আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনিতীর শুন্যতা হয়তো বুদ্ধিদীপ্ত ভাল মানুষ পূরণ করতে পারবে - কিন্তু বুদ্ধহীন, কুয়ার ব্যাঙ জাতি এই বিশ্বে টিকতে পারবে না।

তিন জন ব্লগার গ্রেফতারের পর আজকে আরও একজন গ্রেফতার হয়েছেন বলে শুনছি। বিভিন্নজনের স্ট্যাটাসে আক্ষেপ - বাকস্বাধীনতা হরনের আক্ষেপ। অনেকেরই মাঝে তীব্র হতাশা। আজকে প্রায় দেড়মাসের বেশী হলো দেশের বাইরে আছি। শাহাবাগের আন্দোলন শুরুর পরের সপ্তাহে দেশ থেকে আসি।

আন্দোলনটা যখন শুরু হয় তখন নিজের ছাত্রাবস্থার কিছু সময়ের কথা খুব মনে হচ্ছিল। বি.এন.পির শাসনামলে - মূকী-টগরের গন্ডোগোলের গোলাগুলিতে বুয়েটের '৯৯ ব্যাচের সনি মারা যায়। বুয়েটের সাধারন ছাত্ররা তখন এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে - এক পর্যায়ে ঠিক এই গনজাগরন মঞ্চের মত সাধারন ছাত্রদের একটা প্লাটফর্ম হয়। ছাত্রফ্রন্ট আর ইউনিয়ন এসে জুটে। শুরু হয় - "আমাদের সংগ্রাম চলছে - চলবে" - শুরু হয় আমরণ অনশন।

পুরা ঘটনার শেষ হয় বার কয়েক অনির্দিস্টকালের বন্ধের মধ্য দিয়ে, পুলিশ আর বিডিআর এর লাঠির বাড়ি খেয়ে - পুলিশের সাথে আসা ছাত্রদলের হামলার ভিতর দিয়ে। আর এক পর্যায়ে সাধারন ছাত্ররাও আন্দোলনের নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে প্রশাসনের কথা মেনে নেয়। শাহাবাগের শুরুতে আমার খুব ভয় ছিল - এই আন্দোলনেরও না এই পরিনতি হয়। খুবই দু:খের সাথে দেখছি - পরিনতি প্রায় এক। দেশ, দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবনা রাজনিতী তো বটেই।

কাজেই সেই রাজনিতীতে নেমে রাজনিতী করব না বলা অর্থহীন এবং অক্ষমতা। যেই অক্ষমতার দাম হয়ত আমরা পুরো জাতি দিব দীর্ঘদিন ধরে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে এই ব্যার্থতার মূল্য দিতে হবে ভীষণভাবে। ব্লগার, ফেসবুক এই সবের সমার্থক শব্দ হবে নাস্তিকতা। ঠিক যেইভাবে আমাদের বা আমাদের বড় ভাইদের সময় বলা হতো রাজনিতী করা মহাপাপ - যার মূল্য দিচ্ছি আমরা এখন নেতৃত্বহীন জাতি হয়ে - ঠিক সেইভাবেই না আমাদের বাবা মায়েরা ইন্টারনেটকে মহাপাপ বলে দুরে রাখেন আমাদের ছেলেমেয়েদের।

রাজনিতীর শুন্যতা হয়তো বুদ্ধিদীপ্ত ভাল মানুষ পূরণ করতে পারবে - কিন্তু বুদ্ধহীন, কুয়ার ব্যাঙ জাতি এই বিশ্বে টিকতে পারবে না। বাংলাদেশ কোনদিন পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হবে না - আবার কোনদিন নাস্তিকদের মাথায় নিয়েও নাচবে না। নাস্তিকতা আমাদের অধিকাংশ মানুষের কাছেই ঘৃণ্য। সুদূর ভবিষ্যতে কি হবে জানি না - এখন এটাই বাস্তবতা। আমরা জাতিগতভাবে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

ইসলামের ব্যাপারে আমরা খুবই স্পর্শকাতর। অন্য ধর্মের মানুষ অত্যাচারীত হলেও আমরা পাশে দাড়াতে দ্বিধা করি না। এই দেশে যেকোন আন্দোলন করতে হলে এগুলো বুঝে এগুতে হবে। মনে রাখতে হবে - নেতা হিসাবে দায়িত্ব এইসব মানুষকে নিয়ে চলা। তাদের বিরুদ্ধে চলা নয়।

আর এদের সাথে না চলতে পারলে দয়া করে ক্ষমা করবেন - সাধারন মানুষ এমনিতেই অনেক যন্ত্রণায় আছি আমরা - সারাজীবন আন্দোলন করতে পারব না। যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই। কিন্তু সব শেষে আমরা শান্তি, সমৃদ্ধি আর সম্পৃতি চাই। ব্যাস এতটুকুই। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।