আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুইডেনের বরফের তৈরি হোটেলের গল্প

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক বিছানা, ছোট আকারের পানশালা, গোসলের পর পরার পোশাক, দুই জোড়া স্যান্ডেলসহ টুকিটাকি সব ব্যবস্থাই আছে নেদারল্যান্ডসের জৌল শহরের ছোট্ট হোটেলটিতে। কিন্তু আর দশটা হোটেলের সঙ্গে এর পার্থক্য কেবল ভেতরের আবহাওয়ায়। ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডায় কারো হাড়ে কাঁপন ধরে যেতে পারে। কারণ হোটেলটি বরফে তৈরি। তবে এর ভেতরের তাপমাত্রা অবশ্যই শূন্য ডিগ্রির কিছুটা ওপর।

নেদারল্যান্ডসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জৌলে দেশের প্রথম বরফের হোটেল তৈরি করা হয়েছে। বরফের ভাস্কর্য তৈরির একটি উৎসবের অংশ হিসেবে হিমায়িত এক গুদামের ভেতর তৈরি হয়েছে তিন রুমের বিশেষ এই হোটেলটি। হোটেলের ম্যানেজার অ্যানেট ভন লিমবার্গ জানান, ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে বরফের হোটেল এটাই প্রথম। সুইডেনে ২০১১-১২ মৌসুমের জন্য ৪৭ কক্ষের একটি বরফের হোটেল তৈরি করা হয়। তবে নেদারল্যান্ডসের এই হোটেলটির তাপমাত্রাই শুধু কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

দর্শনার্থীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করানো হয়। স্থানীয় একটি হোটেল এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছে। প্রায় এক মিটার পুরু বরফ কেটে হোটেলের কক্ষগুলোর দেয়াল তৈরি করা হয়েছে। বিশাল আকৃতির একটি শঙ্খ রেখে একটি কক্ষের পরিবেশে সামুদ্রিক আবহ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। দরজায় ভারি একটি পর্দা ঝুলিয়ে আড়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে এই রুমটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে গোলাপি, নীল ও সবুজ আলোয় আলোকিত একটি বিছানা। বরফ কেটে তৈরি বিছানার ভেতরে আলোগুলো স্থাপন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে ভন লিমবার্গ বলেন, 'এখানে থাকতে হলে ঘুমানোর আগে আপনি গোসল করতে পারবেন না। কারণ চুল ভেজা থাকলে সেগুলো বরফ হয়ে যাবে। খুব বেশি অ্যালকোহল পান করা বা পেটপুরে খাওয়া যাবে না।

রুমে ঢোকার আগেই কাপড় বদলে নিতে হবে। তবে স্বাস্থ্য ভালো থাকলে এখানে অবস্থানের বিষয়টি মোটেও বিপজ্জনক হবে না কারো জন্য। ' দুই ব্যক্তির জন্য সকালের নাস্তাসহ এক রাতের খরচ পড়বে ১৯৯ ইউরো। তবে বিল মেটানোর পর কেউ যদি তার মত পাল্টায়, তাহলে স্বাভাবিক একটি হোটেল কক্ষ এবং সেখানে পেঁৗছে দেওয়ার গাড়ির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ১০ দিন সময় নিয়ে নির্মিত বরফের এই হোটেল ৩ ডিসেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত খোলা থাকবে।

কয়েক জোড়া প্যান্ট, সোয়েটার, হাতমোজা ও টুপি নিয়ে বরফের এই হোটেলে এক রাত কাটান লুক ভন হেইস্ট (৪২) ও মায়া ঝ্যাং (৪২)। রাতের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সকালে ভন হেইস্ট বলেন, 'আমি তিনটি প্যান্ট পরেছিলাম। এ কারণেই বেশি গরম লেগেছিল। এখানে বেশ ভালোই লেগেছে, তবে অবশ্যই তা এক রাতের জন্যই। লম্বা ছুটি কাটানোর জন্য আমি আর কখনই এরকম হোটেলে যাব না।

' সূত্র : এএফপি। তথ্যসূত্র- Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.