যা ইচ্ছা হয় লিখি ক্লাসে রেসপন্স করার বান্দা আমি কোনদিন ও না। কিন্তু আমাদের রাজিন স্যার ক্লাসটারে ল্যাং মাইরা সোজা করার ফন্দি করায়, আমিও বলির পাঁঠা হইলাম।
ব্যাপার আর কিছু না, প্রত্যেকটা ইশটুডেন্ট (!) রে তিনি উপরে আই মিন নিজের কাছে ডেকে নেন, আর লটারি কইরা একটা টপিক দিয়া দেন, সেই টপিকের উপরে ১০ মিনিট কথা বলতে বলেন। না পারলে ওইখানেই দাঁড় করায়ে রাখেন। রীতিমতো নারী পুরুষ উভয় নির্যাতন।
আজ পর্যন্ত কেউ অবশ্য এই নির্যাতনের স্বীকার হয় নাই।
আমি বড় বড় নিঃশ্বাস নিয়ে সামনে মোষের মত এগোলাম, কোন প্রব্লেম নাই, কেউ খালি আমারে লাল কাপড় দেখাক, সব উড়ায়ে নিয়া চলে যাব। আফসোস, কেউ তা দেখাল না, আর আমিও যথারীতি নার্ভাস।
হ্যাঁ, আপনার ভাগ্যে পড়েছে...হ্যাঁ কন্ট্রাসেপটিভ! বলেন, ইউর টাইম স্টার্টস নাউ!
পুরা ক্লাস হো হো করে হেসে দিসে ততক্ষণে। আমি মিন মিন করে বললাম, স্যার চেঞ্জ করে দিলে হয় না?
স্যার বাঘের মত গর্জন করে উঠলেন।
কেন! কেন চেইঞ্জ করবে হামি! স্যার এর কথা শুনে মনে হল আমি নীল চাষী আর স্যার আমারে দিয়া জোড় করে নীল চাষ করাচ্ছেন।
আমিও চিন্তা করলাম, সিপাহী বিদ্রোহ শুরু করব। বললাম, স্যার আমি যদি এখন খান্ট্রাসেপ্টিভ নিয়া কথা বলি আপ্নেই বলেন, এখানকার মেয়ে গুলা লজ্জা পাবে না?
সাথে সাথে বিরোধী দলে একশান, আমরা লজ্জা পাব না, তুই শুরু কর!
আমি দাঁত খিচিয়ে কিছু বলার আগেই স্যার এর হুঙ্কার শুরু করেন!
আমি তখন মাথা চুলকাতে লাগলাম। মাথাটা বেদম চুলকায় এইসব কথা বলার টাইমে, হঠাৎ পিছন থেকে আদনানের হেল্প করার চেষ্টা, দোশ্ত শুরু কর, তোরে ক্যাডবেরী খাওয়ামু। আবার হো হো হাসি।
হঠাৎ মনে হল আরে! আমার কাছে তো মহা অস্ত্র আছেই। আমার সামনে উপবিষ্ট জনগণ। আমি বললাম, বন্ধুগন! আজ এই বিমর্ষ দিনে আসেন আমরা আলোচনা করি কন্ট্রাসেপ্টিক থুক্কু কন্ট্রাসেপ্টিভ নিয়া। বলেন কাদের বেশী দরকার এইটা।
ব্যস, বাংলার জনগণ তেতে উঠল, এ বলে এর দরকার, ও বলে ওর দরকার, মহামান্য টিচার এর সামনে হাতাহাতি লেগে যায় এই অবস্থা।
শেষমেষ স্যার নিজেই ওয়াক আউট করলেন। এবং যাওয়ার আগে প্রমিজ করলেন, যে ক্লাসে আমারেই তিনি এক্সপাঞ্জ করে দিবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।