আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অশ্লীলতার কবি

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি ১৯ শোবিজের মানুষদের নিয়ে নানান কথা শুনি। এবার দেখার পালা। এখানে সেখানে যাওয়া হয়- এফডিসি, বিটিভি ভবনে , সেরকারি টিভি চ্যানেল এবং নাকটপাড়া বেইলি রোড়ে গেলে তাদের নিয়ে কথা শুনি।

শিল্পীরাই বলে থাকেন অমুকের সাথে অমুকের অবৈধ সম্পর্ক। তবুও দেখি অভিনেতা অভিনেত্রী সুখি সুখি ভাব নিয়ে ঘুরে ফিরে বেড়ান। শম্পারেজা যেটাকে বলেছিলেন, জীবটাই নাকি অভিনয় মঞ্চ। এখানে সবাই অভিনয় করে বেড়াচ্ছেন। আসলেই তাই।

শোবিজ জগতের মানুষের জীবনটাই একটা অভিনয়। এখানে তাদের জীবনে নৈতিকতার বালাই নেই। মধ্য বিত্ত পরিবারের ঐতিহ্য এখানে বিসর্জিত, চরমভাবে। যৌনতার ছড়াছড়ি। নায়িকাদের অনেকেই এখানে ভোগ্য পণ্য।

সেটা অবশ্যই দুপক্ষের মতে। এখানে জোর জবরদস্তি বলে কিছু নেই। আমাদের সাথে সিনেমার একজন সহকারি পরিচালক কাজ করতেন। খোকন নাম। সে অনেক তথ্য দিলো।

আমাকে কয়েকদিন এফডিসি নিয়েও গিয়েছিল। অনেকের সাথে আলাপ হলো। চরিত্ররে কদর্যতা এখানে নৈমিত্তিক, তাই এটাকে কেউ খবরও মনে করেন না। সে সময়টাতে প্রচুর অশ্লীল বাংলা সিনেমা হচ্ছিল। মুনমুন ও ময়ূরীর আবির্ভাব সে সময়।

অভিনেত্রীদের টাইট হাফপ্যান্ট পরা ছবির ছড়া ছড়ি । রবীন্দ্র গোঁপ একজন কবি। সে সময় সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই অশ্লীলতার কবি বলা চলে। তার সময় অশ্লীল সিনেমার প্রচণ্ড বিস্তৃতি।

বাংলাদেশের শো বিজ জগতের এমন অনেকে আছেন, যাদের ভক্ত ছিলাম অনেক আগে থেকে, কিন্তু তাদের জীবনের বিরীপত সাইটটা আমাকে আহত করলো। আমি খুবই কষ্ট পেলাম এটা জেনে যে, নায়িকাদের জীবন কেবল প্রযোজক, পরিচালক বা নায়করা উপভোগ করছেন না, সেখানে কিছু সাংবাদিকও আছেন। মিডিয়া কভারেজের জন্য, নেগেটিভ নিউজ আছে এমন কথা বলে তাদের সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম এ জন্য যে, এমন অনেক প্রতিষ্ঠিত শোবিজ তারকা ছিলেন, যারা উঠতি তরুণীদের মিডিয়ায় জায়গা করে দেবার নাম করে ভোগ করতেন। খোকন অনেক দিন দরে সিনেমা লাইনে আছে।

তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ। খোকনের সাথে এখন আমার যোগাযোগ নেই। থাকলে ভালো হতো। এখনকার পরিস্থিতিটা জানা যেতো। বিনোদন সাংবাদিকতা না করলে আমার জীবনে অনেক কিছুই অজানা থাকত, বিশেষ করে শোবিজের সুখি সুখি ভাব ধরা মানুষ গুলো, যাদের গল্প রাত জেগে টিভিতে আমরা দেখি এবং ভাবি, ওরা কী আনন্দেই না আছে।

তাদের বাস্তব জীবন কথা শুনতে শুনতে আমার মনে হয়েছে, আমরা যারা সাধারণ, তারা অনেক ভালো আছি। আল্লাহ আমাদের অনেক ভালো রেখেছেন। আমরা অনেক ভালো থাকতে চাই। ২০০১ সালের জুন মাসে আমি প্রিয়মুখ ছেড়ে দিলাম। পত্রিকাটি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল।

তাই আমরা যারা সেখানে কাজ করতাম, তারা সবাই বিদায় নিলাম, মালিক পক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না, এটি তারা চালাবেন নাকি বন্ধ করে দিবেন। তবে আমার জীবনের কিছু ভালো সময় কেটেছে প্রিয়মুখে। আজিজ ভাইকে খুব মিস করি। এখন উনি বোধ হয় ব্যবসা করেন, রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা। আমার সাথে যোগাযোগ নেই।

বন্ধুদের মারফত জেনেছিলাম তার সর্বশেষ অবস্থা। বিনোদন সাংবাদিকতা নিয়ে আর আলাপ হবে না। এটাই এ নিয়ে শেষ পর্ব। সামনের পর্বে অন্য কথা হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.