আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেএফসি: খবরের আড়ালে! আড়ালের খবর!!

মানুষ বাচেঁ তার কর্মে! সম্প্রতি কেএফসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা যে পদ্ধতিতে মুরগি জবাই ও রান্না করে তা নির্মম ও হারাম। হালালমতে ও নির্মমতা পরিহার করে মুরগি জবাই করার জন্য পৃথিবীব্যাপী সোচ্চার হয়েছেন পরিবেশবাদী আন্দোলনকর্মী ও পাখিপ্রেমীরা। এমনকি কেএফসি উপদেষ্টারা সুপারিশ করেছেন এ রকম নির্মমভাবে মুরগি জবাই না করার জন্য। তবে কেএফসি এসবের কিছুই আমলে নেয়নি! কেএফসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই তারা ধারালো ব্লেড দিয়ে একটি তাজা মুরগির ঠোঁট কেটে ফেলে! এরপর জীবন্ত মুরগিটি একটি গরম পানির ড্রামের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়! এই স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক গরম পানির ড্রামটি মুরগির পালক, নাড়ি ও অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করে। এসময় মুরগি গরম পানির মধ্যে সাঁতরায় বাঁচার জন্য। কেএফসির সব আউটলেটে একই প্রক্রিয়ায় মুরগি হত্যা করা হয়। পরিবেশবাদীদের দাবি, একটি জীবন্ত মুরগিকে যখন গরম পানির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তখন পর্যন্ত মুরগিটির প্রাণ থাকে! এটা নির্মম! পশু বা পাখিকে এভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা অন্যায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন বলেন, বিসমিল্লাহ এবং আল্লাহু আকবর বলে জবাই না করলে সেই মুরগি খাওয়া হালাল হবে না। শুধু হারাম মুরগিই নয়, কেএফসি ও পিৎজা হাটের শাখাগুলোর অপরিচ্ছন্নতা, ভেজাল খাদ্য সরবরাহ, খাদ্যের মান নিয়ে কিছুদিন আগেও একাধিক মামলা ও জরিমানা গুনেছে বাংলাদেশের এ দুটি প্রতিষ্ঠান। ফ্রায়েড চিকেনের ভেতর ফ্রায়েড ককরোচ (তেলাপোকা) পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে কেএফসিতে... এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠে, Worldwide এই প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেশে তাদের মান ধরে রাখার ব্যাপারে কতটা আগ্রহী??!! কেএফসি ও পিৎজা হাট ব্র্যান্ড দেখে যারা সেখানে খেতে যাচ্ছেন সেই ক্রেতারা বিশ্বমানের সেবা তো পাচ্ছেনই না বরঞ্চ পকেট থেকে ঠিকই বেরিয়ে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ...  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।