আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালবাসার গুষ্টি কিলাই!

আমি বিয়ে করব। কয়দিন থেকে পাত্রী খুজছি। পরিচিত অনেককেই বললাম আমার জন্য একটা পাত্রী খুজে দিতে। কিন্তু কোন রি-একশন নেই। সবজান্তা গুগলে সার্চ করলাম “ভাল পাত্রী কোথায় পাওয়া যায়” মনমত কোন রেজাল্ট পেলাম না।

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিলাম “পাত্রী চাই” যত্তসব হিজড়ারা কমেন্ট করল। আবার লজ্জায় মাকে বলছি না। এদিকে আমার সবকিছু শুকিয়ে যাচ্ছে, ধুর! আমার ভাগ্যে মনে হয় বউ নেই। মানসিকতা যখন চরম অধ:পতনে তখন একটা পাত্রীর সন্ধান পেলাম আমার এক দূর সম্পর্কের বন্ধুর মাধ্যমে। পাত্রী দেখতে গিয়ে তো আমি গোল আলূ হয়ে গেলাম।

একি?? এটা আবার কোন সাইজের মেয়ে? মেয়ের বডি থেকে কোমর ২ হাত সরে গিয়ে বহি:স্থ কোন উৎপন্ন করে ফেলেছে! এই সমীকরণটা সমাধান করবে কে? অনেক মেয়ে দেখা হল। একটাও সঠিক ডাইস দিয়ে তৈরী করা নয়, কোনটার নাক বোচা, কোনটার মুখের শেপ (shape) ঠিক না। কোনটার ঠোট দুইটার মিল নেই, কোনটার দাত উচা, কোনটার হাটার গতি ঠিক নেই, কোনটার চোখ ট্যারা, কোনটা কানে কম শুনে, কোনটার কোমর সিড়ির মত দেখলে মনে হয় কোমরে পা রেখে দুতলায় উঠা যাবে। লজ্জার মাথা খেয়ে মাকে বলেই ফেললাম “মা রাত্রে আমার একা একা ঘুমাতে কেমন কেমন লাগে” মা বলল “ঠিক আছে আজ থেকে তোর বাবাকে বলব তোর সাথে ঘুমাবে”। নতুন আরেক ঝামেলায় পড়লাম, হিতে বিপরীত হয়ে গেল।

রাত্রে আমার কত কাজ! সবটাই গোপনীয়। বাবা থাকলে তো কিচ্ছু হবে না। কি করি? মাকে বললাম “বাবার দরকার নেই আমি একাই পারব, “গুড নাইট” আমার দূরের কাছের সব বন্ধুদের নিয়ে এক বিকেলে আলোচনায় বসলাম কি করা যায়? একটা বন্ধু মন্তব্য করল – “আজকাল ভাল (?) মেয়েরা বুকিং দেওয়া থাকে আগে থেকেই, পাত্রী দেখানো হয় আনসাইজ মেয়েদের”। কি সাংঘাতিক তথ্য! আমার তো জানা ছিল না ভাগ্যিস আমার বন্ধুরা ছিল। আমি এখনো বিয়ে করিনি।

পাত্রী খুজব না “ভাল” মেয়ে বুকিং দেব এটা কনফিউশনে ভুগছি। আবারো আমাকে বাঁচাতে এল আমার দূর সম্পর্কের সেই বন্ধু! দারুণ (?) এক পরামর্শ দিল। বন্ধুর পরামর্শমত শেরেবাংলা নগর গার্লস হাই স্কুলের অদুরেই আড্ডা দিচ্ছিলাম- আমি, মুহিত, বাপ্পী, জাকির, রাসেল আর রুপন; স্কুল ছুটি হয়েছে, ছাত্রীরা বের হচ্ছে সারীবদ্ধভাবে। হঠাত একটা মেয়ের দিকে আমি তাকিয়ে বললাম এই রে দোস্ত ফাটাফাটি একটা মাল! সবাই থাকাল আমার চোখের লক্ষের দিকে... মুহিত জিজ্ঞেস করল কোনটা? আমি আঙ্গুল উচিয়ে মেয়েটিকে দেখিয়ে দিলাম। আমি বললাম ভালবাসলে এই মেয়েটিকেই ভাসব, বিয়ে করলে এই মেয়েকেই করব।

সবাই বলল মানতে হবে বস্ তোর চয়েস আছে!!!! এমন সময় আসল-হাকিম। আমি বললাম কি রে তোর এত দেরী? কোথায় ছিলে? -আর বলিস না দোস্ত, ডেটিং ছেড়ে চলে আসতে মন চায় না। তা তোরা এত খুশী কেন? মুহিত বলল, আমাদের বসের একটা মেয়েকে চয়েস হয়ে গেছে......। -ভাল কথা তোর কোন চিন্তা নাই, এই সবের উস্তাদ আমি,আমিই তোকে ফিটিং করে দিচ্ছি। জমিয়ে প্রেম করবি, বল কোন মালটাকে তোর পছন্দ? মেয়েটির গন্তব্যের দিকে এগিয়ে গেলাম, বেশী না, কিছু দূর যেতেই পেয়ে গেলাম।

জাকির হাকিম কে দেখিয়ে দিল এই সেই রাজকুমারী। ৮০ মাইল বেগে ১৮০ ডিগ্রী এঙ্গেলে আমার দিকে ঘুরে হাকিম আমাকে ২২ মন ওজনের থাপ্পড় মারল আর বলল, “আমার বোনকে মাল বলিস? ও আমার আপন ছোট বোন”। তুই ই তো বললে মাল। আমি আবার কখন বললাম? আবারো থাপ্পড় নিয়ে এগিয়ে এল। বাঁচাল মুহিত।

আমার কোন দোষ নেই। সব দোষ আমার ওই দূর সম্পর্কের বন্ধুর। শালা আগেরবার বানিয়েছিল গোল আলু, এবার বানাল চ্যাপ্টা আলু। থাপ্পড় খেয়ে তওবা করেছি জিবনে আর কোন মেয়েকে ভালবাসা, বিয়ে করা তো দূরে থাক, ভুলেও কোনদিন কোন মেয়ের নাম মুখে আনব না...। (বিঃদ্রঃ ইহা একটি রম্য রচনা মাত্র) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.