আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিবিরের শিব সেনাদের কান্ড দেখুন

ঢাকা, এপ্রিল ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের চালক ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে ট্রেন আটকে দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। তাদের হামলায় আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনার পর থেকে শাটল ট্রেনের চালককে পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়গামী প্রথম শাটল ট্রেনটি সাড়ে ৭টায় শহরের বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। পৌনে ৮টার দিকে ট্রেন ঝাউতলা স্টেশনে পৌঁছানোর পরই শিবির কর্মীরা ট্রেনে চড়াও হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেন থামার পরপরই ৫০-৬০ জন যুবক ইঞ্জিনে উঠে পড়ে এবং তারা চালককে মারধর করে নামিয়ে আনে। এ সময় কর্তব্যরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের বাধা দিতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। এরপর হুমকি ধামকি দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ষোলশহর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই লোকমান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অর্ধশতাধিক যুবক হঠাৎ এসে ট্রেনে হামলা করে। আমরা থামাতে গেলে লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপরও চড়াও হয়।

” এসআই লোকমানসহ আহত তিন পুলিশ সদস্যকে দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এ হামলা চালিয়েছে জানতে চাইলে লোকমান বলেন, “ওরা শিবির কর্মী বলে আমাদের ধারণা। ” এদিকে হামলার ঘটনার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না শাটল ট্রেনের চালক গোপাল চন্দ্র দাশকে। চট্টগ্রাম রেলের জুনিয়র লোকো পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামলাকারীরা চালককে তুলে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। ” হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ আশিকউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদে কেউ এটা করেনি।

আমরা ক্যাম্পাসে ধর্মঘট পালন করছি, তবে অবরোধ ডাকিনি। ” শাহ আমানত হলের শিক্ষর্থীরা ট্রেন আটকে দিয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩৮দিন বন্ধ থাকার গত ১৮ মার্চ খুলে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে ওইদিন থেকেই ধর্মঘট চালিয়ে আসছে ইসলামী ছাত্র শিবির। এর দুদিন আগে ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হলেও শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগ ও শিবির কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় হলটি বন্ধ রাখে কর্তপক্ষ।

বন্ধ হওয়ার আগে শিবির কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই হলটি এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদদৌলা বিডিািন্জু টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঝাউতলায় ট্রেন আটকে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ কারণে পরের দুটো ট্রেন আর ছাড়েনি। আমরা বিষয়টি দেখছি। ” Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.