আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদকে ছোয়া

খুব অল্প সময়ের জন্য হিউস্টন (টেক্সাস) গিয়েছিলাম কিছু দিন আগে। যাবার তাড়াহুড়ার কারনে খুব একটা বাজে রুট বেছে নিতে হয়েছিলো। ঢাকা থেকে সিংগাপুর তারপর সিংগাপুর থেকে সোজা হিউস্টন। পাক্কা ২৩ ঘন্টার জার্নি। মাঝখানে শুধু মস্কোতে তেল নেবার জন্য এক ঘন্টা বিরতি।

মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত মস্কো থেকে আমার পাশে বসেছে এক বিশালদেহী রাশিয়ান। ও প্লেনে ছাড়া মাত্রই স্টুয়ার্ট কে ডেকে দুই পেগ ভদ্‌কা Quick চড়িয়ে ঘুম। ওকে ঘুম থেকে জগিয়ে কতবার আর Toilet যাওয়া যায় ? Toilet চাপতে চাপতে আমার একবারে নাজেহাল অবস্হা! যাই হোক সারা দুনিয়া ঘুরে হিউস্টন জর্জ বুশ ইন্টারন্যশনাল এয়ারপোর্ট এ যখন নামলাম তখন আর পিঠ সোজা করে হাটার উপায় নেই। কোনরকমেতো পৌছালাম হিউস্টন। এরপর ব্যস্ততার জন্য খুব একটা ঘুরাফেরা করতে পারিনি।

ফিরে আসার একদিন আগে NASA র Johnson Space Center টা দেখার সৌভাগ্য হয়। spaceship এর নানা কায়দাকানুন দেখতে দেখতে কাঙ্খিত রুমটার একসময় দেখা পেলাম। "Moon Gallary"। এখানে চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা নানা রকম পাথর, মিনারেল ডিসপ্লেতে অত্যন্ত কড়া সিকিউরিটির মধ্যে রাখা। দেখতে সাধারন পাথরের মতই তবুও চাঁদের পাথর বলে কথা! হল ঘরের ঠিক মাঝখানে একটা গ্যালারী যেটার নাম " Touch The Moon". ছোট্ট এক চিলতে তিনকোনা পাথর যেটার বয়স 3.8 Billion years. এই পাথরটি ১৯৭২ সালে Applo17 এর crewরা পৃথিবীতে এনেছেন।

পাথরটিকে কাঁপা কাঁপা হাতে ছুলাম। চাঁদকে ছোবার অনুভূতি হয়ত হয়না কিন্তু অন্যরকম একটা আনন্দ তো বটেই। ওই মূহুর্তে মনে হলো এত কষ্ট খুব একটা বৃথা যায়নি। হাজার হোক এটা তো এই পৃথিবীর পাথর নয়!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।