আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেপাল ভ্রমন (দশমপর্ব)

সবার আগে দেশপ্রেম হোটেলটা ছিমছাম। পুরো দোতলার কমন রুমটাতে আমি একাই আছি, আমার দোভাষীর কাজ করতো যে লোকটা খুব সকালেই সে চলে গেছে। দুই পাশের ডাবল বেডের রুমগুলো খালী। শেষ মাথায় একটা রুমে দেখলাম দুজন কপত কপতী, হয়তবা স্বামী স্ত্রী সেরকমই মনে হলো। খুব ভোরে ভোরেই এভারেস্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।

হেটে হেটে লোকজনদের জিজ্ঞেস করতে করতে চলে গেলাম পোখারা থেকে এভারেস্টে যাওয়ার বাসস্টান্ডে। খোজ করে কোন গাড়ী পেলামনা অবশেষে পেলেও তা এত ভোরে ছাড়বে না। অবশেষে একটা ছোট হোটেলে নাস্তা করে ফিরে এলাম। হোটেলে ফিরতেই স্বরসতির মা জানতে চাইলো কোথায় গিয়েছিলাম। কথা ভাল বুঝিও না বুঝাতেও পারিনা।

তারপরও বললাম, এভারেস্টে যাবার জন্য বাসস্টান্ড গিয়েছি। বাস নেই। সে নাস্তা করবো কিনা জানতে চাইলো। বললাম, নাস্তা করে এসেছি। ডলার ভাঙ্গাতে ব্যাংকে যেতে হবে ব্যাংক কোথায় আছে জানতে চাইলাম।

তিনি বলতে পারলেন না। তার বড় মেয়ে এসে বলল, ফিউয়া লেকের কাছে একটা ব্যাংক আছে। আমি তৎক্ষনাত কিছু ডলার নিয়ে লোকেশন যেনে বেড়িয়ে পড়লাম। রাস্তায় বেরিয়েই একটা লোকাল মাইক্রোবাসে পোখাড়ার ছোট বিমান বন্দরের পাশ দিয়ে ফিউয়া লেকের পাড়ে চলে গেলাম। চারদিকে দিকে হিমালয় পর্বত মাঝ খানে আমি আর ফিউয়া লেক।

একটা চমৎকার পর্যটন এলাকা। আমি এখানে ওখানে আনন্দে একা একা ঘুরে বেড়ালাম। হঠাৎ মনে হলো আমারতো ডলার ভাঙ্গানো প্রয়োজন। হাতে স্থানীয় কোন টাকা নেই। খুজে খুজে স্টান্ডার্ড চাটার্ট ব্যাংকের শাখা পেলাম।

ব্যাংকে আমার পাসপোর্টের ফটোকপি রেখে ভ্যাট রেখে ডলার ভাঙ্গিয়ে দিল। ব্যাংক থেকে বের হয়ে হিমালয়ের একটা পাহাড়ের উপর হেটে হেটে উঠতে লাগলাম। (চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।