আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তরুন প্রজন্মের অহংকার বাংলাদেশের আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান।

ভুদাই সমিতির সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করছি। পার্মানেন্ট প্রেসিডেন্টের পোষ্ট খালি আছে। বাংলাদেশের উপর পরাশক্তি বিশেষ করে ইন্ডিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলা করতে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তি যোদ্ধা (বীরউত্তম) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তারিধাকারী তারেক রহমানের যে বিকল্প বাংলাদেশে নেই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশের নিপিড়িত জনগন। 'স্বাধীনতার মহানায়ক শহীদ জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান বাংলা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন।

দেশের সাবেক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান তিনি। তরুন প্রজন্মের অহংকার তারেক রহমান। 'সেনা সমর্থিত' মঈন-ফকরুদ্দীন এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দেশপ্রেমিক নেতা তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে ১৩টি হাস্যকর মামলা করা হয়। বিভিন্ন মামলায় তাকে মোট নয়দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

রিমান্ডে অমানসিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের কোমরের হাড় ভেঙে দেয় তৎকালীন স্বৈরশাসকরা। এরপর ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ বছরের ১৯ জানুয়ারি নানি বেগম তৈয়বা মজুমদারের মৃত্যুতে তারেক রহমান মাত্র ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। দীর্ঘ ১৮ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সব মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। তিনদিন পর লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন।

দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হবে তাই সেখানের (নর্থ লন্ডন) একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে সেখানেই আছেন তিনি। সে সময় তারেক রহমান দল ও দেশের জন্য এক অনন্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করছিলেন তিনির যুগান্ত কারি কর্মসুচি বিএনপির তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে গন জাগরনের সৃষ্টি হয়েছিল নেতা কর্মিদের মধ্যে পিরে এসেছিল প্রান,তারেক রহমানের মাঝে খোজেপয়েছিল তাদের প্রান প্রিয় নেতার প্রতিচ্ছবি,আর সে কারনে ভীত হয়ে মঈন-ফখর গংরা ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তাকে সেদিন গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু জনগনের ভালবাসা আর দাবীর মুখে তারা তাকে জেলে আটকে রাখতে পারেনি। আসলে কল্পিত দুর্নীতির অপপ্রচার চালিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই ঐ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল। কারাগারে যেভাবে তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে আর কোনো রাজনীতিকের ওপর এভাবে নির্যাতন করা হয়নি।

তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দেয়া হয়েছিল। তবে একটি মামলাও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। সব মামলা গুলো ছিল ভিত্তিহীন রাজ নৈতিক উদ্ধেশ্যপ্রনদিত যার একটি ও এখনো প্রমান করতে পারে নাই,‘শোনা গেছে, এর মধ্যে ১১টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। রাখে আল্লাহ মারে কে। কারন জিয়া পরিবারের উপর দেশ বাসীর দোয়া ও আল্লাহের রহমত আছে।

মতলববাজ ফখরুদ্দীন মইনুদ্দিনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে খালেদা জিয়া যদি তখন শেখ হাসিনার মত দেশ ত্যাগ করতেন তখন তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কে গ্রেফতার হতে হতো না। মইনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে সেটা এখন সবাই জেনেছে। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের ধারাবাহিকতায় এখনও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। অতীতের মত বর্তমান সরকারও তারেক রহমানকে টার্গেট করেছে। কারণ তারেক রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম।

বাবার মতোই তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শুনেছেন, সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন। জনগণের সঙ্গে তারেক রহমানের সখ্যই আওয়ামী লীগ এখন মেনে নিতে পারছে না। তারেক রহমানকে শেষ করতে পারলে কিংবা জিয়া পরিবারকে বিতর্কিত করতে পারলেই বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে দেয়া যায়। এ কারণেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে চালানো হচ্ছে সুপরিকল্পিত অপপ্রচার।

মানুষ আজ সন্ত্রাস থেকে বাচতে চায়, বিদ্যুত চায়, পেট ভরে খেতে চায় কিন্তু বাকশালী সরকার শুধু জিয়া পরিবারের কুৎসা করেই সময় কাটাচ্ছেন কোথাও কোন উন্নয়ন নেই, মানুষের কাজ নেই, বেচে থাকার অবলম্বন টুকু কেড়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। নাভিস্বাস উঠেছে এই সরকারের প্রতি,তাই দেশের মানুষ আজ ফেসিস্ট বাকশালী স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেতে চায়। চায় সরকার পরিবর্তন। ডিজিটাল নামক ফেসিস্ট বাকশালী স্বৈরশাহীর আতংক তারেক রহমান,এই সরকার ভাল করেই জানে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইন্তেকাল। এ কারণেই আওয়ামী লীগ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মরিয়া।

তবে আমরা আশা করি তরুন প্রজন্মের অহংকার এই তরুন রাজনীতিবীদ তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়েই দেশে ফিরবেন তার রাজনীতিতে আবারও সরব উপস্থিতির অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তার বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন বেগম খালেদা জিয়ার পরে বাংলাদেশের মাটিতে তিনিই হবেন বিএনপির কর্নধার। আগামী দিনের তারেক রহমান হবেন চৌকষ রাজনৈতিক প্রশাসন সমন্বয়ে এক সমন্বিত সফল প্রতিষ্ঠান, আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক। তারেক রহমান ফিরে আসবেন নতুন তারেক রহমান হয়ে। যার চারপাশে ঘিরে থাকবে রাষ্ট্রপরিচালনার বেষ্ট আইকনরা।

বাকশালী নিকৃষ্ট শাসনে, নিপিড়নে ইসলাম, জনজীবন, দেশের সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। কালো রাতের মাঝ প্রহর পেরিয়ে যাচ্ছে তার সাথে সাথে গোটা বাংলাদেশ প্রতিটা দিন গুনছে নতুন দিনের আশায়। কালো রাতের প্রহর শেষে অবশ্যই আসবে নতুন ভোর, আসবে সোনালী সূর্যোদয়। ফিরে আসবেন নতুন তারেক রহমান। সেই নবপ্রভাতের নতুন আলো দেখার জন্য অধীর আগ্রহে সারা দেশবাসী।

সীমাহীন মিথ্যা অপপ্রচারের পরেও দেশের মানুষের হৃদয়ে এখনো তারেক রহমান। দেশের মানুষ আবার বিএনপি কে ভোট দিবেন এবং ক্ষমতায় বসাবেন। তখন তারেক রহমানই হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। মোঃ আব্দুল আজিজ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।