আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আই এস আই সাক্ষ্য বিষয়ক মিথ্যাচার ও উইকিপেডিয়া

শুভেচ্ছা আপনারা জানেন দীপান্জ্ঞন নামে একজন ভারতীয় সাংবাদিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবী করেছেন আসাদ দুররানী এই মর্মে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে বিএনপি আই এস আই এর অর্থে পরিচালিত। বিষয়টি ইতিমধ্যেই মিথ্যা প্রমান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীওএখন দেখছি মুখে কুলুপ এটেছেন। প্রথম আলোও নাকি কিছু এই সংক্রান্ত সংবাদগুলো সরিয়ে নিয়েছে বলে সামুতে এসেছে। দেরীতে হলেও উনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে সেজন্যে ধন্যবাদ।

আরো ভাল হত যদি প্রথম আলো সরাসরি ঘোষনা দিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করত। কারন দুররানী আদৌ এ জাতীয় কোন সাক্ষ্য দেন নি। এই ভুল স্বীকার তাদের গ্রহনযোগ্যতাই বাড়াত। নাটের গুরু দীপান্জ্ঞন কিংবা সেইসব সংবাদ মাধ্যমগুলো কিন্তু এখনও ক্ষমা চায় নি। ক্ষমা তারা চাইবেও না।

আসলে পুরো বিষয়টিই তাদের সুদূর পরিকল্পনার অংশ মাত্র। খবরটি ভারতীয় মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হবার সাথে সাথে তা চলে যায় উইকিপেডিয়াতে। উইকিতে বিএপি নিয়ে কয়েক লাইন রয়েছে, তার একটি অংশ হল দুররানী নাকি বলেছে আইএস আই বিএনপিকে ১৯৯১ এর নির্বাচনে টাকা দিয়েছে: দেখুন উইকিপেডিয়া: Click This Link On the other hand it has been found to have a good relationship with Pakistan, as the chief of Pakistan's Inter-Services Intelligence, Asad Durrani, admitted in the court that it meddled in India's Northeast and funded the BNP during the 1991 general elections in Bangladesh.[1] উইকির এই খবরের লিংক দেয়া হয়েছে ডেইলী মেইলের। 1.^ Dipanjan Roy, "Pakistan ISI admits supporting insurgency in India's Northeast", The Daily Mail, 15 March, 2012 এদিকে ঐ খবরে ডেইলী মেইল কোন পাঠক মন্তব্যই প্রকাশ করে নি। যার ফলে খবরটি যে মিথ্যা সেই তথ্যও ডেইলী মেইলে নেই।

ডেইলী মেইলের সাইটে গিয়ে খবরের নীচে দেখুন: We are no longer accepting comments on this article. Click This Link বুঝতেই পারছেন আসল বিষয় কি? মিথ্যাচার প্রকাশ করে তা দিয়ে সরলমনাদের বিভ্রান্ত করা। কয়দিন পরেই সবাই আস্তে আস্তে এ প্রসংগ ভুলে যাবে। কিন্তু দীপান্জ্ঞন ও তার সাংগপাংগদের কল্যানে উইকিপেডিয়া সহ আরো মিডিয়াগুলো এ বিকৃত মিথ্যাচারকে লালন করেই যাবে। বিদেশী কেউ হঠাৎ বিএনপি সম্পর্কে জানতে চাইলে উইকিপেডিয়া খুলবে। প্রথমেই যে ধারনা পাবে তা হল বিএনপি আই এস আই দ্বারা ফান্ডেড বলে আই এস আই এর সাবেক প্রধান দাবী করেছেন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।