আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুরঞ্জিত বাবু কি জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ বৃদ্ধির কথা বলে দিল্লীর বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্য প্রেরণের দাবীকে যৌক্তিক করতে চান?

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেক কঠিন ও দুরূহ : রেলমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেক কঠিন ও দুরূহ মনৱব্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ৪০ বছরে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা এ বিচারে বাধা সৃষ্টি করেছিল, এখনো নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখন গণমানুষের দাবি। তাই প্রয়োজনে আরও কয়েকটি ট্রাইবুন্যাল গঠন করে হলেও এদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। গতকাল রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপল েএ সভার আয়োজন করা হয়। পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রমুখ। মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মেজর জেনারেল (অব সি আর দত্ত বীর উত্তম। সাতীরায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা তদনৱ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সারা দেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদীদের অপতৎপরতা আবার বেড়েছে। তাই আপনাদের দু’জনের একজন সেখানে যান, ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলুন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

’ তিনি বলেন, আমরা গত সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদীদের পরাজিত করলেও বর্তমান সময়ে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় আবার সক্রিয় হচ্ছে তারা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে চক্রান্তকারীদের সব চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হবে। অর্পিত সম্পত্তি আইন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রণয়ন করতে দেরি করেছে তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। তিনি এ আইন যথাযথভাবে কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে কামনা করেন। http://www.dailynayadiganta.com/details/39861 গতকাল একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম; বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সেনা পাঠানোর জন্য হাসিনার উপর দিল্লীর চাপঃ এরা স্থায়ী হবে কি? Click This Link যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের বিশেষ দূত সাতিন্দার কে লাম্বা বাংলাদেশের মহাজোট সরকারের সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ইত্যাদি দমনে উচ্চ প্রশংসা করলেও পুরোপুরি সন্তষ্ট হতে পারেননি।

তার ও ভারতের এখন দাবী যে শেখ হাসিনা যেন দিল্লীকে সেই দেশের সামরিক বাহিনীকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়ে যৌথ অপারেশনের অনুমতি দিক। এই যখন অবস্থা তখন সাতক্ষীরা জেলায় বিচ্ছিন্ন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সংঘর্ষকে ভিত্তি করে রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত বাবু বলে দিলেন দেশে নাকি জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ আবার বেড়েছে। বস্তুত রাসুল(সাঃ)কে যে হিন্দু ব্যাক্তি অপমানজনক কথা বলেছে এবং তার জন্য অন্যায় ভাবে নিরীহ হিন্দুদের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে বা যারা চালিয়েছে উভয়েই অপরাধী। এর জন্য পুলিশ আলাদা ভাবে রিপোর্ট ও মামলা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারে দিলে ঘটনা চূকে যায়। কিন্তু চিবিয়ে চিবিয়ে ধূরন্ধর ও কটু রাজনৈতিক উক্তি ও মন্তব্য-মনগড়া অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথা বলতে সুরঞ্জিত বাবু অত্যন্ত পারদর্শী।

আমরা দেখেছি ২০০৫ সাল হতে বিগত জোট সরকার জেএমবির প্রধান শায়খ রহমান, বাংলাভাই এদের গ্রেফতার ও বিচারে দিলে ১/১১র পরের সরকার তাদের ২০০৭ সালের মার্চে ফাসী কার্যকর করে। প্রকৃতপক্ষে ভারতের সাজানো তথাকথিত জঙ্গীবাদ ১৯৯৮ সালে হাসিনার প্রথম আমলে গঠিত হয়ে ১৯৯৯ হতে তাদের অপতৎপড়তা শুরু করে। হাসিনা তার ঐ মেয়াদের শেষ পর্যন্ত কোন ফলপ্রসু ব্যাবস্থা উক্ত জঙ্গীদের বিরুদ্ধে নিতে পারেনি। বিগত জোট ও ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্যই বর্তমান মহাজোট সরকারের শুরু হতেই দেশ জঙ্গী হামলা মূক্ত ছিল। কিন্তু সুরঞ্জিত বাবুর এই ধরণের বিভ্রান্তিকর, অসত্য কথা বলে দেশে ও বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠা করবেন যে আবার বাংলাদেশ জঙ্গীবাদের কবলে পড়েছে।

বিগত তিন বছরে মহাজোটের আমালেও কম-বেশী জেএমবি ও অন্যরা ধরা পড়েছে। তাহলে যেখানে জঙ্গী তৎপড়তা বন্ধ হওয়ার কথা সেখানে হুট করে এভাবে বৃদ্ধি পায় কিভাবে? এই উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা প্রায়ই হয়। কিন্তু এটাকে ভিন্ন রুপ দিয়ে সুরঞ্জিত বাবু নিজের সরকারকে ব্যার্থ বলে দিল্লীর সাম্প্রতিক দাবীকেই যৌক্তিক করলেন। অবশ্য এও বলতে হয় হাসিনার মহাজোট র্দূনীতি, লুটপাট, অনিয়ম, অব্যাবস্থাপনা করে দেশের অর্থনীতিকে দূর্বল করে দিয়েছে এবং পক্ষান্তরে দেশবাসী ও সংসদকে না জানিয়ে ভারতকে একতরফা সুবিধা দিয়ে চুক্তি করেছে। তাই সরকারের জনপ্রিয়তা একেবারেই কম।

ফেয়ার ভোট হলে তারা শোচনীয় ভাবে হারবে। তাই বিরোধী দলও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীকে ঘিরে আন্দোলনে যেতে চাইছে। সরকারের নিজের দেউলিয়াত্ব, দূর্বলতা ও অপকর্ম ঢাকার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্থ ও জঙ্গীবাদের কাল্পনিক ধুয়া তুলে বিরোধী পক্ষকে রুখার অপচেষ্টা করছে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও সামর্থ্যের মধ্যে রাখার কথা বলে আজকে তারা জনগণকে অনেক র্দূবিষহ অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এমনকি কোন কোন মহল বলছে বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্য গণ-অভ্যুত্থানও ঘটতে পারে।

এই সব কিছুকে আড়াল করার জন্য এখন কথায় কথায় যুদ্ধাপরাধ এবং আধুনা জঙ্গীবাদের ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা ঠিক সেই ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানের নজিবুল্লাহর মত যে গণ-বিচ্ছিন্ন ছিল কিন্তু উগ্র নাস্তিক ধর্মী সোভিয়েত ষ্টাইলে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে নিজ দেশে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। তারপর উপায় না দেখে এক লক্ষ সোভিয়েত লাল ফৌজ তার দেশে ঢুকান। এখন সুরঞ্জিত বাবু যেহেতু পূর্ণমন্ত্রী তার এই সমস্ত কারসাজি ও অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ কথাও দিল্লীকে বাংলাদেশে সৈন্য প্রেরণের পথ সুগম করে দিবে। স্পষ্টতই বাংলাদেশের ভবিষ্যত তখন অনিশ্চিত হয়ে উঠবে!  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.