ছা বলতে পার কেন তুমি আমাকে এত পছন্দ কর? ভালোবাসো ? প্রেমিক: জানি না, কিন্তু বাসি যে ভালো এতে কি কোন সন্দেহ আছে ? প্রেমিকা: হুঃ তুমি কারনই বলতে পারলে না, আবার বলো ভালোবাসি । যতসব ভন্ডামি । প্রেমিক: আমি সত্যিই কোন কারন জানি না কিন্তু প্রমান চাইলে দিতে পারি ।

প্রেমিকা: প্রমান !!! না কোন প্রমান না আমি তোমার কাছে কারন জানতে চাই । প্রেমিক: আচ্ছা... আচ্ছা বলছি.... আমি তোমাকে ভালোবাসি কারন, ---তুমি সুন্দর । ---তুমি দ্বায়িত্ববান । --- তোমার চালচলন ভাল লাগে । -- তোমার হাসি ভাল লাগে......... আরো কতোকি ......!! এই কথা শুনার পর প্রেমিকা প্রায় তার প্রেমিকের ভালোবাসা দেখে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায় ।

এর কিছুদিন পর এক মারাত্মক রোড এ্যাকসিডেন্টে মেয়েটির সমস্ত শরীর পুড়ে যায় এবং সে কোমায় চলে যায়..... কোমা থেকে যখন মেয়েটি ফেরত আসে তখন তার আর অতীত বলে কোন স্মৃতি থাকে না । কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, দৃষ্টিশক্তি থাকে না, থাকে না সেই উচ্ছ্বল হাসিও । তখন একদিন ছেলেটি বলে ডার্লিং একদিন আমি তোমাকে বলেছিলাম কেন আমি তোমাকে ভালোবাসি । কিন্তু আজ তোমার সেই সৌন্দর্য, চেহারা কথা হাসি কোনটাই নেই । এমনকি তুমি আমার কথা শুনতেও পারছ না আর দ্বায়িত্বতো অনেক দুরের ব্যাপার ।

যদি তোমার মতে আমি চলি, তাহলে আজ তোমাকে ভালোবাসার কোন কারন নেই কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি, কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসি...! ফেসবুকে একদল ‘প্রোপাগান্ডা চালানো’ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে । যেই বয়সে জুকারবার্গ সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুক তৈরি নিয়ে গবেষণা করেছেন সেই বয়সে আমাদের দেশের তরুণরা ফেইসবুকে কিভাবে দলীয় প্রোপাগান্ডা চালানো যায় তা নিয়ে গবেষণা করছেন ! পুরুষকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করে তার বিবাহিত স্ত্রী । আর নারীকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করে তার প্রেমিক । অধিকাংশ পুরুষ কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই ভেবে যে, সে একটি ভালো চাকরি পাবে। আর অধিকাংশ নারী কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই ভেবে যে, সে ভালো একটি স্বামী পাবে ।

আমাদের সমাজে কত লোক অন্ধকার, অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন-রাত কাটাচ্ছে । তাদের জীবনে কোনো আনন্দের সংবাদ নেই, থাকলেও তা অত্যন্ত সাময়িক । নারী-পুরুষের সম্পর্ক যেমন স্বাভাবিক, তেমনি জটিল । মানুষের শান্তির প্রায় ৮০ ভাগই নির্ভর করে এই সম্পর্কের উপর । এজন্য বিভিন্ন বয়সে এবং বিভিন্ন পরিবেশে পরষ্পর সম্পর্কের রূপ কি হবে তা নির্ধারণ ও অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যকরণীয় ।

বাংলাদেশে শতকরা প্রায় একশ' ভাগ বিয়ে অসফল । একসাথে দু'জন প্রায়-অপরিচিত মানুষ থাকে, সঙ্গম করে সমাজ ও ধর্মের তাগিদে । ভালোবাসা দেখি না কারো চোখেমুখে । এখন একটা চিঠির কিছু অংশ পড়ূন- " আমার একবার ভীষণ জ্জ্বর হয়েছিল, সৌভাগ্য হয়েছিল তোমার সেবা পাওয়ার - আর বারবার মনে হচ্ছিল শরৎচন্দ্রের "আমার বারবার অসুস্থ হতে ইচ্ছে করে তোমার সেবা পাওয়ার জন্য" এই কথাটা । তোমার জন্মদিনে একটা কলম উপহার দিয়েছিলাম, কারন তখন ওটুকুই ছিল আমার সাধ্য ।

তুমি সেটা পেয়েই কতনা খুশি হয়েছিলে! আমি ভুলিনাই । আমি নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করলাম যখন তুমি আমার কোলে শুয়ে মৃদু হেসে বললে - আমার আর কিছু চাওয়ার নাই । তাই বলে কি তোমাকে আমি আর কিছু দেইনা ? প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় মনে করি তোমার জন্য একটা লাল গোলাপ নিয়ে যাবো, হয়ত পারিনা । কিন্তু ফিরে গিয়ে আজও তোমার কপালে একটা চুমু দিতে আমি ভুল করিনা - একটা সময় তুমি শুধু এটার জন্যই সারাদিন অপেক্ষা করতে । আমাদের অনেক স্বপ্ন, অনেক চাওয়া, সব একসাথে হয়ত পুরণ করতে পারিনা, তাই বলে আমরা কতটা সুখী এটা ভুলে যাবে ? আজ তোমার ফেসবুক আছে, আছে গুগল আর ইয়াহুর ম্যসেন্জার, আছে টুইটার আরও আছে কতকিছু।

আজ তাই তোমার বন্ধু অনেক জুটেছে। তৈরী হচ্ছে ভার্চুয়াল সম্পর্ক । আমি তোমাকে ভালোবাসা দিচ্ছি । কিছুটা মানসীক সুখ তোমাকে দিতে পারছিনা, তাই আজ তোমার ফেসবুক স্ট্যাটাস "মনটা ভীষণ খারাপ, যা চাই তা পাইনা । " অজস্র কমেন্টের ভীরে আমি আজ হারিয়ে যাই - তাই যা দিতে চাই তা দিতে পারি না ।

আজ আমি বড় ব্যস্ত। ঘুম ভাঙ্গে আমার টাকা উপার্জনের চিন্তা নিয়ে - ঘুমাতে যাই একই ভাবে, তোমার কত অভিযোগ? কিন্তু আমি সুধু তোমার স্বপ্নগুলোই পুরণ করার জন্য, তোমার চাওয়া গুলো পাওয়ায় রুপান্তর করার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে তোমাকে রেখে বের হই আর সন্ধ্যায় ফিরি - সাথে থাকে আমার মধ্যবিত্ত পরিবার । আমি আজ তোমাকে চাঁদ দেখাতে খোলা আকাশের নীচে নিয়ে যাই না, শরতের সন্ধ্যায় তোমাকে নিয়ে বেলকুনিতে বসে রোমান্টিক গান শুনি না । তাই আজ তুমি তোমার ভার্চুয়াল বন্ধুর সাথে তোমার মনের আকুতি শেয়ার করো। সেদিন পত্রিকায় দেখলাম এখন নাকি তোমরা ভার্চুয়াল বন্ধুরা পুর্ণিমা রাতে বিলের ধারে বসে চাঁদ দেখো আর মাঝে মধে একটু হাতে হাত রাখা, এটুকুই ।

এখন আমার প্রতি তোমার সেই আবেগ নাই । আছে তোমার ভার্চুয়াল বন্ধুর প্রতি । ( ভার্চুয়াল সম্পর্ক বা পরকীয়া কখনই আপনার ভবীষত জীবনের জন্য ভালো না । আবেগের বশবর্তী হয়ে সাজানো সুখের সংসার নষ্ট না করি । একটা সময় গিয়ে ভুলটা বুঝতে পারবেন কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকবেনা ।

আসেন আমরা সবাই পরকীয়া এবং ভার্চুয়াল সম্পর্ককে না বলি । ) সিদ্ধান্ত আপনার নিজের। সবাই হয়তো সিদ্ধান্তের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবে, তারমধ্য থেকে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে । এ বিষয়ে কাউকে অপরাধী করার চিন্তা না থাকাই ভালো। লজ্জা, সংকোচ আপনার সিদ্ধান্তকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

তাই সিদ্ধান্ত হওয়া চাই দৃঢ় । ( চলবে ) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।