আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত

বল, আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ। -১৮:১১০ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশী যুবক হাবিবুর রহমানের নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু। গতকাল পত্রিকাটিতে প্রকাশিত ‘বু্রটালিটি অন দ্য বর্ডার অথবা সীমান্তে বর্বরতা’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে। ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সম্প্রতি এক ভিডিওতে প্রকাশিত বাংলাদেশী যুবকের ওপর বিএসএফ সদস্যদের বর্বর আচরণের জন্য বাংলাদেশের কাছে নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। স্বাভাবিকভাবেই এই করুণ ভিডিও বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়, ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির মন্তব্য—এই ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করবেন না এবং বাংলাদেশের এক মন্ত্রীর অনুরূপ (সৈয়দ আশরাফ) মন্তব্য ক্ষোভ বৃদ্ধিতে উস্কানি দিয়েছে এবং শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ভারতপন্থী হওয়ার অভিযোগ পরিপূর্ণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির এমন কিছু করা উচিত নয়, যা দেশটিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, গত মাসে সীমান্তে বিএসএফের হাতে পৃথক দুটি ঘটনায় তিন বাংলাদেশী নিহত হওয়ার পর দেশটিতে ভারতবিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করে। সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে গুলি ব্যবহার না করার বিষয়ে ২০১১ সালের মার্চে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার পর প্রাণহানির ঘটনা কমে এসেছে।

তবে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া এই ভিডিও এটাই প্রমাণ করে যে, বিএসএফ খেয়াল-খুশিমতো অন্যভাবে সহিংস আচরণ করছে। এটা একথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, তাদের জটিল সীমান্তে কর্তৃপক্ষের এরকম দ্বিপক্ষীয় চুক্তির কোনো মূল্য নেই যদি না যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের মানসিকতায় কোনো পরিবর্তন না আসে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সীমান্তরক্ষীদের মনে এমন ধারণা জন্মেছে যে, ক্ষমতার এরকম অপব্যবহার করলেও তাদের কোনো শাস্তি হবে না। রক্ষীদের মনে অপরাধ করে শাস্তি না পাওয়ার যে ধারণা তৈরি হয়েছে, এর ফলে এরকম ঘটনা ঘটছে। ঘটনার তদন্তে তার ওপর আলোকপাত করা দরকার।

বিএসএফের প্রশিক্ষণে এরকম কিছু শিক্ষা দেয়া হয় কিনা, যা কিছু সদস্যকে এমন বর্বরতার যোগ্য করে তোলে, তাও তদন্ত করে দেখতে হবে। View this link ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।