যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা নদী তখনও অস্বচ্ছ ছিল, এখনও আছে।
আমি চরে বেড়াই, চেনা চেনা ঘাসেদের বেছে বেছে।
মিঠেল রোদের বিকেলে, একটা ঢোড়া সাপ-
নিঃশব্দে ভেসে যায় গর্বিত গলা উচিয়ে।
স্বৃতিগুলো কেমন যেন মৃয়মান হয়ে যায় দিনকার ব্যাস্ততায়।
এরপর যখন একলার সময় আসে-
সেইসব অস্বচ্ছ দিনের কথা চিৎকার করে উঠে।
তাই ফিরে এলাম, এই স্পষ্ট বিকেলে, তোমার জন্য নয়।
পুঁই গাছটা কথা রেখেছে অযতনেই বেড়ে উঠেছে, ফল ধরেছে নবান্নের।
আমি রাখতে পারিনি, তোমায় আলতা পরাবো বলেছিলাম পুঁই ফল রঙে।
আমি, একটা দুইটা, অনেক গুলো পুঁই ফল ছিড়ে ফেলি।
দুই হাতে পিশে পিশে খুনি হই, রক্তাক্ত মনে হয় নিজেকে।
খুব আবেগী হয়ে ভেজা গলায় চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে-
মেয়ে তোমায় আলতা কিনে দেব, তবু ক্ষান্ত দাও রক্তক্ষরন।
এই চরে আমি শিথীল হয়ে যাই, শুয়োপোকার মতন,
গোধূলির শেষেই অচেতন হই। ঝি-ঝি পোকাদের অপেরা শুনে শুনে।
আমি বুঝি ঘুমিয়ে পড়েছি অথবা মারা গিয়েছি।
বোধ হয় তুমি এসেছ, নগ্ন পায়ে, আলতা জড়াতে।
আমার ভেতরে প্রবল রক্ত প্রবাহ, বুক পকেট ভরা রক্ত।
অস্বচ্ছ নদীটাও রক্তাক্ত, গাড় রক্তের ঢেউ, এই হেলে এই দুলে।
আমি স্পষ্ট রক্তাক্ত আমাকে দেখি, আর ঝাপসা তোমাকে।
কেমন আছো বলতে যাব ঠিক তখনই-
রক্ত জবার উপর দিয়ে একদল রক্ত ভেসে গেল,
ব্যাঙ্গের শুভ্র ছাঁতা লাল করে দিল এক ফোটা রক্ত।
একটা একলা রক্তাক্ত শালিক এমনিতেই উড়ে গেল।
পুঁই গাছের সেই ডালটির মৃত্যু হল ,
পড়ে গেল, রক্তময় ভেজা শব্দে।
আর বলা হলনা তুমি কেমন আছো!
অথবা, মেয়ে তোমায় আলতা কিনে দেব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।