আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলিফ্যান্ট রোড

জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত। নির্জনতাই বেশী পছন্দ, নিজের ভেতরে ডুবে থাকতেই ভাল লাগে। কিছুটা নার্সিসিস্টও। ঢাকায় নিউ এলিফ্যান্ট রোড নামটি এক নামেই পরিচিত। ছেলে-বুড়ো সবাই এটিকে চেনে যেটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে সাইন্সল্যাবএর পাশে মিরপুর রোডকে ছুঁয়েছে।

অনেক বছর আগেই স্বাধীনতার আগেই এই রাস্তাটির নাম বিজ্ঞানী ডঃ কুদরত-ই-খুদার স্মরণে নামকরন করা হয়েছিলো। কিন্তু নামকরনই সার সবাই এখনও এটিকে সেই পুরোনো নাম নিউ এলিফ্যান্ট রোড নামেই চেনে। নিউ এলিফ্যান্ট রোড সবাই চেনে। কিন্তু মূল এলিফ্যান্ট রোড কোনটা অনেকেই জানেন না। পিলখানা থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেটের পিছন দিয়ে এসে মিরপুর রোড ক্রস করে গাউসিয়া মার্কেটের পাশ দিয়ে বাটার মোড়, পরিবাগ, রমনা থানা, ওয়্যারলেস হয়ে মগবাজারের মধুবাগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তাটিই মূলএলিফ্যান্ট রোড।

বৃটিশ আমলের পূর্ব থেকেই এই পিলখানায় হাতি পোষা হতো, বাংলার তৎকালীন শাষকদের দ্বারা। পরবর্তিতে নবাবদের হাতিও এই পথেই চলাচল করতো। তাই এই রাস্তার নাম এলিফ্যান্ট রোড। মিরপুর রোড, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, সোনারগাও রোড, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ (ময়মনসিংহ রোড), আউটার সার্কুলার রোড এটিকে কয়েকটি টুকরায় পরিনত করেছে। পিলখানা থেকে মোগল সম্রাটরা বর্তমান হাতিরপুল এলাকা দিয়ে হাতি চলাচলের জন্য ইস্টার্ন প্লাজা ও পরিবাগের মাঝামাঝি একটি পাকা পুল নির্মাণ করেন হাতি পারাপারের জন্য, সেটাই পরবর্তীতে হাতিরপুল নামে পরিচিত হয়।

এই হাতি চলাচলের শেষ প্রান্তেই মধুবাগ যেখানে ইদানিংকার বিখ্যাত হাতিরঝিল অবস্থিত। রাজউকের উচ্চাভিলাসী বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রজেক্ট এর নাম এখন সবারই জানা। সেই হাতিরঝিল নামকরনও এই হাতি থেকেই। হাতিগুলিকে গোসল করানোর জন্যই এখানে আনা হতো সেই পিলখানা থেকে। বর্তমান রমনা এলাকা হাতিরপালের চারনভূমি ছিলো।

সেই পিলখানা থেকে শুরু করে মগবাজারের মধুবাগ পর্যন্ত্য এলাকা আজ হতে ২০০ বছর আগে শহরের বাইরের অনেক দুরবর্তী অঞ্চল। পুরোটাই ছিলো জঙ্গলাকির্ন এবং ঝিল ও বিলের সমাহার। বি:দ্র: শুরুতে এই পোস্টের কন্টেন্ট এ কিছুই ছিলোনা। কমেন্টগুলিই এই পোস্টের সবকিছু। আর কমেন্টগুলিকে একসাথে করেই পরে পোস্টটি এডিট করে দিয়েছি।

তাই কমেন্টগুলি অবশ্যই পড়বেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।