আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ে ফিজিওথেরাপি

বর্তমান সময়ে ফিজিওথেরাপি শব্দটির সাথে আমরা খুবই পরিচিত । ফিজিওথেরাপি একটি ইংরাজি শব্দ যা দুইটি শব্দের সমন্বয় গঠিত, ফিজিও(শারীরিক) এবং থেরাপি(চিকিৎসা) অর্থাৎ ফিজিওথেরাপি হচ্ছে বিশেষ ধরনের শারীরিক চিকিৎসা পদ্ধতি । এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম ও অপরিহার্য শাখা । ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ইতিহাস যেমন প্রাচীন তেমনি একইসাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর ভূমিকাও সুদূর প্রসারিত । যে সকল ক্ষেএে ফিজিওথেরাপি মুখ্য ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে অন্যতম হল যুদ্ধ ক্ষেএে এবং তার পরবর্তী যুদ্ধাহত পঙ্গু, বিকলাঙ্গ ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ।

যখন কোন যুদ্ধ সংগঠিত হয় তখন প্রচুর যোদ্ধা ও সাধারণ জনগণ শারীরিক ভাবে পঙ্গু, বিকলাঙ্গ ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী একমাএ স্বীকৃত গ্রহণযোগ্য নির্ভরশীল পেশা ফিজিওথেরাপি । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই যুদ্ধক্ষেএে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ব্যবহার শুরু হয় । ১৯০৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্টেলিয়া তাদের বিশেষভাবে আঘাতপ্রাপ্ত, বিকলাঙ্গ, পঙ্গু, পক্ষাঘাতগ্রস্ত, মাংসপেশিতে ও নার্ভে আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিকদের চিকিৎসা ম্যাসেজ-থেরাপি ব্যাপক ব্যবহার করে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিজিওথেরাপির আরও উন্নতি সাধিত হয় এবং ফিজিওথেরাপিস্টদের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।

বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপির চিকিৎসারও রয়েছে অতি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস । ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে প্রফেসর আবুল হোসেন স্যারের হাতেধরে প্রথম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসেবার শুভ সূচনা হয় । পরবর্তীতে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধাহত পঙ্গু, বিকলাঙ্গ ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সবাধানুকি চিকিৎসা লক্ষে বঙ্গবন্ধুর আহবানে জার্মান নাগরিক জে গাষ্টের নেতৃত্বে ও সহায়তায় পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় । ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুধু আঘাত প্রাপ্তদের ক্ষেএেই নয় এমন কি যোদ্ধাদের শারীরিক যোগ্যতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে থাকে । একজন ফিজিওথেরাপিস্ট যুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ে যে সকল দায়িত্ব পালন করেন তার মধ্যে অন্যতম হল : ১।

যোদ্ধাদের শারীরিক যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়ানো এবং ধরে রাখতে সাহায্য করেন । ২। অনন্য সকল বিশেষজ্ঞদের সাথে প্রতিদিন রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন । ৩। একটি চিকিৎসা চাট তৈরি করেন যা ব্যথা কমাতে, কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।

৪। রোগীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে মাঠপযায়ে কর্মক্ষম করে তোলেন । ৫। বিভিন্ন আঘাত জনিত সমস্যার চিকিৎসা করা । ৬।

একদল সৈনিক কে নেতৃত্ব প্রদান করেন । ৭। সামরিক কাজে অংশগ্রহণ করেন । সৈয়দ শামীম আহসান মারুফ ছাএ বি.পি.টি, স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্স, মেডিসিন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.