আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙালী জাতির আরেকটি ইতিহাস পাইলাম।আরও কত জাতি যে আছে এই শংকর জাতির ভিতরে ?

Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd আমার মতো এ দেশের অনেক তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীর বেড়ে ওঠা ইসলামী তাহজিব-তমুদ্দুন চর্চাকারী পরিবারে। যেখানে সম্পর্কগুলো পরতে পরতে বাংলাদেশী সংস্কৃতির গন্ধযুক্ত। কিন্তু এখানকার মাটি-পানি-আবহাওয়া-খাদ্য-পোষাক-ভাষায় জড়ানো ওই সম্পর্কগুলোর অভিমুখ জাতি-বর্ন-শ্রেণী-ধর্মের উর্ধ্বে ওঠে ইসলামের বয়ান নির্দেশিত ফিতরাত বা প্রকৃতির-স্বভাব উপযোগী হয়ে ওঠা। তো আমাদের পরিবারগুলোর জন্ম অভিজ্ঞতার যন্ত্রণার ইতিহাসও অনেক দিনের। অধিপতি সেক্যুলার অভিমুখ এই জমিনে জন্ম নেয়ার আগেই আমাদের পরিবারগুলোর জন্ম হয়েছে।

যারা এখানকার কৃষি উৎদন-সম্পর্কের সাথে যুক্ত যুগ যুগান্তর জুড়ে। আমাদের রক্ত ধারা এক সময় না সনাতন ধর্ম, না বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারি ছিল। আমরা ছিলাম প্রকৃতি ও সমাজের নানা দেবদেবি-নৃপতির পুজা-উপাসনামুক্ত নিধর্মী এক জনগোষ্ঠী। তারপর শোষণ ও নিপীড়নের মুখে আমরা নিম্নবর্নের হিন্দু হয়েছি। উচ্চ বর্নের হিন্দুদের নিপীড়ন থেকে নির্বান লাভ করতে পরে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছি।

পরে যখন চট্টগ্রাম, আরাকান ও খুলনা-বাগেরহাটে আরব থেকে নিপীড়িত মজলুম মুজাহিদ দরবেশ রাসূলের (সা.) দ্বীন নিয়ে বাংলায় আসলেন তখন তৌহিদের ঈমানে দীক্ষিত হয়ে আমরা মুসলমান হয়েছি। জাতপাতবর্নের নিপীড়ন থেকে সত্যিকার অর্থে মুক্তিলাভ করেছিলাম আমরা মুসলমান হয়ে। পরে আমরা হিন্দুকুশ পর্বত বেয়ে নেমে আসা আশরাফ মোসলমানদের জুলুমের শিকার হয়েছি শত শত বছর ধরে। যদিও এখানে বারবার সুলতান-ভূঁইয়ারা বিদ্রোহ করেছেন এই জুলুমের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার বাণী নিয়ে। তবে আমরা বারবার হেরেছি এবং ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।

শেষ পর্যন্ত আশরাফ মোসলমানদের দরবারি চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে আমরা ঔপনিবেশিক ইংরেজ শাসন ও হিন্দু জমিদারির নিপীড়নের শিকার হয়েছিলাম। ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত আমরা দখলদারির বিরুদ্ধে ফকির-সন্নাসী-পাগল-ফরায়েজি আন্দোলন করে গেছি। সব শেষ মহান সিপাহী বিদ্রোহ দমিত হওয়ার ঘটনার মধ্যে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে। এরপর ইংরেজ বশ্যতার অধীন মধ্যবিত্ত মুসলমানিত্বের উত্থান ঘটল। আমাদের স্বাধীনতা ও দ্বীন রক্ষার মুক্তিযুদ্ধ ধামাচাপা পড়ে গেল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জাতীয়তাবাদিতার তলে।

ইংরেজ উদরে জন্ম নেয়া হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার গর্ভে জন্ম দিল মুসলমানী সাম্প্রদায়িকতা। যা আমাদেরকে রক্তের ভাই নিম্নবর্নের হিন্দু ও নিধর্মী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলল। আমরা দরবারি আশরাফ মুসলমানের ২৪ বছরের শোষণ-নিপীড়ন-লুণ্ঠনের মধ্যে বন্দি থাকলাম পাকিস্তান নামক জালেম রাষ্ট্রের জাতিবিদ্বেষী শাসক শ্রেণীর অধীনে। এরপর আমরা পূর্ববঙের সাবেক মুসলিম লীগারদের রাজনীতি ও উন্নতি আকাঙ্ক্ষার অধীনে রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ কায়েম করেছি। রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে জামায়াত জাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিল।

যে কারণে এ দলটি পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক উত্থানের বিরোধী ছিল। সেই দলটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অখন্ডতাকে সমর্থন করে আরেক ভাষা ও ভূখন্ড ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করল। যা করার জন্য দলটি ইনডিয়ার সাম্প্রদায়িক ও সম্প্রসারণবাদী খাসলতকে বিবেচনা করে। লেখকের বক্তব্যের ইতিহাস অংশ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.