আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিমুভ খাওয়ার আগেভাগে পড়ে ফেলেন ;পি

এই পোস্ট রিমুব হতে পারে বলে আমার ধারণা,কারণ এদের নিয়ে কিছু বললেই অদৃশ্য নেতারা এসে এগুলো রিমুভ করে দেন। কথা বলতে দেন না। এটিএন নিউজে শোলাকিয়ার প্রেসিডেন্ট(!) মাসুদ মিয়ার বয়ান শুনে পুরা বেকুব হয়ে গেলাম। এই ব্যাক্তি রোষ থেকে জান বাচানোর স্বার্থে একটা প্রসেসের ধান্দা করলো, সেটা হলো® সুন্নী-ওয়াহাবীরা একদল আরেকদলের কিতাবে লিখা বাক্যগুলো ডানদিক-বামদিক-উপর-নীচ কাটছাট করে এমনভাবে মানুষের সামনে পেশ করে,যেন তাদের বিপরীত দলের এই কিতাবগুলো "পুরাই শিরক"! এই বলদ মাসুদ আজকে কই থিকা মওদুদীপন্থীদের আক্বীদাগত ব্যাপারস্যাপার কালেকশন করে একটা ঠোঙ্গায় নিয়া উপস্থিত হইল (আমার মনে হয় এগুলাও আসিফ মহিউদ্দিনের চ্যালারা নেট থিকা সরবরাহ করে দিয়েছে,কারণ নেটেই এগুলা বেশি প্যাচ খেয়ে থাকে)। যেমন নবী করিম(সাঃ) এর ত্রুটি ছিলো কি না,আবু বকর(রাঃ) এর দায়িত্ব পালনে ত্রুটি ছিলো কি না,পীর মানা যাবে কি না ঈত্যাদি ঈত্যাদি।

মাসুদের সাথে আরেকজন হাম্বা শায়খ উপস্থিত ছিল,জার মোচ ছিলো লাম্বা আর মুখ ছিলো ক্লিন শেভড(খুপ খৈয়াল কইরা-এইসব লম্বা মোচ আর চাছা দাড়ি ওয়ালা ধার্মিক মাইনষের সম্পর্কে হাদীসে বলা আছে!) এরা ফতোয়া দিলো জামায়াতকে এমুক শায়খ কাদিয়ানীর চেয়েও ভয়ানক বলেছে,অন্য দলের হেমুক শায়খ কইছেন এরা ফিতনাহ। অতএব জামাতিদের আক্বিদা হলো কোরআন বিরুধী তাই এদের সাহায্য না করাটাই ফরজ। (ব্যাক্কলগল এইখানে আক্বিদার কথা উঠে ক্যান,এদের ব্যাখ্যা পড়স নাই প্রুভ পাইলাম)। এরপর এটাও কইলো যে এদের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাটা উচিত। কারণ হেমুক পীর সিগনেচার দিয়েছেন এই যে...!এইখানে...(ক্যামেরাতে জুম দেয়া হলো) যে এদের ব্যাঙ্কে ট্যাকা রাখা যাবেনা(আবার খৈয়াল,খুপ খৈয়াল,মাসুদ সাব এতোদিন যখন ইসলামি ব্যাঙ্কে ট্যাকা থুইত তখন বালা চিল,ইসলামি ব্যাঙ্কে ট্যাকা রাখা হারাম-এই এতোদিনে কথা জানলো ক্যামতে?®দ্রষ্টব্য।

) এখনকার সময়টা এমন যেখানে দেশের সমগ্রদল এখন দুইভাগে বিভক,এটা সবাই জানে,এর বাইরে অন্য কোণ পরিচয় কেউ দিতে পারচায়না আমরা,এটা হলো নাস্তিক আর মুসলিম। এখন সরকার যদিও শো হিসেবে বিশিষ্ট ইসলামবিদ্বেষীদের গ্রেফতারও করে,তবুও হিফাজতে ইসলাম সরে আসবেনা,কেন? প্রথমত বিএনপি আর জাতীয় পার্টির পূর্ণ সমর্থন এখানে রয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে হোক বা যা ই হোক,মানে একটা বিরাট আন্দোলন অনিবার্য,একে থামানোর চেষ্টা করা এখন সরকারের হাতের বাইরে চলে গেছে প্রায়। দ্বিতীয়ত,সরকারের দ্বিতীয় ভুল হলো আজকে হিফাজতে ইসলামকে বাধা দেবার জন্য বাস-ফেরী-লঞ্চ ঈত্যাদি বন্ধের নির্দেশ দেয়া। সে কারণে এখন আমাগো নেত্রীপার দলের পিছে নাস্তিক টাইটেল ঝোলানো হয়েছে।

ভাগ্য ভালো মুফতী আমিনী এখন নাই। যদি থাকতেন,তাইলে সারাদেশে সাথেসাথে হরতাল ডেকে সোজা বঙ্গভবনে গিয়ে উঠতেন! তৃতীয়ত,সরকারের কিছু মুরগী এসব বর্তমানে পুরা গরম মাথায় থাকা হিফাজতে ইসলামের প্লাস সাথে থাকা সাধারণ ঢাকাগামী তৈহিদীজনতাদের গাড়িতে হামলা করেছে,এর মধ্যে মাদ্রাসার ৩ জন ছাত্র নিখোজ। এগুলো ব্যাকরণ করে বোঝাতে হয়না যে এগুলো কাদের ইশারায় ঘটছে। বর্তমানে বাংলাদেরশের এই লোকগুলোকে আজকে আরও ফুসিয়ে দিয়ে সরকার নিজেদেরকে বুক পানি থেকে নাক পানিতে ডুবানোর ব্যাবস্থা করলো। এবং খুব শিঘ্রই সম্ভবত বাংলাদেশ যে কোণ একটা পজিশনে চলে যাবে,আর যে পক্ষ,টিকবে,তার বিপরীত পক্ষকে একদম নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে-বর্তমান পরিস্থিতি তা ই বলে।

আর সরকার এমন একটা জায়গাতে এখন আটকা,যেখানে পিছানোর একটা উপায় ছিলো,সেটা হলো আজকে হিফাজতে ইসলামীকে কোনরকম ঝামেলায় না ফেলা,বরং তাদের সাথে সাথে অন্তত একটু হলেও যদি তাল মিলিয়ে বলতো যে নাস্তিক পাস্তিকদের উপযুক্ত বিচার হবে,হয়তো ইমেজের বারোটা না বেজে এগারোটা বাজতো। এখন বাকি তেরোটা বাজতে। এখন ইসলামী চত্বর এসে গেছে, বিরিয়ানীর লোভহীন জনতা উপস্থিত হয়ে গেছে,সরকারের আরেকটা বাশমূলক কাজ হলো আগামীকাল সকাল দশটার মধ্যে হিফাজতে ইসলামিকে সরে যেতে বলা হয়েছে,অথচ হিফাজতে ইসলাম বিবৃতি দিয়েছে যে তারা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করবে,এবং এখানে নামাজ আদায় করবে,এবং তাদের আন্দোলন শুধুমাত্রই নাস্তিকগুলোর বিচারের দাবীতে,যারা আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী করিম(সাঃ) নিয়ে বিদ্বেষমূলক কথা বলে বেড়ায় তাদের বিরুদ্ধে। বেশি খাইজ্জাইলে পড়ে ছুইলা যায়,সরকার বরাবরই এটা ভুলে গেছে। এবং যাচ্ছে,সময় এখন তাদের গন্তব্যের টিকিট দেবে,ওয়েট...ওয়েট... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.