আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগস্ত্য যাত্রা

ইনডিয়া যাবো। বিদেশ যবো ভাবলে মনে যেমন পুলক যাগে, ইনডিয়া যাওয়ার চিন্তা এলে তেমন যাগে না। উলটো গা ঘেমে যায়। ঘাম দিয়ে আসে জ্বর। ভাবতে গিয়েই এই হয়রানি।

যাইতে গেলে কি অবস্থা হয়, বোঝেন! ২০০৪ সালের কথা। ভার্সিটিতে পড়ি। নতুন পাসপোর্ট করেছি। কোথাও যেতে হয় এবার। সবচেয়ে কাছের দেশ ইনডিয়া।

খরচ নিশ্চয়ই কম হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করি। আয়-রোজগার খারাপ না। সামনে ঈদ। একটা বোনাসও পাবো বলে আশা করছি।

তাই ওই বছরের ঈদের ছুটিটাকেই জীবনের প্রথম বিদেশ যাত্রার জন্য টারগেট করি। সঙ্গীও পেয়ে যাই দুএকজন। খবর নিয়ে জানলাম, ভিসা পেতে হলে অ্যাম্বাসির সামনে গিয়ে লাইন ধরতে হবে। সকাল নয়টায় গেট ওপেন। লাইনের একদম প্রথমে থাকা সুনির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ শুধু ভেতরে ঢোকার অনুমতি পাবে।

তারপর ভেতরে কি হয়, সেটা কেউ জানেনা। তখন অবশ্য আরেকটা নিয়ম ছিলো। ট্রাভেল এজেন্সিকে কিছু টাকা দিলে তারাও ভিসা করে দিতে পারতো। কিন্তু দুই টাকার সাংবাদিক। বিদেশ যাওয়ার খরচ জোগাতেই হিমশিম।

এজেন্সির ফি দেয়ার পয়সা পাবো কই! তাই সঙ্গীসাথি সহ রাত বারোটায় গিয়ে হাজির হলাম গুলশানের হাইকমিশন সংলগ্ন রাস্তায়। গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ! এরই মধ্যে সেখানে চার পাঁচশো মানুষ লাইনে দাড়িয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের পজিশন নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত। একটু পরপর আবার ইট রাখা। খবর নিয়ে জানলাম পয়সা খরচ করতে পারলে ওই ইটের পজিশনের মালিক হওয়া সম্ভব।

জানলাম এবং দীর্ঘনিশ্বাস লুকিয়ে লাইনের একেবারে শেষে গিয়ে দাঁড়ালাম। ভোর ৫টার দিকে নামলো তুমুল বৃষ্টি। সবাই ভেঙেচুরে দৌড় লাগালো পাশের একটা আন্ডার-কনস্ট্রাকটেড বিল্ডিংয়ের দিকে। আমরা তখনো লাইন ছাড়িনি অবশ্য। ভিজছি আর ভাবছি, এতো কষ্টে পা্ওয়া এই পজিশন ছেড়ে যাব কিনা।

যাইহোক, শেষপর্যন্ত ছাড়িনি পজিশন। সকাল সাতটার দিকে বৃষ্টি থামলো। তারপরই চরম বিশৃঙ্খলা। কে কোথায় দাঁড়াবে এই নিয়ে অবস্থা একেবারে চরমে। একটু পরেই সেখানে হাজির একগাড়ি পুলিশ।

কোথা থেকে খবর পায় এরা, আল্লাই মালুম! গাড়ি থেকে নেমেই প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে একদফা লাঠিচার্জ। আমার পাছাতেও পড়লো মনে হয় দু-এক ঘা। হায়রে! সারা জীবন ঢাকা ইউনিভার্সিটির মারামারি-কাটাকাটির মইধ্যে কাটাইয়া, শেষকালে আইসা কিনা ভার্জিনিটি হারাইলাম এই ইনডিয়ান অ্যাম্বেসির সামনে! তারপরের ঘটনা অতি সংক্ষিপ্ত। পুলিশের যাদুকাঠিতে ভোজবাজির মতো ঠিক হয়ে গেলও লাইন। আমাদের জায়গা হলো সকালবেলা নতুন করে যোগ দেয়া আরো কয়েকশো মানুষের পেছনে।

বেলা একটার দিকে আমাদের সামনে কয়েকশো মানুষ থাকতেই মুখের ওপর লাগিয়ে দেয়া হলো গেট। 'আজ আর হবে না। কাল আসেন। ' সেবার আর ঈদের ছুটি কাটাতে ইনডিয়া যা্ওয়া হয়নি। সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে আর পুলিশের মৃদু প্রহারের শিকার হয়ে হলে ফিরে জ্বর বাধিয়ে ফেলেছিলাম।

তারপর আর অনেকদিন ইনডিয়া যাবার নাম করি নাই। এমনকি, ইউরোপ-মিডলঈস্ট ঘুইরা আইছি, মাগার ইনডিয়া যাই নাই। পরে অবশ্য নানা অছিলায় বার তিনেক যেতে হয়েছে। ততোদিনে অবশ্য সিস্টেম ধরে ফেলেছি। পকেটে টাকা থাকুক আর না থাকুক, ইনডিয়া যেতে হলে সবসময় এজেন্সির জন্য কিছু বরাদ্দ রাখি।

আজকাল অবশ্য আর ইনডিয়া যেতে রাতভর অ্যাম্বেসির সামনে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খা্ওয়া লাগে না। সিস্টেম একটু উন্নত হইছে। বাসায় কম্পিউটারের সামনে বসে কয়েকটা রাত পার করলেই চলে। তবে এন্টিবায়োটিকের সাইড ইফেক্ট হিসেবে এজেন্সি প্রথা রহিত করা হয়েছে। ভালো জিনিসগুলো এভাবেই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দিনদিন।

এবার আবার ইনডিয়া যাচ্ছি। মানে যেতে হচ্ছে আরকি। এতো বছর পর, এখনো ইন্ডিয়া যা্ওয়ার চিন্তা করলে, আজো জ্বর আসে ঘাম দিয়ে। কদিন আগে, আমার দুই বন্ধুর ইনডিয়া যা্ওয়া লাগবে। দিল্লীতে খুব জরুরী কি একটা মিটিং।

এক মাস আগে তারা ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টরে চেষ্টা শুরু করেছে। বহু রাত ও দিন অনলাইনে মাথা খুঁড়ে পাওয়া যায়নি যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট, সেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট পরে পাওয়া গেলো সামান্য বুদ্ধিবৃত্তিক চেষ্টাতেই। শুধু কষ্ট করতে একটা দালাল ধরতে হলো। তাকে কিছু নগদ-নারায়ণ দিতে হলো। তারপরই কেল্লা ফতে।

শুধু একটাই ঝামেলা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া গেছে দিল্লীতে যেদিন মিটিং তার ঠিক দুদিন আগে। পরে অবশ্য তারা যথাসময়ে যোগ দিতে পেরেছিলো মিটিং এ। সে আরেক কাহিনী....লিখতে গেলে উপন্যাস হয়ে যাবে। বন্ধুর অবস্থা দেখে আমি এবার অনেক সাবধান। সম্ভ্যাব্য যাত্রার দেড়মাস আগে মাঠে নেমে পড়েছি।

মনে পড়ে গেলো, আমেরিকান অ্যাম্বেসিতে ভিসার জন্য একবার দাঁড়াতে হয়েছিলো। সেবারও দেড়মাস আগে মাঠে নামি নি। আমেরকিনরাও অবশ্য মুখ রেখেছিলো তাদের। তারা যখন আমাকে ভিসা দিয়েছিলো, তার অনেক আগে ঘটনা ঘটে গেছে। যাইহোক, অফিসে সাপ্তাহিক নাইট শিফট চলছে।

এই মওকায় ভাবলাম আমার আর আমার বউয়ের অ্যাপয়েণ্টমেন্টটা নিয়ে ফেলি। আলাদা করে রাত জাগতে হলো না আরকি। কিন্তু কোথায় কি? দুইটি মহার্ঘ্য নাইট শিফট শেষ হয়ে গেলো কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইনা। পায় কে তাহলে? তৃতীয় দিন দুপুরবেলা হাল ছেড়ে দিয়ে কি মনে করে যেনো শেষবারের মতো একটা চেষ্টা চালালাম। ইউরেকা! ইউরেকা!! মনে হলো আনন্দে ন্যাংটো হয়ে রাস্তায় নেমে পড়ি।

একটাই ডেট আছে। আবার ঢং করে লিখেছে 'সিলেক্ট ডেট'। যেনো অনেক অপশন আমার সামনে! ডেট এসেছে ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১২। চোখ বন্ধ করে সিলেক্ট বাটনে ক্লিক করলাম। ১৬ তারিখ অ্যাম্বাসিতে হাজিরা।

১৫ তারিখ রাত থেকেই বাসায় সাজ সাজ রব। কাগজ পত্র সব ঠিকঠাক আছে কিনা, সকালে যথাসময়ে অ্যাম্বাসিতে পৌঁছাতে হলে তাড়াতাড়ি রওনা দিতে হবে তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাও, ইত্যকার নানা হাঁকডাকে পাড়া-অস্থির। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বউ শাড়ি পড়ছে। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো, বউ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতে হলে শাড়ি পড়ে। তাতে নাকি তাকে একটু ভারিক্কি লাগে।

আজও ভারিক্কি লাগা চাই। এইটা আবার তার লাকি শাড়ী। ইনডিয়ান অ্যাম্বেসির সাক্ষাতকার বলে কথা! সাড়ে এগারোটায় অ্যাপয়ন্টমেন্ট। পৌঁছেছি সোয়া এগারোটায়। গিয়ে দেখি লম্বা লাইন।

আমার মেজাজ ফুরফুরে। এসব লাইন-টাইন আমার বেলায় খাটবে না। আয়্যাম জাস্ট অন টাইম। দেখলাম আমার দিকে হাবাগোবা চেহারার এক লোক এগিয়ে আসছে। হাবভাব দেখে দালাল মনে হলো।

আসুক। আমি কি দালালদের গোনার মধ্যে ধরি! পাত্তা না দেয়ার একটা ভঙ্গি করে বললাম: কি চাই? দালাল: স্যার লাইন দেখছেন কি লম্বা! অনেক সময় লাগবো পার হইতে। আপনি চাইলে আগে ঢুকানোর ব্যবস্থা করতে পারি। আমি: আমার তো অ্যাপয়ন্টেমেন্টে টাইম লেখা সাড়ে এগারোটা। আমি তো যথাসময়ে এসেছি।

দালাল: ওইসব টাইম-ফাইমের কোনো বেইল নাই এইখানে। আমার বিশ্বাসের ভিতটা যেনো একটু নড়ে গেলো। দালালকে ঠেলে লাইনের লেজ পেরিয়ে সামনের দিকে এগোলাম, যেখানে রাস্তার মধ্যে বাঁশবেড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশ এবং গার্ড সাহেবরা। এক কনস্টেবল স্যারকে (অ্যাম্বেসির ডিউটি পাইলে 'গ্রুপ ফোর এসে'র ভাড়াটে সৈনিকেরা পর্যন্ত স্যার বনে যান) জিজ্ঞেস করলাম: আমারতো টাইম এখন। ভেতরে যেতে দিন।

কনস্টেবল স্যার এমনভাবে আমার দিকে তাকালেন, যেনো সুন্দরবন থেকে ঢাকায় বেড়াতে আসা কোনো বান্দর দেখছেন। বললেন: এক্বেবারে লাইনের পেছনে গিয়া খাড়ান। অ্যাপয়েন্টমেন্ট যখন আছে, আজকে আপনি ঢোকার সুযোগ পাইবেন। লাইনের লেজের দিকে ফিরে যেতে যেতে মাথার দিকে থাকা কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, এদের কারো অ্যাপয়েন্টমেন্ট একটায়, কারোবা তারও পরে। দালাল ব্যাটার সাথে খারাপ ব্যাবহার করার জন্য নিজেকের ভাগ্যকে অভিশাপ দিতে ইচ্ছে হলো।

এমন সময়ে মরুর বুকে এক পশলা বৃষ্টরি মতো আমার বউ খবর আনলো, এখানে লেডিসদের জন্য আলাদা লাইন। সাথে সোয়ামী থাকলে সেও বউয়ের ল্যাজ ধরতে পারে। যাক, মনে হইলো বউয়ের লাকি শাড়ির কোনা কাইটা মাথায় পট্টি বান্ধি। বউয়ের কল্যানে বাইরের লাইনে দাঁড়াতে হলো না বটে! কিন্তু ভাই, ভেতরে ঢুকে মনে হলো, লাইনের দেখছেন কি, এ তো কেবল শুরু! তিন রকমের ওয়েটিং রুমে বসে, দু দফা সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে এবং আরো তিন দফা লাইনে দাঁড়িয়ে এক পর্যায়ে পৌঁছলাম ভিসা অফিসারের ডেস্কে। প্রথমে আমার বউয়ের ফর্মটা জমা নিলো।

বলা বাহুল্য, তার ফর্মটা আমিই ফিলআপ করেছি। সব ঠিক আছে। চারশো টাকা জমা দিয়ে একটা ডেট পেয়ে গেলো সে ভিসা-সহ পাসপোর্ট ফেরত পাবার। ভেজাল বাধলো এসে আমার বেলায়। অফিসার ভদ্রমহিলা বেশ মনোযোগের সাথে আমার ফর্ম পর্যবেক্ষণ করে বললেন: আপনার ফরম জমা হবে না।

বললাম: আমার অপরাধ? অফিসার: আপনি আপনার বাবার নাম ভুল লিখেছেন। আমি: মানে? (এখানে আকাশ থেকে পড়ার ইমো হবে) অফিসার: আপনার পাসপোর্টে আপনার বাবার নামের আগে 'মো:' আছে। আপনি ফর্মে 'মো:' লেখেন নাই। আমি: ইনডিয়া তো আমি যাব। আমার বাপ তো যাবে না।

সামান্য এই অপরাধ মাপ করে দেন। অফিসার: (শক্ত মুখ করে) আপনার ফর্ম জমা নেয়া হবে না। আপনি আবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ফর্ম ঠিকভাবে ফিলাপ করে পরে আসুন। আবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট! গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছ। দু-তিনটা ঢোক গিলে ইতি-উতি চাইলাম।

অফিসার ভদ্রমহিলার মাথার উপর অনেকগুলো নোটিশ সাঁটা। একটাতে লেখা,'ঘুষ দেবেন না। এখানে আপনার কাছে কেউ ঘুষ চাইলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন.....ইত্যাদি'। শেষ চেষ্টা হিসেবে বউ একবার বললো: তাহলে আমার ফর্মটা্ও ফিরিয়ে দিন। অফিসার: 'আপনার ফরম ফেরত দেয়া যাবে না।

' এবারো মুখ যথারীতি শক্ত। এদের মনে হয় মুখ শক্ত করার জন্য আলাদা ট্রেনিং দেয়া হয়। বউয়ের হাত ধরে বললাম, চলো। এখনো অনেক সময় আছে। আরেকবার আসা যাবে।

বেরিয়ে আসার সময় বউ বললো, তুমি না বলছিলে তোমার বন্ধু সিস্টেমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইছে। চলো, তোমাকে আর রাত জেগে কষ্ট করতে হবে না। আমরাও সিস্টেম করি। ' বাইরে এক বুড়াকে পেলাম। কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বললো: অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে নাকি স্যার?' আমি: কবের ডেট দিতে পারবেন? বুড়া: এক সপ্তাহ পরের ডেট পাইবেন।

তবে আপনের সুবিধামতো ডেট দেয়া যাইবো। আমি: কতো: বুড়া: ৫শ আমি: এটাতো আমি বিনা পয়সায় বাসায় গিয়ে পেতে পারি। বুড়া: তাইলে বাসায় গিয়া নেন গা! আমি: আচ্ছা চাচা, আমিতো অনেক চেষ্টা করেও সুবিধামতো ডেট পাই না। একটা ডেট পাইতেই কয়েকদিন লাগে। আপনি ক্যামনে পান? বুড়া: আমাদের ব্যবস্থা আছে।

লাগলে কাগজপত্র দ্যান। নইলে আমার টাইম নষ্ট কইরেন না। আমি আর সময় নষ্ট করলাম না বুড়া মিয়ার। বউকে নিয়ে বেরিয়ে আসতে আসতে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর একটা বিখ্যাত বাণী মনে পড়ে গেলো। বিদেশীদের একটা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে পিনাক বাবু বলেছিলনে: 'ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে যারা থাকে, তারা সব টাউট, জোচ্চর আর ঠগ।

' পিনাকবাবু, টাউটবাজী, জোচ্চুরী আর ঠগবাজীর রাস্তা তাদের কে দেখায়, একটু বলবেন কি? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.