আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ

বাংলাদেশে সাংবাদিক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে বিভক্তিই কথা সবাই জানে। এ বিভক্তিই সাংবাদিকদের পেশাগত ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করছে। গত ৬ বছর সাংবাদিকতা করতে যেয়ে এ বিভক্তি আমাকে অনেক বেশি হতবাগ করেছে। এটা ঠিক যে, সাংবাদিক হলেও যে কোন দলকে ভালো লাগতে পারে। তবে এর মানে এ নই যে, সাংবাদিকরা দলীয় কর্মীর মত আচরণ করবে।

এখন সাংবাদিকরা দুই ভাগে বিভক্ত। বড় ইউনিয়নগুলো দ্বিধাবিভক্ত। তাদের কেউ আওয়ামীলীগ, কেউ বিএনপি-জামায়াত। সাংবাদিকদের দল অধিকার অবশ্যই আছে। তবে সাংবাধিকরা মৌলিক অধিকারসহ কিছু বিষয়ে এক থাকা প্রয়োজন।

তা না হলে ভবিষতে সাংবাদিকদের এ বিভক্তি কাজে লাগিয়ে অশুভ শক্তি দেশের বড় ধরনে ক্ষতি করতে পারে। এ বিভক্তিই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বড় হুমকিতে পড়বে। এতে করে বাংলাদেশের মিডিয়াও পিছিয়ে পড়বে। সাংবাদিক দম্পতি সরোয়ার-রুনি হত্যা যেমন সাংবাদিক সমাজকে হতবাক করেছে। একইভাবে এ শোকের শক্তিতে বিভক্ত সাংবাদিক সংগঠনগুলো এক সঙ্গে কর্মসূচি পালন করছে।

গত ৩ বছরে ২৫ সাংবাদিক হত্যা ও বহু সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অথচ সাংবাদিক সংগঠনগুলো এধরনের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেনি। সাংবাদিকরা এক থাকলে এ পেশা এতো ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠত না। সাংবাদিকরা এক কাতারে আসুক এই দাবি এখন সবার। নেতাদের বিষয়টি বুঝতেই হবে।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধনে ঢাকা বিএফইউজে ও ডিইউজে’র দুই পক্ষের নেতারাই ছিলেন। তারা সম্মিলিতভাবে আন্দোলনের কথা বলেছেন। ডিআরইউ সব দলের লোকদের এক পতাকার নিচে আনতে পেরেছে। এখন সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরোয়ার-রুমি দম্পতি হত্যার বিচার হবে। ইনশাল্লাহ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.