আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিবিরের কোচিং ব্যবসা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের জেলা শহরগুলোতে উগ্র মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের কোচিং ব্যবসা বেশ জমজমাট। এক হিসেবে দেখা গেছে, শিবির এসব কোচিং সেন্টার থেকে বছরে ৩০ কোটি টাকার উপরে আয় করে। মূলত এ টাকা দিয়েই চালানো হচ্ছে শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। শিবির পরিচালিত এসব কোচিং সেন্টার থেকে আয় করা অর্থ নানা উগ্র সংগঠনও পেয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অথের্র কিছু অংশ সশস্ত্র প্রশিক্ষণেও ব্যয় করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য রয়েছে শিবির পরিচালিত ভর্তি কোচিং সেন্টার। এসব কোচিং সেন্টারের রয়েছে ৩৫টি শাখা। প্রতি বছর ৭০ হাজারের মতো ছাত্র-ছাত্রী এখানে ভর্তি হয়। রেটিনা হচ্ছে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শিবির মালিকানার ভর্তি কোচিং সেন্টার। শিবির পরিচালিত সবচেয়ে বড় ভর্তি কোচিং সেন্টার রেটিনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮০ সালে শিবিরের তত্ত্বাবধানে রেটিনা প্রতিষ্ঠিত হয়। রেটিনার প্রথম পরিচালক সোহরাব হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি। ক) কোচিং সেন্টার: শিবিরের নেতাকর্মীরা ক্লাস নেয় শিবির পরিচালিত এসব কোচিং সেন্টারে সাধারণ শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয় না। শিবিরের কোন না কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে শিবির ক্যাডারদের পুনর্বাসিত করা হয়।

শিবিরের নেতৃস্থানীয় নেতাদের সুপারিশপত্র দেখাতে হয়। আবার বিশ্ববিদ্যায়ের একশ্রেণীর জামায়াতপন্থী শিক্ষক এসব কোচিং সেন্টারের উপদেষ্টা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে থাকেন তারা। খ) কোচিং এর টাকা খরচ হয় সশস্ত্র ট্রেনিং-এ বিভিন্ন হিসাব থেকে দেখা গেছে, শিবিরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে আয়ের একটা বড় অংশ শিবিরের সাংগঠনিক কাজে ব্যয় করা হয়। পাশাপাশি শিবির নেতা-কর্মীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও সহযোগিতা করা হয়।

বিশ্বস্ত সূত্র জানা যায় যে, এ অর্থ শিবিরের সশস্ত্র প্রশিক্ষণেও ব্যয় হয়। এমনকি এ কোচিং সেন্টারের অর্থ উগ্র মৌলবাদী সংগঠনও পেয়ে থাক। সূত্র জানিয়েছে, এ কারণে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা শিবিরের কোচিং সেন্টারের উপর নজরদারী করে থাকে। গ) কোচিং সেন্টার না মৌলবাদী সেন্টার শিবির পরিচালিত বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের পাশাপাশি শিবির প্রকাশিত ইসলামি আন্দোলন সম্পর্কিত বই, শিবিরের গঠনতন্ত্র, মওদুদী ও গোলাম আযমের বই পড়ানো ও সরবরাহ করা হয়। ঢাকায় কোচিং সেন্টারগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিবিরের বিভিন্ন ধরনের পোস্টার ক্লাস রুমে ঝুলানো।

এছাড়া রয়েছে এসব কোচিং সেন্টারের ভর্তি ফরম ও লিফলেট। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবিরের রাজনীতি কড়াকড়ি হওয়ার কারণে কোচিং সেন্টারগুলোতে নির্দ্বিধায় চলে শিবিরের কার্যক্রম। বিশেষ করে রাতে, প্রতি শুক্রবার এবং যে সময় ক্লাস থাকে না সে সময় কোচিং সেন্টারে সাংগঠনিক কাজ করা হয়ে থাকে। কোচিং সেন্টারগুলোতে রাতে শিবির ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং সেন্টারে প্রকাশ্যে মৌলবাদের শিক্ষা দেয়া হয়।

প্রশাসনিক বাধা না থাকায় শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ইসলামি আন্দোলন সম্পর্কিত বই পড়ানো হয়। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে ভর্তি করে শিবিরের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়। পরে এসব শিক্ষার্থীদের শিবিরের রাজনীতি করতে বাধ্য করা হয়!!! । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.