আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুচরা কিছু ইনসিডেন্ট(একইসাথে ১৮প্লাস ও ১৮ মাইনাস)

........ (১) একদিন কলেজ থেকে বাসায় আসছি । শহরে ঢুকে সাহেব আলী রোডে একজন শিশু-বিশেষজ্ঞ এর সাইনবোর্ডে চোখ পড়ল । সেখানে “শিশু”র বয়সের লিমিট দেয়া আছে, “০-১৮” । এটা দেখে ১৯ বছর ৩৬০ দিন বয়সী আমি ভাবলাম, “একটুর জন্য বেঁচে গেছি । ” (এইটা অবশ্যই ১৮-……নিচে না নামলে ১৮প্লাস দেখা সম্ভব না…… ) (২) মেডিকেলে ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুদিন পরথেকেই “বাঁশ” শব্দটা অনেক আপন মনে হতে লাগল ।

পরীক্ষার সময় সেই আপনভাব আরো বেশি প্রবল হয় । তো এই দুঃখে আমার মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসেবে দুইখান সবুজ বাঁশের “নিসর্গ” ক্যাটাগরির একটি ছবি দেয়া ছিল । এই কালজয়ী(!) ওয়ালপেপার বন্ধুমহলে যুক্তিযুক্ত আলোড়ন তৈরি করল । সবাই এই বাঁশের ছবি সেট করার কারণ জানতে চাইল । যদিও তারা কারণটা সম্পর্কে অজ্ঞাত নয় তবুও তাদের আশা, আমি হয়ত আমার ভাষায় মজাদার কিছু একটা বলব…… যাই হোক, আমার উত্তর ছিল অনেকটা এরকম, “এই দুইটা বাঁশ ফিজিওলজি আর বায়োকেমিস্ট্রি, এই দুইটা সাব্জেক্ট রিপ্রেজেন্ট করতেছে……” আবার প্রশ্ন আসল, “তাইলে এনাটমিরটা কই???” আমার উত্তর এরকম প্রায় এরকম ছিল, “ওইটা তো অনেক বড় আর সবার ভিতরেই একটু একটু কইরা ইন্সটল করা আছে, কাজেই ঐটা ছবিতে আঁটেনাই……” এই সেই ঐতিহাসিক ছবি…… বোনাস “বাঁশপাতার কাব্য”: “এনেছিলে সাথে করে আইক্কাওয়ালা বাঁশ, পশ্চাতে বাজল তাহাই করে ঠাশ ঠাশ!!!” (৩) ছোটভাই এইচএসসি পরীক্ষা দিতেছে ।

বাংলা পরীক্ষা দেওয়ার সময় এক ছেলে তার কাছে “Encyclopedia” শব্দের মানে জানতে চাইল । প্রথমে ভাই বল, “জ্ঞানকোষ” । কিন্তু ছেলেটা শুনতে পায়নাই, আবার জিজ্ঞাসা করল । তখন সাজিদ খাতাটা একপাশে রেখে ছেলেটিকে দেখতে দিল । ছেলেটি দেখল এবং খাতায় উত্তর লিখল ।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দুইজনের মাঝে এই নিয়ে আবার কথা হল । ছেলেটা বলল, সে এনসাইক্লোপিডিয়া শব্দের মানে লিখেছে “স্তনকোষ”!!!......আরও বলল প্রথমে নাকি “জননকোষ” লিখেছিল, পরে নাকি কেটে “ঠিক” করে “স্তনকোষ ” লিখেছে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।