আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইফোন বনাম স্যামসাং গ্যালাক্সি...

আইফোন ব্যবহার করতে করতে একটা পর্যায়ে মনে হল আইফোন ছাড়া আর কোন ফোন আর আমার প্রয়োজন নাই। কারন অন্য ফোন আর ভাল লাগবে না এবং ব্যবহার করে মজা পাবো না। তো চারদিকে স্যামসাং গ্যালাক্সি'র নাম শুনে ভাবলাম আইফোন তো ব্যবহার করেছি এবার গ্যালাক্সিটা ব্যবহার করে দেখি। তো ফ্রেন্ডের সাথে ইন্টারচেঞ্জ করে নিলাম। গ্যালাক্সি আর আইফোন নিয়ে যে সুবিধা আর অসুবিধাগুলো ফেস করলাম তা নিম্নরুপঃ ১।

আমার আইফোন আর ভার্সন ছিল ৪.২ । মডেল ৩জিএস এবং ৩২ জিবি। তাই ইনবিল্ট ব্রাউজার সাফারি এবং অপেরাতে যে কোন বাংলা লিখা পড়তে কোন সমস্যাই ছিল না। পরিস্কার,ঝকঝকে। কিন্তু স্যামসাং গ্যালাক্সি এস এ বাংলা মেইল,ওয়েব সাইটি ইত্যাদি কিছুতেই পড়তে পারিনি।

২। আইফোনের চেয়ে গ্যালাক্সি এস আর মনিটর ০.৫ ইঞ্চি বড় অর্থাৎ আইফোন ৩.৫ এবং গ্যালাক্সি এস এর মনিটর ৪ ইঞ্চি। অন্যদিকে গ্যালাক্সি এস২ এর মনিটর ৪.৫ ইঞ্চি এবং গ্যালাক্সি নোট ৫.৩ ইঞ্চি। ৩। আইফোনে কোন কল আসলে মিউট,রিজেক্ট করা যায়।

অন্য কিছু করতে হলে কোন সফটওয়ার ইন্সটল করা লাগে। গ্যালাক্সি এস এ ইনবিল্ট অনেক সুবিধা দেয়া আছে। যেমন কল রিজেক্ট করা, কল আসার সাথে সাথে নিজের মত করে যে কোন ধরনের টেক্সট মেসেজ দেয়া যায়। যে কোন কল ব্লক করে দেয়া বা সাইলেন্ট করে দেয়া যায়। ৪।

আইফোনের ফোনবুক থেকে একের অধিক কন্ট্যাক্ট একসাথে ডিলিট করা যায় না। গ্যালাক্সিতে তা একেবারে সোজা। ৫। সফটওয়ার ছাড়া আইফোনকে পেনড্রাইভ হিসাবে ব্যবহার করা যায় না, কিন্তু গ্যালাক্সি এস কে পেনড্রাইভ হিসাবে ইউজ করা যায়। ৬।

গ্যালাক্সি এস এর ইনবিল্ট মেমরি ৪ বা ৮ বা ১৬ জিবি এবং আরো ১৬ জিবি মাইক্রো এসডি ব্যবহার করা যায়। আইফোন ৩জিএস আর ইনবিল্ট মেমরি ৮ বা ১৬ বা ৩২ জিবি হয়ে থাকে এবং এক্সটারনাল মেমরি'র সুবিধা নাই। ৭। আমার আইফোনে এপ্লিকেশন (গেইমসহ)ডাউনলোড এবং ইন্সটল করা ছিল সর্বমোট ২৩০ টি যার মেমরি ছিল ১০ জিবি। তাছাড়া গান,ভিডিও দিয়ে সর্বমোট ২৭ জিবি মেমরি ভর্তি ছিল কিন্তু আইফোন কখনো স্লো মনে হয়নি।

গ্যালাক্সি এস বা এস২ বা স্যামসাং নোট বা পৃথিবীর আর কোন ফোনে ১০ জিবি পরিমান এপ্লিকেশন ইন্সটল করলে সেই ফোন আর ব্যবহার করা যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। ব্যবহার করা গেলেও তা জন্মের মত স্লো হয়ে যাবে বলে আমার ধারনা। কেউ ব্যবহার করে থাকলে জানাবেন। তাহলে ফোনের পার্থক্য বুঝতে পারবো আমরা। ৮।

গ্যালাক্সি এস অ্যাঁন্ড্রয়েড অপারেটিং হওয়াতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করতে বেশ সুবিধাজনক মনে হয়। আইফোন নিয়ে এ ব্যাপারে আমার আইডিয়া খুব কম। ৯। আইফোনের বিভিন্ন এপ্লিকেশন চালু করতে যে স্পীড পাওয়া যায় তাতে আমার মনে হয়েছে আইফোনের ৬০০ মেগাহার্টজ স্পীড আর অন্যফোনের ১.৬ গিগাহার্টজ স্পীড সমান সমান। ১০।

গ্যালাক্সি এস এ বাংলা পড়তে না পারা টা আমার কাছে সবচেয়ে বড় অসুবিধা মনে হয়েছে। অপেরা মিনিতে বাংলা পড়া যায় এটা ঠিক কিন্তু আইফোনে বাংলা মেইল পড়া, ফেইসবুক এ বাংলা কমেন্টস বা আর্টিকেল পড়ার মজাই আলাদা। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন। কোথা কোন ভুল হলে আপনারা আমাকে শুধরে দেবেন।

ভাল থাকবেন সবাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.