আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেলা পাগল এক ছেলের কিছু আবেগের গল্প

ব্লগার না পাঠক হওয়ার চেষ্টায় আছি আজকে আমি আপনাদের বলব এক খেলা-পাগল ছেলের কথা। না ছেলেটি কোন খেলাই খেলতে পারে না। এমনকি যার কোন সামান্য গুণ পর্যন্ত নেই এমন একটি এক অতি সাধারণ ছেলের অতি সাধারণ কথা। কাজেই যারা শুধু গুরুত্বপূর্ণ লেখা পড়েন তাদের এ লেখা পড়ার কোন দরকার নেই... শুরুতেই ছেলেটির অতীতের পাগলামির কিছু কথা বলতে হয়... ১। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে যখন শ্রীলঙ্কা-অষ্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয় তখন সে স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র।

সেই সময় চলছিল তার নির্বাচনী পরীক্ষা। খুব সম্ভবত বৃহষ্পতিবারে ফাইনাল খেলা হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে খেলা মাঝে থেমে গিয়েছিল এবং শেষ হয়েছিল অনেক রাতে। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ হয়ে পরদিন সকাল পাঁচটা বেজে গিয়েছিল। ছেলেটি কিন্তু পরীক্ষা থাকা সত্তেও পুরো খেলা একটুও না ঘুমিয়ে দেখেছিল।

জয়সুরিয়া-সাঙ্গারকারার দূর্দান্ত ব্যাটিং সত্তেও গিলক্রিস্টের অনবদ্য ১৪৮ রানের জন্য শ্রীলঙ্কা হেরে গিয়েছিল এবং তৎকালীন অদম্য অষ্ট্রেলিয়া তাদের নিয়ে হাসাহাসি করছিল। জয়সুরিয়া আর সাঙ্গারকারা তখন কিন্তু চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি। এশিয়ার দল হিসেবে তখন কিন্তু সে শ্রীলঙ্কাকেই সমর্থন দিয়েছিল এবং শ্রীলঙ্কার হারা নয় বরং শ্রীলঙ্কা তথা এশিয়ার দেশকে নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ার হাসা-হাসিতে তার চোখে পানি চলে এসেছিল। ব্যাপারটা পুরোই অদ্ভুত... ২। সেই ছেলেটির কথাই বলছি।

ও কিন্তু ভারতের ক্রিকেটের অনেক বড় ভক্ত। ভাল কথা, ভারতের রাজনীতির নয় কিন্তু, শুধুই ক্রিকেট। সেদিন ছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। সবাই বলছিল ভারত জিতবে। কিন্তু ছেলেটি বলেছিল না বাংলাদেশ জিতবে।

ক্লাসে ছেলেটিকে নিয়ে অনেক হাসা-হাসিও হয়েছিল। মাশরাফি যখন শেবাগকে আউট করেছিল ছেলেটির চিৎকারে কিন্তু বাসা প্রকম্পিত হয়েছিল। তার হাত-তালির শব্দে প্রকম্পিত হয়েছিল চারিদিক। আবার বাংলাদেশ যখন ব্যাটিং এ এল স্পষ্ট মনে আছে জহির খান তামিমকে স্লেজিং করছিল। আপনারা বিশ্ব্বাস করবেন কি না জানি না ছেলেটি কিন্তু মনের অজান্তে চিৎকার করে জহিরকে “কুত্তার বাচ্চা” বলে উঠেছিল।

যখন তামিম জহিরের বল উড়িয়ে ৬ মেরেছে ছেলেটি আরও জোরে চিৎকার করে বলে উঠেছিল শুয়োরের বাচ্চা জহিরের উচিত শিক্ষা হইছে...এ হেন কথায় ছেলেটির বাবা কিন্তু অত্যন্ত অবাক হয়ে গিয়েছিল এবং তার ছেলেকে ভাষা সংযত রাখতে বলেছিল। আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ছেলেটি সাথে সাথে তার বাবাকে বলেছিল সে যা বলেছে ঠিকই বলেছে!! ৩। এবারে বলব তার এসএসসি পরীক্ষার সময়ের কথা। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ হচ্ছিল। পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার আগের দিন বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলা ছিল।

ছেলেটি পড়া বাদ দিয়ে পুরো ক্রিকেট খেলা দেখেছিল এবং সাকিব-আল-হাসান সে ম্যাচে দূর্দান্ত সেঞ্চুরী করেছিল। যদিও বাংলাদেশ যে ওই ম্যাচে হারবে তা প্রথমার্ধের খেলার সাথে সাথেই নিশ্চিত ছিল এবং খুব দ্রুত উইকেট পড়ায় একটি সেকেন্ডের জন্যও মনে হয় নি বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে পারে। আপনি হয়ত বিশ্বাস করবেন না, ছেলেটি মনে করেছিল এক সাকিবই ম্যাচ জিতিয়ে দিবে, ডাবল সেঞ্চুরী করবে...না তা হয় নি। ম্যাচের পর একটি বারের জন্য সাকিবেরও হয়ত মন খারাপ ছিল না কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না খেলা শেষ হওয়ার পর যখনই সে বই খুলেছিল বইয়ের পাতা ভিজে গিয়েছিল তার চোখের জলে। বারবার তার মনে হয়েছিল ইশ, সাকিব যদি ১৫০ করত, আফতাব যদি ৫০ করত তাইলেই সাকিবের সেঞ্চুরী বৃথা যেত না... ৪।

জিম্বাবুয়ের সাথে একটি ম্যাচে শাহাদাত হ্যাট্রিক করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। কোন বাংলাদেশীর তা ছিল প্রথম হ্যাট্রিক। কিন্তু, সেই ম্যাচে মাশরাফির করা শেষ ওভারে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করে দিলেন টেলর। ওই ছেলেটি কিন্তু তখন চোখের জল আটকাতে পারে নি!! বারবার বলছিল কেন মাশরাফি এমন করল!! জাতি যখন পুরো মাশরাফিকে দুষছিল, পেপারে যখন তাকে নিয়ে ফিচারের পর ফিচার বের হচ্ছিল ছেলেটি কিন্তু ম্যাশকে একটি বারের জন্যও দোষ দিতে পারে নি। কারণ, ক্রিকেটে এমন দিন আসতেই পারে।

তাই বলে এমন ব্যক্তি-আক্রমণ করা উচিত নয়... সাম্প্রতিক পাগলামীঃ গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ৫৮, ৭৮ এর লজ্জা সইতে হয়েছিল। আপনি হয়ত জানেন না ছেলেটি “প্রথম আলো” পেপার পড়ে শুধু খেলার পাতার জন্য। বাংলাদেশ ৫৮ রানে আউট হওয়ার পরের দিন কিন্তু ওই পেপারেই বিশাল বড় করে ১০ জন ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার ছবি দেখিয়েছিল। সেদিন সে আরও জানে যে বাসের ওপর মানুষ ঠিল মেরেছে! পরদিন টিভিতে জনগণের কথা অনুষ্ঠানে শুনে “বাঘ এখন বিড়াল হয়ে গেছে”। আর চারদিকের সমালোচনায় বিদ্ধ ক্যাপ্টেন সাকিব।

ছেলেটি কিছুটা হতবাক হয়ে যায় সমগ্র ঘটনায়। একটি প্রশ্নই তার মনে, “আচ্ছা, ছেলেগুলোর সমালোচনা এভাবে করা হচ্ছে কেন?? ক্রিকেটে কি কারও খারাপ দিন থাকতে পারে না??? ” ছেলেটি চূড়ান্ত অবাক হয় এই দেখে যে সাধারণ জনগণ বাদ, সাবেক খেলোয়াররা কি সাকিবের পাশে একটু থাকতে পারতেন না?? সাকিব কি দেশকে কিছু দেয় নি????? তার প্রশ্ন তার মনেই থাকে। কাউকে আর করা হয় না। এবার আর তার চোখে কোন পানি ছিল না। একরাশ হতাশার পাশে ছিল বিশাল শুন্যতা... সাকিবকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরানো হয়।

ছেলেটির মনে হয় খেলা থেকে রাজনৈতিক কারণই বেশি। যদিও সেটা তার ব্যক্তিগত ধারণা। এশিয়া কাপ ২০১২: এশিয়া কাপ সম্পর্কে আর তার বলার কিছু নেই। এদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন বলতে গেলে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা... শুধু ফাইনালে ছেলেটির কয়েকটা অনুভুতির কথা বলি...খেলা শুরুর আগের দিন সে তার স্টুডেন্টকে একটা আন-সীন প্যাসেজ ইংলিশে লিখে দিয়েছিল। প্যাসেজটি ছিল এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের উপর...তিন পৃষ্ঠার বিশাল প্যাসেজ হয়ে গিয়েছিল।

প্যাসেজ থেকে ট্রু/ফলস , প্রশ্নউত্তর ইত্যাদি লিখতে দিয়েছিল। ক্লাস থ্রি তে পড়ুয়া ছাত্রীটি এত্ত বড় প্যাসেজ দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিল এবং প্যাসেজে খেলার মাঝে “টাইগার” শব্দটি দেখে অত্যন্ত অবাক হয়েছিল। এক নজর দেখেই সে ছেলেটিকে বলল “স্যার, এখানে টাইগার এল কেন? আর এত্ত বড় প্যাসেজ কেন দিলেন??” ছেলেটি তখন বললঃ “আমি তোমাকে পুরো প্যাসেজের অর্থ বলে দিব, তোমার কাছে অবশ্যই অবশ্যই খুব মজার লাগবে প্যাসেজটা। ” প্যাসেজের শেষ লাইনটি ছিলঃ “The TIGERS will roar again and they shall beat Pakistan.” স্টুডেন্ট শেষ লাইনটি পড়ে বলল “স্যার, দে এর পর কি উইল হবে না??” ছেলেটি তাকে বলেছিল যে কোন কিছু নিশ্চিত হবেই হবে এমন বোঝাতে দে এর পর শেল বসে... খেলা শুরু হল। প্রত্যেকটা সময় ছেলেটির চিল্লাচিল্লিতে মুখরিত ছিল তার বাসা।

শেষ ওভারে শাহাদাতকে ১৯ রান দিতে দেখে শুধু তারই চোখ ছলছল করে নি তার বাবারও মুখটা কাল হয়ে গিয়াছিল। তারপরও ছেলেটি জানত বাংলাদেশ জিতবে। তার এত্ত উচ্ছাস দেখে তার বাবা বলেছিল “এত্ত চিল্লাইস না, আগে খেলা শেষ হোক...তারপরে চিল্লাইস...দেখ, বাংলাদেশ আবার অল-আউট হয় কি না...” কিন্তু ছেলেটি যে ধরেই নিয়েছিল বাংলাদেশ জিতবে। তাই তার বাবার কথার নিকুচি করল। তার চিল্লাচিল্লি যে ভয়ঙ্কর মাত্রা অতিক্রম করল।

কিন্তু বাংলাদেশ যখন ব্যাটিং এ এল ছেলেটি নাজিমের ব্যাটিং দেখে বারবার বলছিল ও কেন আউট হয় না। তার বাবা তাকে বলেছিলেন এগুলা কি বলছে ছেলে...উইকেট ধরে রাখা মানে ম্যাচ ধরে রাখা...কিন্তু, নাজিমের বল নষ্ট করা দেখে ছেলে মনে হয় কিঞ্চিত বদ দোয়া দিল। সেই বদ দোয়াই হোক, বা নাজিমের শট খেলার জন্যই হোক নাজিম আউট হয়ে গেল। ছেলের বাবার মন খারাপ হলেও ছেলে কিন্তু খুশি। এবার রান বাড়বে।

কিন্তু না!! জহুরুল আউটের সাথে সাথে ছেলে বুঝল যে ব্যাটসম্যানরা বলই বুঝছে না!! নাজিমের কোন দোষ নেই। ৮২ রানে ৩ উইকেট নাই। সাকিব ক্রিজে। রানই নিতে পারছে না। ম্যাডেনের পর ম্যাডেন যাচ্ছে।

খেলার এ অবস্থা দেখে ছেলের বাবা রাগ করে ঘুমিয়ে পড়ল। জিতা ম্যাচ হারছে বলে ছেলের মা অন্য রুমে চলে গেল...কিন্তু ছেলেটি চোখে গভীর স্বপ্ন নিয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে। হ্যা, তার চোখেও হতাশা। বাংলাদেশ পারছে না বলে নয়, সাকিব রান পাচ্ছে না বলে সাকিবে চোখের অংগ- ভঙ্গি দেখে!! নাসিরের হতাশা দেখে...প্রথম বারের মত মনে হল নাজিম আউট না হলেই ভাল হত...তামিম তামিমের মত খেলত...একটা সেঞ্চুরি করত...... কিন্তু সাকিব তো সাকিবই...দূর্দান্ত খেলে ম্যাচটিকে যখন বের করে নিয়ে যাচ্ছিল তখনই দূর্ভাগ্যের শিকার। বোল্ড...চারদিকে রাজ্যের হতাশা।

মুশফিকের বিদায়ে ম্যাচ জয়ের আশাও শেষ... কিন্তু না, ওই যে মাশরাফি, আপনাদের মনে আছে যাকে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ভিলেন বানানো হয়েছিল সে, হ্যাঁ সেই মাশরাফি ৮ বলে ১৮ করে ম্যাচ বের করে ফেলেছিল। ও কাকে পিটাচ্ছিল জানেন?? হ্যাঁ, সাইদ আজমলকে। ঘূর্ণী জাদুকরকে, যার বল তামিম-সাকিবও খেলতে পারে নি...কিন্তু না, শেষ রক্ষা হল না... ওই আজমলের পরের বলেই আউট মাশরাফি...ছেলেটির চোখে আবারও রাজ্যের হতাশা। তখনও ক্রিজে ছিলেন রিয়াদ। সবার ভরসার শেষ প্রতীক...শেষ ওভারের প্রথম বলে আবারও একটি সিঙ্গেল।

না, ডাবল নিতে পারতেন। কিন্তু, চিমার সাথে ধাক্কা লাগায় তা হয় নি...ওই যে ছেলেটি যে পাকিস্তান ক্রিকেট টীমকে পছন্দ করে শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেট টীমের সাথে ভাল ব্যবহারের জন্য, হ্যাঁ সে, চীমাকে শুওরের বাচ্চা বলে গালি দিল...চিৎকার করে বলল, গাধা মাহমুদুল্লাহ, কুত্তার বাচ্চাটাকে একটা থাপ্পর দে......এবার আর তার মা বাবা কিছু বলে নি। হয়ত খেলার উত্তেজনায় উনারা ডুবে গিয়েছিলেন...এরপর রাজ্জাক যখন ব্যাটিং এ, ছেলেটির মনে শুধু একটাই প্রার্থনা ওই কুত্তার বাচ্চাকে যেন রাজ্জাক ৬ মেরে খেলার মর্ম বুঝায়...কিন্তু না...খেলাটা যে অনেক অনিশ্চয়তার খেলা। শেষ রক্ষা আর হল না...আবারও ছেলেটির চোখের জল। এ জল কোন বাধ মানে নি।

তাই শাহাদাত যখন মাত্র ১ রান নিল সে দৌড়ে বাথরুমে ছুটে গেল। অঝোড় ধারায় কাঁদতে লাগল । কান্না মুছে, চোখ ধুয়ে ও যখন আবার টিভির সামনে এল দেখতে পেল সাকিবকে জড়িয়ে মুশফিক বাচ্চাদের মত কাঁদছে। আর আনামুল একা একা দাঁড়িয়ে কাঁদছে। সাকিব তাকেও সান্তনা দিল।

এবারও ছেলেটির মন খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু ওদের কান্না দেখে এবার আর ছেলেটির চোখে জল এল না। মনে মনে বলল কিসের খেলোয়ার এরা? এরা তো হারবেই...এরা না নিজেদের প্রফেশনাল খেলোয়ার বলে দাবী করে?? তাহলে এদের চোখে পানি কেন????? আপনারা হয়ত জানেন, পুরষ্কার বিতরণীর সময় ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট ঘোষণার সময় সবাই খুব খুশি ছিল কারণ তখন সাকিবের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ছেলেটি এবারও চোখের পানি আটকে রাখত পারল না। বিপিএল যে একাই দলকে সেমিফাইনালে তুলেছিল, অতি মানবীয় ইনিংস খেলেও ঢাকার বিপক্ষে সেমিতে হেরেছিল, যে বিপিএল এ ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হয়েও খুলনাকে শিরোপা জিতাতে পারল না হ্যাঁ, সেই সাকিব আবারও ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট এই এশিয়া কাপে।

বেচারা সাকিব...শিরোপা প্রায় স্পর্শ করেও আর নেয়া হল না। ও,কয়েকটি ঘটনায় কিন্তু পাকিস্তানের সাথে আগের সিরিজে ছেলেটির মন অনেক খারাপ ছিল। বাংলাদেশে জন্মেও কেউ কেউ নির্লজ্জভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলায়ও পাকিস্তানকে সমর্থন করে গেছেন!! ওদের জন্য আসলে ঘৃণা নয় বরং এক দলা থুথুর সাথে রইল কিছু করুণা। তবে অনেকেই তাদেরকে ব্যাক্তি আক্রমণ করেছেন যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ছেলেটির ধারণা বাংলাদেশ যদি কখনও আবারও ৫৮ রানে(ইনশাল্লাহ আর কোন দিনই হবে না) অল আউট হয়, ওই যে ব্যাক্তি আক্রমণ যারা করেছিলেন তাদের কেউই হয়ত তামিম-সাকিবের গাড়িতে ঠিল মারবেন।

বাংলাদেশ অনেক কিছু পেয়েছে এই এশিয়া কাপে। দলের ধারাবাহিক ভাল খেলার শুরু এখান থেকেই। ও ভাল কথা, ছেলেটি কিন্তু কখনই ক্রিকেট আর রাজনীতিকে এক করে দেখে না। সে মনে প্রাণে বিশ্বাস করত রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কমাতে পারে কেবল এবং কেবল মাত্র খেলা। তাই সে ভারতের সাথে অষ্ট্রেলিয়ার খেলায় এখনও ভারতকে সমর্থন করে, আবার পাকিস্তানের সাথে অষ্ট্রেলিয়ার খেলা হইলেও চাবে যাতে পাকিস্তান জিতে।

ভাল কথা, ওর কিন্তু আরেকটা স্বপ্ন আছে। টি-টুয়েন্টি ফাইনালে ও কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে কেবল এবং কেবল মাত্র পাকিস্তানকেই দেখতে চায় যাতে ফাইনাল ওভার চীমা করে এবং চীমার বল পিটিয়ে সাকিব গ্যালারী ছাড়া করে...অবশ্য বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতও মন্দ হবে না!! শেবাগকে একটি অতি “অর্ডিনারী” বলে বোল্ড আর জহির, জাদেজাদের পিটিয়ে শিরোপা জেতা...ভাবতেই পাশবিক আনন্দে ওর বুকটা ভরে উঠছে। ও ভাল কথা, এসব কিছু ঘটলে কিন্তু সবচেয়ে বেশি খুশি হবে হবে ধারাভাষ্যকার আতাহার। প্রতি ম্যাচেই বাংলাদেশ হারার পর সহকর্মীদের বিদ্রুপে বারবার ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকতে হয় তাঁকে। এখন থেকে আর নয়...বরং অন্য দল-গুলোকেই করুনা জানাবেন তিনি... লেখাগুলো কেমন যেন অদ্ভুত-এলোমেলো হয়ে গেল।

শেষ করছি টাইগারদের জন্য কোটি কোটি শুভকামনা জানিয়ে। এখন থেকে আর আমরা ভাল খেলতে চাই না। ভাল খেলার দিন শেষ। এখন শুধুই জয়ের জন্য খেলা। এখন থেকে প্রত্যেক ম্যাচে প্রতিপক্ষকে খুবলে খুবলে খেতে চাই।

তা প্রতিপক্ষ অষ্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যাণ্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট-ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে যেই হোক না কেন!! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.