আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক্স ফ্যাক্টর (ছবি ব্লগ) - ভালবাসার এ টু জেড (শুধুমাত্র যাদের গার্ল ফ্রেন্ড নেই তাদের জন্য আলোকবর্তিকা)

অতৃপ্ত আত্মার অনুচ্চ ক্রন্দনধ্বনি সেই কবেই মিলিয়ে গেছে স্তব্ধ বালুকাবেলায়। তারপরও স্মৃতির ঠাস বুননে একে একে গেঁথে নিয়েছি হৃদয়ের আবেগতাড়িত কখনওবা অবদমিত অসহায় ইচ্ছেগুলোকে। আর তাই,আজ আমি এখানে। সামুতে আমার বয়স বেশি নয়। কিন্তু এই কদিনে দেখলাম বহু লোক ভালবাসার বাজারে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মন্দার এই বাজারে আপনাদের জন্যই এই ফটো পোস্ট নিয়ে এসেছি আমি। এই পোস্ট শুধুমাত্র যারা প্রেম করতে পারছেন না, কিভাবে করতে হবে বুঝতে পারছেন না, পরে কি হবে সেই ভাবনায় ব্যাকুল-- তাদের জন্য। তবে এটাই শেষ কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা প্রেম করতে গেলে আপনার নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা থাকতে হবে। একা বসে থাকার দিন শেষ।

এবার মাঠে নামুন। দেখিয়ে দিন,খেলা কাকে বলে। প্রথম ধাপ প্রপোজ করা। একেক মেয়ের ক্ষেত্রে একেক রকম। কেউ চায় আপনাকে জাচাই বাছাই করে সিওর হয়ে নিতে যে আপনি আসলেই সিরিয়াস কিনা ( এই ধরনের মেয়েগুলা নিজেরাও সিরিয়াস হয়, আর প্রতারনার সম্ভাবনা কম থাকে), কেউ আবার এক কথায় রাজি।

কাউকে আবার কিছু না দিলে পটে না। এক্ষেত্রে আমার সতর্কবাণী হল "এমন মেয়ে খুজুন যার ছেলে বন্ধু নাই। ছেলেদের সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না। কারন মনে রাখবেন, একটি ছেলে আর একটি মেয়ে কখনও বন্ধু হতে পারে না (ব্যতিক্রম খুব কম),কিছু না কিছু তাদের মাঝে থাকবেই। হক না সেটা একটু ভাললাগা।

আর আপনাকে একদম ই পছন্দ করে না, কিন্তু আপনি পুরা ফিদা, এমন সম্পর্কও সাধারনত টিকে না। শুরু করুন ফুল দিয়ে। কারন ফুল পছন্দ করে না এমন মেয়ের সংখ্যা খুব কম। জেনে নিন তার প্রিয় ফুলের নাম আর রং। বিশেষ কোন ফুল তার পছন্দের তালিকায় না থাকলে, এক্সোটিক কোন ফুল দিন।

যেমন কারনেসন। হাত ধরাটা বেশ বড় একটা ব্যপার যদি আপনাদের দুজনের কাছে এটাই প্রথম হয়। সাহস করে ধরে ফেলুন। তবে একেবারে প্রথম দিকেই নয়। সময় নিন কিছু দিন।

তাকে বোঝান যে আপনি সিরিয়াস। মেয়েরা এই ব্যপারতা খুব খেয়াল করে। চলে যান কোন নিরিবিলি রেস্টুরেন্টে। নিজেদের কথা বলুন। কিভাবে আপনি তার প্রতি আকৃষ্ট হলেন, কিভাবে তাকে চিনলেন, এই ব্যপারগুলা বলুন।

মেয়েরা এই জিনিসগুলা খুবই পছন্দ করে। আর একটা ব্যাপার এ খেয়াল রাখুন। মাঝে মাঝে চেষ্টা করুন তাকে হাসাতে। মেয়েরা এমন ছেলে পছন্দ করে ( সবাই না) । হাশালে আপনাদের মাঝে দূরত্ব কমবে।

সময় এখন রেস্টুরেন্টের বাইরে যাবার। সম্পর্কটাকে একটু বাইরের প্রাকৃতিক আলো বাতাসে সজীব করুন। এতে দুজন ই কাছাকাছি হওয়া যাবে। এক্ষেত্রে গাড়ির চেয়ে রিকসা ভাল। দুজনে পাশাপাশি হাতে হাত ধরে হাঁটুন কোন ফাকা জায়গায়।

তার প্রতিটি কথা গুরুত্ব সহকারে শুনুন। তাকে বোঝান, আপনার কাছে তার গুরুত্ব কতটুকু। পাশাপাশি বসে নিজেদের আগের কথাগুলা শেয়ার করুন যে আগে কে কেমন ছিলেন। সে জানে না এমন কিছু বলার চেষ্টা করুন । এটা বেশ কাজে দিবে।

তার জন্য কবিতা লিখুন যদি পারেন। গান শুনাতে পারেন তাকে। যত বেশি সম্ভব ছবি তুলুন। এই ছবিগুলা সোনালী সময়ের কথাগুলা মনে করিয়ে দিবে। ছবি তলার আগে তার বিস্বস্ততা অর্জন করুন।

একসাথে স্কেটিং করুন বা বাইকে তাকে ঘুরান। দেখা করা শেষে অবশ্যই তাকে ড্রপ করে আসুন। মেয়েরা সবচেয়ে যে জিনিসটি দেখে সেটার মাঝে অন্যতম হল, আপনি কেয়ারিং কিনা। তার সাথে এতটাই অন্তরঙ্গ হন, যেন সে তার সুখ দুঃখের সব কথা সবার আগে আপনাকে বলে। তার প্রয়জনে সবসময় চেষ্টা করুন পাশে থাকার যত কাজ ই থাকুক আপনার হাতে।

চেষ্টা করুন মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ দিতে। এটা পছন্দ করে না, এমন লোক খুব কম। সাধ্যের মাঝে চেষ্টা করুন তার পছন্দের কিছু দেবার। চেষ্টা করুন তার জন্য নিজে কিছু বানাতে। এটা সে অনেক বেশি ফিল করবে একটি সাধারণ গিফট এর চেয়ে।

কিছু হলেই হাত পা কেটে ফেলার দরকার নেই। তার সাথে কথা বলে বুঝুন সমস্যা টা কোথায়। তারপর মিউচুয়াল করুন। এসব যত দেরিতে করা যায়, ততই ভাল। বিয়ের পর বহুত টাইম পাবেন।

কখনও এটা নিয়ে তাকে জোর করবেন না। এইত। আর কি ! কাহানি শেষ। হ্যাপি এন্ডিং । এবার দুজনে বসে ভালবাসার কাহিনীটা লিখে ফেলুন।

গার্ল ফ্রেন্ড সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখুন। অনেকের ধারণা গার্ল ফ্রেন্ড রা গিফট দেয় না। দেয় কি দেয় না, টা দেখতে কে বলেছে গার্ল ফ্রেন্ড রা গিফট দেয় না ! আমার ধারণা এখান থেকে গিফট দেবার অনেক অপশন পাবেন। আরও সামনে আসছে। অপেক্ষা করুন।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ১- ভালবাসার মানুষটির সাথে প্রতারনা করবেন না। ২- মেয়ে বন্ধুর সংখ্যা কমিয়ে ফেলুন, সম্ভব হলে শূন্যতে । কারন আপনার মেয়ে বন্ধুতি হয়ত আপনাকে বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু ভাবে। ৩- মাঝে মাঝে ঝগড়া করুন ভালবাসার মানুষটির সাথে , নাহলে কিন্তু ভালবাসা পানসে হয়ে যাবে। ৪- কখনও কারো সাথে তাকে তুলনা করবেন না।

৫- ঝামেলা হলে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিবেন। ৬- আরেকজনের গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে টানাটানি করবেন না। দেশে মেয়ের অভাব পড়ে নাই ৭- অতীতে কিছু থাকলে, কিছুদিনের মাঝেই তাকে টা খুলে বলুন। সে নিজে থেকে যদি এটা খুঁজে বের করে, ফলাফল ভাল হবে না। আবার সম্পর্কের শুরুতেই এসব বলতে যাবেন না।

৮- পোস্ট এ অবশ্যই আপনার কমেন্ট দিবেন। মুহাহাহাহা। বহুত কষ্ট করে লিখছি কইলাম। প্রিয়তে না নিলে কইলাম খবর আছে.। আপনার ভালবাসা সুখের হোক।

দোয়া করি। [/su ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।