আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিপস : গাড়ি রাস্তায় বের করার আগে

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience ( গাড়ি রাস্তায় বের করার আগে কিছু সাবধানতা প্রয়োজন। ঢাকার রাস্তার ক্ষেত্রে কথাটি আরো বেশি প্রযোজ্য ! ) দিন দিন বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। আপনজনের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিতে পারে মূল্যবান জীবন অথবা চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করে সমাজের বোঝা হয়ে বেঁচে থাকতে হতে পারে। দুর্ঘটনার ভয় শুধু গাড়ির চালক বা আরোহীদের থাকে না, পথচারীদেরও থাকে।

তবে দুর্ঘটনা এড়ানোর ক্ষেত্রে চালক কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারেন। গাড়ির চালক রাস্তায় গাড়ি বের করার আগে গ্যারেজ থেকেই কিছু বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। অর্থাৎ কয়েকটি বিষয়াবলি পরীক্ষা করে দেখে তবেই গাড়ি নিয়ে বের হওয়া উচিত। এতে দুর্ঘটনা এবং অনাকাক্সিক্ষত ঝামেলা দুটো থেকেই মুক্তি পাওয়া যাবে। নিচের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরীক্ষা করে দেখে তবেই গাড়ি নিয়ে বের হতে পারেন।

বিষয়গুলো খুবই সাধারণ হলেও কোন একটি ছোট্ট ভুলের কারণে অনেক সমস্যা পোহাতে হতে পারে । রেডিয়েটর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভর্তি করে নিতে হবে। ব্রেক অয়েল আছে কিনা দেখে নিতে হবে। হর্ন ঠিকমতো বাজে কিনা দেখে নিতে হবে। ট্যাঙ্কে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পেট্রোল বা ডিজেল অথবা সিএনজি গ্যাস আছে কিনা দেখতে হবে।

জ্বালানী প্রয়োজনীয় পরিমাণে না থাকলে তা আগে থেকেই নিয়ে নিতে হবে। বিশেষত দূর পথে যেতে হলে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা লং ড্রাইভে রাস্তায় মাঝখানে তেল ফুরিয়ে গেলে কী রকম বিড়ম্বনা হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইঞ্জিনের ডিপস্টিকের সাহায্যে মবিল অয়েলের মাত্রা (ঋ) লেবেলে পুরো আছে কিনা দেখে নিতে হবে। না থাকলে তা পূরণ করতে হবে।

ব্যাটারি সঠিকভাবে বসানো আছে কিনা, তার ভেতরে ডিস্টিল ওয়াটার লেভেল পরিমাণমতো আছে কিনা সেটি অবশ্যই দেখে নিতে হবে। ডিস্টিল ওয়াটার লেভেল পরিমাণমতো না থাকলে তা পূরণ করতে হবে। ব্যাটারির পজিটিভ এবং নেগেটিভ টার্মিনালের তারের জয়েন্টগুলো লুজ থাকলে তা টাইট করে নিতে হবে। টার্মিনালের জয়েন্টগুলোতে কার্বন জমে থাকলে সেটি পরিষ্কার করে সেখানে গ্রিজ অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে। গাড়ির চাকায় হাওয়া আছে কিনা, চাকার নাট-বোল্টগুলো সঠিকভাবে লাগানো কিনা তাও দেখে নেওয়া যেতে পারে।

কেননা চাকায় হাওয়া কম থাকলে গাড়ির পর্যাপ্ত গতি হ্রাস পাবে। এতে গাড়ির জ্বালানি খরচও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। অপরদিকে চাকার নাট-বোল্ট যদি লুজ থাকে তাহলে গাড়ি চলতে চলতে ঘূর্ণন চাপে এক সময় চাকা খুলে যেতে পারে। চলন্ত অবস্থায় চাকা খুলে গেলে দুর্ঘটনা সুনিশ্চিত। গাড়ির লাইটগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা সেটি একবার দেখে নিতে হবে।

কেননা রাতে অবশ্যই লাইট জ্বালাতে হবে। লাইট ঠিকমতো না জ্বললে রাতে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের না হওয়াই উত্তম। তা ছাড়া রাতের রাস্তায় লাইট না জ্বালানো দণ্ডনীয় অপরাধও বটে। একসিলেটর প্যাডেল, ক্লাচ প্যাডেল, ব্রেক প্যাডেল, স্টিয়ারিং হুইল, ইনডিকেটর সুইচ, ওয়াইপার সুইচ কার্যোপযোগী আছে কিনা তা দেখতে হবে। এর যে কোনো একটি অকেজো হলে ভোগান্তিসহ ঘটতে পারে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা।

চালকের সিট নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিকভাবে বসানো আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। আগে-পিছে করার দরকার হলে তা প্রথমেই অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে। কেননা গাড়ির চালকের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। অবশ্য গাড়িতে সিট অ্যাডজাস্টেবল সিস্টেম থাকলেই কেবল তা করা সম্ভব হবে। সামনের উইন্ড স্ক্রিন গ্লাস, যার মাধ্যমে সামনের রাস্তা পরিষ্কারভাবে দেখা যায় তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

গাড়ির চালকের হাতের কাছে লাগানো ড্রাইভিং মিরর যার দ্বারা পেছনের যানবাহন বা রাস্তার অবস্থা ঠিকমতো দেখতে পাওয়া যায়, তা ড্রাইভিং সিটে বসেই ঠিক করে নিতে হবে। তা না হলে ওভারটেক করার সময় এবং গাড়ি ডানে-বামে টার্ন নেওয়ার সময় ঘটে যেতে পারে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা। গাড়ি চালানোর আগে চালকের অবশ্য কর্তব্য হল গাড়ির প্রতিটি দরজা ঠিকমতো লাগানো আছে কিনা দেখে নেওয়া। গাড়ির হ্যান্ডব্রেক লাগানো আছে কিনা এবং গিয়ার লিভার নিউট্রাল পজিশনে আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। ডিপার সুইচ ব্যবহার করে তার কার্যকারিতা দেখে নিতে হবে।

কেননা এক লেনের রাস্তায় ডিপার সুইচ খুবই জরুরি। কারণ একই রাস্তায় যেহেতু যাওয়া-আসা করতে হয় তাই বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িকে সঙ্কেত দেওয়ার জন্য ডিপার সুইচ কার্যকর থাকা প্রয়োজন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।