আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলেরা পড়বেন না



একটি মেয়ের ভুলের জন্য তাকে কী ফল পেতে হলো এখানে সেই সত্যটি তুলে ধরা হলো। অতএব লেখাটি ছেলেরা না পড়াই ভালো, ছেলেদের জন্য উস্কানীমূলক আর মেয়েদের জন্য শিক্ষামূলক। আমার ভাবি আর ভাইয়া প্রায়ই ঝগড়া করেন। একে অপরের গায়ে হাত তোলেন। আমরা ভাইয়াকে দোষারোপ করলে ভাইয়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন এই দেখ! তোরাতো খালি আমারটাই দেখিস! এই দেখ আমারে কী করছে... খামছির চিহ্ন ভাইয়ার গায়ে।

খুব খারাপ লাগে। এই ভাবির জন্য ভাইয়া আমাদের সবাইকে পর করে দিয়েছে। সে যখন পত্রিকায় লিখতো , সামান্য কিছু টাকা পাইতো তাই দিয়ে আমাদের জন্য কতো কি আনতো। আর বিয়ের পর যখন সে ২৪হাজারটাকা বেতনের চাকরি করছে তখন আমাদের কপালে একটা সূতাও জোটে না। যেই ঊদে ভাবি পায় তিনচাররকমের ড্রেস, সে ঈদে আমরা থাকি পুরনো ড্রেসে।

ভাবি আসায় আমরাযে পর হলাম তার আরও করুণ ঘটনা হলো আমরা ভাইয়ার রুমে ঢুকতেই পারি না। তার কোনওকিছুতে হাত দিতে পারি না। যদি কম্পিউটারটা একটু ধরি তারপর দিন ভাইয়া ডেকে বলবে ওর কথাওতো তোদের ভাবতে হবে, সারাদিন কম্পিউটারে বসে থাকিস না। ... কাজটাজ করিস কিছু। কম্পিউটারে এতা কি? অথচ এই ভাইয়া ডেকে ডেকে কম্পিউটার শেখাতো।

বলতো আলতু ফালতু কাজ না করে কম্পিউটার শিখ! কাজে লাগবে। .... সারাদিন রুম বন্ধ থাকে। ফ্রিজে তরকারি রেখে আমরা খালি ভাত খাই, কারণ ফ্রিজটা থাকে ভাবির রুমে। রুম বন্ধ থাকা অবস্থায় নক করলে তার খবর আছে। তার উপর বউকে কে কি দিল না দিল তা নিয়েতো বক্তৃতা আছেই।

সেই ভাবির সঙ্গে মাঝে মাঝেই ঝগড়া বাধে। আবার ঠিক হয়। যখন বাধে তখন আমরা ভাই ভাবির দুজনেরই আপন হয়ে যাই। আবার যখন তারা এক হয়ে যায় আমরা ফাও.... কিছুদিন পর তারা আলাদা বাসায় ওঠে। বলাইবাহুল্য এটা ভাবির একান্ত আগ্রহে।

আলাদা হওয়ার কিছুদিন ভাইয়া মাঝে মাঝে বাজার করে দিয়ে যেত। এরপর বাজারের দায়িত্ব নিল ভাবি। বলাইবাহুল্য...বাজারের নামে সে আউট ইনকাম করেছে অনেক। চাল কিনে দিয়েছে ২৫ কেজি, ভাইয়াকে জানাতে ৩০ কেজি..... ভাইয়া বলতো ও তোদের দিকে কতো খেয়াল, আমি যদি ভূলে যাই তাই নিজে মনেকরে বাজার করে দিয়ে যায়। বলাই বাহুল্য ভাইয়ার বাজারে আমাদের মাসের প্রায় ২৫দিন হয়ে যেত, আর এখন ১৫দিনও যায় না।

ভালো দরদ দেখিয়েছে ভাবি। .... ভাইয়ার একটা সন্তান হওয়ার পর সেই চান্সটাও গেলো। আর কেউই বাজার করে দেয় না। এমনকি কোনও খরচও না। .... অনেকদিনপর পর কোনও ঝামেলা হলে ভাইয়া মাকে ফোনকরে বকাবকি করে।

কী মেয়ে আনছিলেন দেইখা শুইন্যা!....ভাবির সকল দোষের ভাগী হন মা। ঝগড়া হয় আবার ঠিক হয়। কিন্তু এবার হলো ভিন্নরকম। ভাবি রাগকরে তার সন্তানকে ফেলে চলে যায়। ভাইয়াতো পরে যায় বিপাকে... কৌশলটা ভাবির মা শিখিয়ে দেয়....কারণ রাগকরে প্রতিবার যখন ভাবি সন্তানসহ বাপের বাড়ি চলে যায় তখন তাদেরই ক্ষতি হয়।

আবারতো মেয়ে ফিরেই যায়, ছেলের আর কী হয়। দুদিন রান্নাবান্না বা বাপের বাড়ি গিয়ে খায়। এতে জামাই বাপের বাড়ির প্রতি দূর্বল হয়, বাপের বাড়িতে এটা সেটা দেয়...এত তো মেয়ের সংসারের ক্ষতি, অত্এব একাজ করা যাবে না। আসলে ওকেও একটা বিপদে ফেলে আসবি... ভাবি তাই বিপদে ফেলে গেলো। ভাইয়া এখানে ফোন দেয় ওখানে ফোন দেয়...মেয়ের চিৎকার থামাতে পারে না, খাওয়াতে চেষ্টাকরে পারে না।

...ওর নাকি তখন খুব আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল। আমরা তখন গ্রামের বাড়ি। বিশাল একি বিল্ডিং বানাচ্ছে আমার বাবা তার সন্তানদের জন্য। ... এখন কী করে ভাইয়া? ফোন দেয় তার এক পরিচিত ছোটবোনকে....তান্নি। এই বিপদে সে এগিয়ে আসে।

বেশকিছু খাবার আইটেম বানিয়ে আনে বাসা থেকে, বেবিটাকে আপাতত কিছু খাওয়াতে হবে। ভাইয়ার প্ল্যান হলো কেউ ওকে একটা ঠাণ্ডা করতে পারলে, সাথে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসবে। তারপর দাদী যা করার করবেই। ... ঠিক যে মুহূর্তে মেয়েটা এসে হাজির ঠিক সে মুহূর্তে ভাবিও ফিরে আসে। বাচ্চাকে ছেড়ে কতোক্ষণ থাকতেপারে মা? এদিকে যে মেয়েটি এসছে, সেতো বাসায় বলে এসছে এক বান্ধবীর বিয়েতে যাচ্ছে বগুড়া।

দুদিন পরে আসবে। কারসঙ্গে যাচ্ছে? বাবা মা তার সাথ্রে কথা বলেছে, এখন ফিরে যাবে কী করে? মেয়েটা বলে আমি ফিরে যেতে পারবো না। .... শেষে ... শেষে মেয়েটাকে নিয়ে ভাইয়া বেরহয় দুদিনের অবকাশযাপনে। সত্যিই যায় বগুড়ায়। হোটেলে থাকে একসাথে একরুমে।

এরপরআর ওদের আলাদা করা সম্ভব হয়নি। এরপর যখনই ভাবি রাগকরে কোথাও যেতো তখনই ওই মেয়েটা এসে রান্নাকরে দিত, কাজ করে দিত ভাইয়ার। .... সম্পর্ক গাঢ় হয়, আরও গাঢ়। পাপের ভয়ে যেনতেনভাবে একজন বন্ধুটাইপের কাজী দিয়ে বিয়েকের গোপনে। শুধু স্রষ্টা জানবে তারা বিবাহিত।

মেয়েটি মা হতে চলেছে। মেয়েটির পরিবারে আনন্দের বন্যা, মেয়েটির কখনও সন্তানই হবার কথা নয়। .... বৈধ অবৈধ বুঝি না,এই সন্তার তারা নষ্ট হতে দেবে না। আর ভাইয়াকে বলে তুমিতো অনেকদিনই হলো আমাদের বসায় আসো যাও। তোমাকে আমাদের কারও অপছন্দ নয়, যা হয়েছে হয়েছে ওকে অস্বীকার করো না।

অবৈধকে বেধ করে নাও। ভাইয়া রেগে গিয়ে বলে কে অবৈধ? আল্লাহ স্বাক্ষী আমরা কাজী দিয়ে বিয়ে করেছি...মেয়ের বাবা আনন্দে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমার বিশ্বাসের অমর্জাদা তুমি করোনি, তোমাকে ..... কিন্তু লুকিয়ে কেন করতে গেলে? মেয়েটি বলে সে কথা শুনলে তোমরা ওকে আর মেনে নিতে পারবে না, বাবা! ও বিবাহিত, ওর আরেকটা বেবি আছে ও! ওইযে সুন্দর মেয়েটা? ওটাই কি ওর সন্তান! একটু দমনিয়ে আবার বললেন তাতেকি দুই বিয়ে কি পুরুষরা করে না? সংসার চালাতে না পারলে আমি হেল্প করবো। আমার যা আছে তার উত্তরাধিকারতো আর কেউ নাই, তোমাদের সন্তান হবে সেই উত্রাধিকার। আমার মেয়েরতো সন্তান হওয়ার ক্ষমতাই ছিল না। ডাক্তার বলেছিল...কী হতাশায় আমরা ডুবেছিলাম, তারচে এই ঢের ভালো।

.... কিন্তু ভাবি? ভাবিকি পেরেছে মেনে নিতে? এখন ভাইয়া ভাবিকে আর মোটেও সময় দেয় না। ভাবি মেয়েটার অজুহাতে কিছু বললে মেয়েটাকে নিয়ে আর নতুন বউকে নিয়ে যায় ঘুরতে। মেয়েটা ওকে মাম ডাকে। একদিন ভাইয়া আমাকে কয়েকটা ছবি দেখায় কম্পিউটারে, তেখতো কেমন? ক্যান বিয়ে করবি নাকি? আরে না, মডিলিঙ করবে... এই মডেলই তবে সেই মেয়ে? ভাবির একটি ভুলে ওরা জড়িয়ে গেলো এভাবে? নাকি এটাই লিখন ছিল? ভাইয়ার এখন প্ল্যান হচ্ছে মেয়েটার দুধ ছাড়ানো হয়েগেলে ওকে নিয়ে যাবে। আর ভাবি থাকতে চাইলে থাকবে ন্যুনতম অধিকার নিয়ে আর থাকতে না চাইলে তাকে সসম্মানে বিদায় দেওয়া হবে।

আর নতুন ভাবি বলেছে দেনমোহরের টাকাটা সেই শোধ করবে। ..... অন্যকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল ভাবি। আহারে! সেও কি পারবে আরকেটা চেলেকে বিয়েকরে নতুনজীবন সাজাতে? পারলেতো কোনও কথা নেই, আর না পারলে?.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।