আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি কানাডার

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কানাডার। বিশ্বখ্যাত টাইমস সাময়িকীর ২০১২ সালের হায়ার এডুকেশন রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ে ১৬তম স্থান অধিকার করে টরন্টো বিশ্বদ্যিালয় কানাডার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের মর্যাদা লাভ করেছে। ১০০টি মূল্যায়নের ক্ষেত্র বিবেচনা করে ১৩২ দেশের ১৭ হাজার শিক্ষাবিদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি টাইমসের র‌্যাংকিংয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর; সেরা ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি-ই এই দেশটির। পুরোপুরি ১০০ পয়েন্ট অর্জন করে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুট হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলেই রয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় যথাক্রমে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিংয়ের সম্পাদক ফিল ব্যাটি বলেন, সম্মানজনক ওয়ার্ল্ড রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ের এই তালিকায় শুধু ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে, যা বিশ্বের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। আর এ জন্যই যারা তালিকায় স্থান পেয়েছে, তারা পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অভিজাত, অনন্য এবং শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় সেরা বিবেচিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের টাইমস রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ২০ পেয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৬তম স্থান পেয়েছে। ২০১১ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ১৭ নম্বরে।

ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (ইউবিসি) এবং মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় ১১ দশমিক আট পয়েন্ট নিয়ে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে যৌথভাবে সেরা ২৫ মনোনীত হয়। ইউবিসি আগের বছরের চেয়ে ছয় ধাপ উন্নতি ঘটালেও ম্যাকগিল উন্নতি ঘটাতে পেরেছে চার ধাপ। ২০১১ তালিকায় ম্যাকগিল এবং ইউবিসির অবস্থান ছিল যথাক্রমে ২৯ এবং ৩১। ইউবিসির প্রেসিডেন্ট স্টিফেন টুপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আন্তর্জাতিক গবেষণায় সহযোগিতা এবং নতুন জ্ঞানের ক্ষেত্র প্রস্তুতের প্রতি ইউবিসির দৃঢ় অঙ্গীকার এই বিশ্বরর‌্যাংকিংয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা কানাডার পাশাপাশি বিশ্বকেও সমৃদ্ধ করছে। ব্রিটেন ভিত্তিক টাইমস প্রকাশনার এই হায়ার এডুকেশন রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ে শ্রেষ্ঠ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, দুটি ব্রিটেনের এবং একটি জাপানের।

শিক্ষা-দীক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবীর অগ্রসর দেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যাশিতভাবেই শ্রেষ্ঠ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে ফ্রান্সের অবস্থা বেশ উদ্বেগ ও হতাশাজনক; ১০০-এর মধ্যে চারটি, যার কোনোটিই শ্রেষ্ঠ ৬০-এর তালিকায় নেই। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। ম্যাকলিনের পল ওয়েলস এক প্রতিবেদনে বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় কম জনসংখ্যা নিয়ে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তুষ্টিকর। কিন্তু বর্তমানের বিশ্বজনীন এই জ্ঞানের পরিমণ্ডলে কানাডার বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে সর্বজনবিদিত জ্ঞানী-গুণীদের সমাবেশ ঘটানোর ক্ষেত্রে।

কানাডার হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যরা তেমন ভালো নয় এ ক্ষেত্রে। ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় বলা হয়, এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সমকক্ষ হয়ে উঠছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্র‌্যাংকিংয়ে ক্রমশই উন্নতি করছে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর ২৩তম স্থান নিয়ে শ্রেষ্ঠ ২৫-এর তালিকায় ঢুকে গেছে। তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়াও উঠে আসছে।

তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় ব্রিটেনের বেশ কিছু উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান দুর্বলতর হয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব আগের মতোই আছে। শ্রেষ্ঠ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪টি-ই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই দেশটির। ফিল ব্যাটি বলেন, অক্সফোর্ড এবং ক্যামিব্রজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া ব্রিটেনের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খ্যাতিমান উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশ্ব প্রিমিয়ার লিগে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিচের সারিতে অবনমন ঘটেছে।

তথ্যসূত্র- Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.