আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যারি পটার এন্ড দি ডেথলি হ্যালোস পার্ট টু-সিনেমা পর্যালোচনা।

২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ১০ বছর পর গতবছর শেষ হল হ্যারি পটারের দুঃসাহসিক অভিযান। রঙ্গীন পর্দা কাপানো হ্যারি পটারের শেষ সিনেনাটি যে আসলে কতটা রঙ্গীন তা নিজ চোখে না দেখলে বুঝার উপায় নেই। যারা এখনও সিনেমাটি দেখেননি তারা এক্ষুনি দেখে ফেলুন গত বছরের সবচেয়ে সারা জাগানো চলচ্চিত্রটি। আর আমার মত হ্যারি পটার ভক্তরা এখনও বোধহয় না দেখে বসে নেই। বরং এ পর্যন্ত হয়ত ৫-৬ বার দেখেও ফেলেছেন।

আর না দেখলে ভাই আপনি কি মিস্ করছেন তা আপনি নিজেও হয়ত জানেন না! এখন মূল কথায় আসা যাক। হ্যারি পটার সিনেমার যাত্রা শুরু জে,কে, রাউলিং এর হ্যারি পটার কিশোর উপন্যাসের মাধ্যমে। হ্যারি পটার এন্ড দ্যা ডেডলি হ্যালোস (পার্ট টু) সিনেমাটি শুরু হয় পার্ট ওয়ান এর ফেলে রাখা অংশ থেকে। ডবি মারা যাওয়ার পর হ্যারি পটার, হার্মায়েনী আর রন শুরু করে লর্ড ভল্ডেমর্টকে তার উপযুক্ত শাস্তি দেবার প্রায় অসাধ্য অভিযান। পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী ওয়ান্ড এল্ডার ওয়ান্ডের মালিক এখন লর্ড ভল্ডামোর্ট ।

এল্ডার ওয়ান্ডের মালিককে কখনই দ্বন্দ্ব যুদ্ধে হারানো সম্ভব নয়। হ্যারি জানেনা কিভাবে হারানো যাবে তাকে যার নাম কেউ কখনই মুখে আনে না, সেই লর্ড ভল্ডেমর্টকে। সেই ক্ষমতাবান শয়তানকে। যে সামনে আসলে গায়ের রক্ত হীম হয়ে যায়। যার আগমনে চারিদিকে সব আনন্দ হঠাৎ করে বিষাদে রুপ নেই।

তার এই চলমান যাত্রায় তার একমাত্র ভরসা ডাম্বেলডোরের উপর তার অঘাত বিশ্বাস। যদিও ডাম্বোলডোরের অনেক অন্ধোকারময় ইতিহাস আছে যা হ্যারি জানতে পারে তবুও তার প্রতি তার বিশ্বাস এতটুকুও কমে না। বরং তাকে বিশ্বাস করে সে নিজের জীবনটাই বিলিয়ে দেয় লর্ড ভল্ডামোর্টের হাতে। এই সিনেমায় হ্যারির পরেই যে চরিত্রটি সকলের মনে দোলা দিয়ে যায় । যে চরিত্রটি কাউকেই কাঁদাতে বাদ রাখেনি।

যে চরিত্রটি কখনও পায়নি তার উপযুক্ত মর্যাদা । এমনি আমার কাছে মনে হয়েছে এই সিনেমার সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র শুধুমাত্র যার কারনে আমি সিনেমাটি আবার দেখতে চাই। সে আর কেউ নই, পোসন মাস্টার স্নেইপ। যার অতীত উন্মোচিত হবে সবার সামনে। এমন করুন এই অতীত যা আমি বাজি ধরে বলতে পারি আপনি আপনার চোখের একফোটা হলেও জল ফেলতে বাধ্য করবে অনায়াসে।

হ্যারি পটার এবং লর্ড ভল্ডামোর্ট সবশেষে যে মহূত্বের জন্য এতো অপেক্ষা সেই মহূর্ত্ব। হ্যারি পটার এবং লর্ড ভল্ডামোর্টের দ্বন্দ্ব যুদ্ধ। এক শ্বাসরুদ্ধকর যুদ্ধের অবসান হয় শয়তানের ধ্বংসের মধ্য দিয়ে। কিন্তু কিভাবে হ্যারি পারল অসীম ক্ষমতাধর এল্ডার ওয়ান্ড এর মালিক লর্ড ভল্ডেমর্টকে হত্যা করতে। যে ওয়ান্ডের মালিকে কখনই হারানো সম্ভব নয়।

কিভাবে স্নেইপ সকলেই চোখে অশ্রু বয়ে আনলেন। কেনই বা ডাম্বোলডোর বিনাযুদ্ধে স্নেইপ এর কাছে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়েছিলেন। সব প্রশ্নের উত্তর জানাতে পারবেন এই সিনেমাটি দেখে। তাহলে আর দেরী কেন? আজই দেখে ফেলুন। আর ভেসে চলুন কল্পনার জগতে হ্যারি পটারের সাথে।

ছবিটি সর্বমোট আয় করেছে 1.3bilion$ এরও বেশি। সমালোচকদের কাছে এর ফ্রেশ রেট হলো ৯৬ শতাংশ!imdb রেট ৯ এর কাছাকাছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.