আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সীসা লাউন্জে রবি ঠাকুরের এক মায়াবী সন্ধ্যা.......(সায়েন্স ফিকশন)

অধিক কথা নাস্তি! আগের পর্ব- পিজা হাটে রবি ঠাকুরের একবেলা......পিজা হাটের রমজান ফ্যান্টাসি (মিনি সায়েন্স ফিকশন) আগের পর্বে কহিয়াছিলাম রবিঠাকুর কেমনে পাইয়াছিলেন সময় বশীকরণ তাবিজ। পিজা হাটে দৌড়ানি খাইবার দেড় বৎসর গত হইবার পর, তাঁর আরেকবার ঢাকায় আগমনের খায়েশ জাগিল। তাবিজে হাত দিয়া উনি শীতের সন্ধ্যায় ঢাকা নগরীর রুপসুধা দেখিবার ইচ্ছা পোষণ করিলেন। এইবার তিনি পৌছাইলেন ধানমন্ডির হ্রদের এক তীরে। একখানি পাক্কা পুল পাড় হইবার সময় তিনি শুনিলেন কতিপয় কপোত কপোতী শিট শিট করিতেছে আর উষ্ঠা খাইয়া পড়িবার উপক্রম করিতেছে বারবার।

হিম পড়িয়াছে তিনি সেইটা বুঝিতে পারিতেছেন, কিন্তু শরীরে এতগুলান হালফ্যাশনের বস্তা পড়িয়া শীত কেমনে লাগে তিনি বুঝিতে পারিলেন না। গাঁজা টানিয়া নেশা করিয়াছে নাকি? মরুকগে। এক আলোকজ্জল ভবনের নীচে দাঁড়াইয়া টং দোকানের চা খাইতে মনস্হ করিলেন। আচমকা এক চ্যাংরা তাঁকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিয়া বসিল- হেই ডুড, কয় টান দিয়াছ? এই চা খাইয়া কিছু হয়না, বেটা এখন জিনিষ কম মিশায়, উপরে হলি অস্টিনে ফ্রি টান দিতে দিচ্ছে দশ মিনিট করে, টানিয়া আস। বলিয়া একটা কালো গাড়িতে চড়িয়া আজ নাচালে শুনিতে শুনিতে চ্যাংড়া প্রস্হান করিল।

কি আজব; চ্যাংড়া ভাগিতে না ভাগিতে রবি ঠাকুরের মাথাটা কিঞ্চিৎ ঘুরপাক খাইয়া উঠিল। কাহিনী বুঝিতে তিনি উপরের হলি অস্টিনে ঢুকিলেন। ঢুকিয়া ধোয়ায় আচ্ছন্ন, আলো আধাঁরের মাঝে এক মেয়ের পায়ে পা বাধিয়া উষ্ঠা খাইলেন। উঠিয়া দেখেন মেয়ের মুখ নাই খাইছে, হরর ফিলিম নাকি? এরই মধ্যে এক চাপরাসীর মতন পোশাক পরা বালক ছুটিয়া আসিল, সালাম ঠুকিয়া বলিল, স্যার কি ফ্লেভার দিব? স্হানকাল ভুলিয়া রবি ঠাকুর ধমকায়া উঠিলেন, ওরে আহাম্মক আমি বিলাতরে কি পুছি তুই যে আমারে স্যার ডাকিলি? তর ফ্লেভারের খ্যাঁতা পুরি। বালক বুঝিল মহাশয়ের মতি সুবিধার না, তরিৎ তাঁকে বলিয়া বসিল, হুজুর গোসতাকি মাফ হয়, কি গন্ধের দিব, আপেল? কলা? নাকি পেঁপে? রবি ঠাকুর কিঞ্চিৎ ঠান্ডা হইলেন, বলিলেন, আমি বয়স্ক মানুষ এর মধ্যে বিবাহিত, আমি কলা দিয়া কি করিব? আমায় গোটা কয়েক আপেল দাও।

ব্যাস, এক উদ্ভিন্ন যৌবনা বালিকা আর তাহার সঙ্গীর পাশে তাঁহাকে আপেল ফ্লেভারের সীসা সহিত বসাইয়া দেয়া হইল তিন চারটা টান দেয়া মাত্র চোখের সামনে হুরমতি, রাজরাণী, কুলসুম সব ভাসিতে লাগিল। কবিতা আসা শুরু হইল, সন্ধার এই বেগুনী আলো তোমায় দেখিতে মনে হইল হিটলার ছিলেন আমার আগের নটি আমেরিকার বাঁশ খাওয়া নায়ক। পাশের ছেমড়ি নেশায় আরো বুদ। সে নটি আমেরিকা শুনিয়া তার বয়ফ্রেন্ড কে বলিয়া বসিল, ওরে আমার হাঁদা। তুমি তাহলে আমাকে ফাঁকি দিয়া মিস নুটির সাথে আমেরিকায় পালাইতেছ।

আইজ্জা খাইছি তরে, বলিয়া বিপুল বিক্রমে ছেমড়ার গালে এক থ্থাপড় মারিয়া বসিল। ছেমড়া আরো নেশায় আক্রান্ত তখন, সে বলিল কিসের নুটি? আমি আজ এই টেবিলে এই বুইড়া চাচারে সাক্ষী রাইখা তরে চটকনা দিমু। চোখের পলকে সারা সীসা লাউন্জে সীসা ফাইট শুরু হইয়া গেল। এক পর্যায়ে স্হানীয় বালকদের নেতা আসিল। সে আসিয়া সকলের মতামত শুনিয়া বলিল, শুনি, নটি আমেরিকার ডিভিডি কার কাছে? দেখা গেল রবি ঠাকুর ছাড়া সবাই চুপ, আর উনি কবিতা জপিতেছেন- ঘন ঘোর হইলদা চুলের ধলা বালিকা তুমি কি কোষা নৌকায় ছই লাগাইয়া যাইতেছ আহ-মারে-ক্যা? ব্যাস সবাই রবি ঠাকুরকে গণধোলাই দেয়া শুরু করিল।

মর্মান্তিক। মর্মান্তিক। আধঘন্টা পর তাবিজ হাতে, ছেঁড়াখোড়া কাপড় পরিহিত, ঢাকা ত্যাগে উদ্যত কবি কহিলেন, সীসার মায়েরে বাপ, আমার হুক্কাই খাপে খাপ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।