আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিস্তা-চুক্তি হলে বাংলাদেশ নয় লাভ হবে পশ্চিমবঙ্গের-ভারতেরঃ মতামত মনমোহন সিং এর

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি কঠোর সমালোচনা করেছেন জিটিএ-বিল নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকারও। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নানা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সাম্প্রতিক বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে এবার আসরে নামছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ছবিঃ মনমোহন ও মমতা মমতার যুক্তি, নয়াদিল্লীর অনাগ্রহের জন্যই এই চুক্তি রূপায়ণে দেরি হচ্ছে। একই ভাবে ফারাক্কার পানির ক্ষেত্রে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ কী ভাবে বঞ্চিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ অনেক বেশি পানি পেয়েছে, তা-ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তিনি।

তিস্তা-চুক্তি এবং ছিটমহল হস্তান্তরের বিষয় নিয়েও মমতার সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর দূত হিসেবে পররাস্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনিও মমতাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে অনুরোধ করেছেন। ফারাক্কার পানি নিয়ে মমতা যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, সেই যুক্তি ঠিক বলেই মানছে কেন্দ্র তথা দিল্লী সরকার। জাহাজ মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি’ আগেই কেন্দ্রকে জানিয়েছিল।

কিন্তু পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নড়াচড়াই করেনি। দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের এই অভাবে বাংলাদেশ যে বেশি পানি পেয়েছে শুধু তা নয়, কলকাতা বন্দরও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এখন গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে মমতার সঙ্গে আলোচনা করে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছেন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ফারাক্কায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। তারা ফিরে এসে রিপোর্ট দেবে।

তিস্তা চুক্তির বিষয়টি নিয়েও মমতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে পারেন। কেন্দ্রের যুক্তি হল, তিস্তা-চুক্তি না হলেও বাংলাদেশ কিন্তু তিস্তার পানি পাচ্ছে। নদীতে পানি থাকলেই বাংলাদেশ পানি পাবে। বরং ঠিকমতো চুক্তি রূপায়ণ হলেই কে কত পানি পাবে, তা ঠিক হবে। যাতে আখেরে লাভ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গেরই ।

ছবিঃ তিস্তা নদী সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।