আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবাদটি মাঝের পৃষ্ঠায় যাবার অপেক্ষা করি আর কি বোর্ডে সিডর বইয়ে দেই।

uব্লগিং করলে নাকি জাতে উঠা যায় !জাতে ওঠার তীব্র আকুলতায় সাগর সরোয়ার আর মেহেরুন রুনি নামক এক সাংবাদিক দম্পত্বি কে হত্যা করেছে কোন এক অপেশাদার খুনি। সকালের গরম খবর টা এখন কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। কেউ কেউ সকালে দুনিয়া ফাটানো চিতকার চেচামেচি (কান্নাকটি) করে এখন একটিু নিষ্তেজ হয়েছে। ভোকাল কর্ড নড়ে গেছে চোখের পানিতে বুক না ভাসলেও চোখ দুটো ফুলে উঠেছে। সামনে পহেলা ফাল্গুন ,ভালবাসা দিবস অনেক পরিকল্পনা তাই গরম পানিতে গড়গড়া করা আর শষা কেটে চোখে দিয়ে শুয়ে পড়ার কথা ।

একটা ঘটনা বলতে ইচ্ছা করছে,বলেই ফেলি । ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড এর ভিসার জন্য আবেদন করি। আই ই এল টি এস করা শেষ এবার মেডিকেল এর পালা । দুরু দুরু বুকে মেডিনোভায় গিয়ে হাজির । টানা এক মাস শরীরের প্রতি পুর্ন যত্ন আত্তি করা।

পাছে মেডিকেলে খারাপ কিছু না ধরা পড়ে। অবশেষে মেডিকেল দিলাম কিছুই ধরা পড়ল না। সাটিফিকেট টা হাতে পেয়ে যে কি খুশি তা বলার মত না । বাড়ী ফিরে মা কে বললাম মেডিকেল এ পাশ করেছি । মা বাবা ভাই বোন সবাই খুশি।

পরে যখন জানতে পারলাম ওদের মেডিকেল সার্টিফিকেট রেডী করাই থাকে কেবল নাম বসিয়েই দিয়ে দেয় তখন নিজের কৃতিত্বটা প্রশ্ন বিদ্ধ হওয়ায় কিছুটা কষ্ট পেলাম। মুল আলোচনায় ফেরা যাক। ঘটনা পরবর্তী কি কি প্রতিক্রিয়া হবে তা রেডী করাই আছে কেবল ভিকটিম দের নাম গুলো পরিবর্তন করে দিলেই হবে। আমি বলি দেখেন আপনাদের সাথে মেলে কি না । প্রধান মন্ত্রী,রাষ্ট্রপতি বিরোধী দলীয় নেত্রীর শোক প্রকাশ।

সাংবাদিক ভাইদের কর্ম বিরতি পালন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দ্রুত অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক বিচার করার সেই ভাঙ্গা বাশির সুর। সুচিল সমাজের মানব বন্ধন। এ টি এন বাংলায় শোকের সিম্বল ঝুলিয়ে দেয়া (হতেও পারে নাও হতে পারে) । আবার অন্য প্রসংগ - প্রবাসী এক বন্ধু একবার আমাকে বলেছিল তোমরা বাঙ্গালীরা sex এর কলা বোঝনা। বিছানায় থাক বড়জোর মিনিট পাচেক আর ঐ পাচ মিনিট পুরা রয়েল বেঙ্গল টাইগার হয়ে যাও একটু পরেই মিউ মিউ ডাক শোনা যায় ।

এই জন্যই রাস্তার পাশের ক্যানভাসার দের দ্রত পতন রোধ করার ঔষধ এর এত কাটতি। বলেছিলাম বাঙ্গালী যতক্ষন বাচে বাঘের মত বাচে বিড়াল আমরা বাশর রাতেই মেরে ফেলি। মুল প্রসংগ ,কাল সবগুলো পত্রিকার হেড নিউজ হবে মৃত্যু ঘটনাটি। আমরা আমজনতা দুখ পাব কষ্ট পাব একটু মারমুখো হয়ে হয়ত শেখ হাসিনা ,অসহায় খাতুন এর পদত্যাগ দাবী করে ভাবব দ্বায়িত্ব শেষ। পুলিশের ধরপাকড় চলবে ,হয়ত খুনিকে ধরাও হতে পারে ।

তত দিনে ঘটনা এক মাস পেড়িয়ে গেছে। হটাৎ একদিন দেখবেন খবরটি সামনের পৃষ্ঠায় নেই পেছনের পাতায় চলে গেছে কারন প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপনোর মত অনেক ঘটনাই ইতিমধ্যে ঘটে গেছে। পুলিশ প্রসাশনের নতুন এসাইনমেন্ট হাতে এসেছে কারন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অন্য ঘটনায় ঠিক আগের কথাই বলেছেন । প্রশাষনের নজর এখন সেদিকে। সাংবাদিক ভাইয়েরা অনেক ক্লান্ত এবার ঘরে ফিরতে হবে ।

নইলে যে সংসার টিকে না। কিন্তু দায়িত্ব কে আর হেলা করা যায় না। মেঘ (দম্পতির একমাত্র মেয়ে) যদি কখনও প্রশ্ন করে তখন ! খবরটি ভিতরের পাতায় চলে যায়। আসামীর জামিন হয় হাইকোর্ট থেকে কারও কিছু বলার থাকে না । সংবাদ টি হারিয়ে যায় মহাকালের অন্ধকার প্রকষ্ঠে ।

এমনই হয় । আসুন এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখি সংবাদটি মাঝের পৃষ্ঠায় যাবার অপেক্ষা করি আর কি বোর্ডে সিডর বইয়ে দেই। শেষ কথা : মেঘ ,তোমর কাছে ক্ষমা চাইব না কারন আমরা এমনই । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.